সাপের বিষের উপকারিতা -ক্ষতিকর দিকগুলো কি

আল্লাহ পাকের সৃষ্টি ১৮ হাজার মাখলুকাতের মধ্যে সাপও একটি প্রাণী। প্রত্যেকটা জিনিসের যেমন ক্ষতিকর দেখলে রয়েছে তেমনি ভালো দিক ও রয়েছে।তেমনি সাপেরও কিছু উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে।

এ বিষয়ে আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো নানা ধরনের জানা-অজানা তথ্য।সাপের বিষের উপকারিতা -ক্ষতিকর দিকগুলো কি জানতে হলে ভিজিট করুন, আমাদের আজকের লেখা সাপের বিষের উপকারিতা -ক্ষতিকর দিকগুলো কি এই আর্টিকেলটি।

সূচিপত্রঃসাপের বিষের উপকারিতা -ক্ষতিকর দিকগুলো কি

সাপের বিষের উপকারিতা -ক্ষতিকর দিকগুলো কি

আমাদের অনেকেরই ধারণা যে সাপ একটি ভয়ংকর প্রাণী এবং এর সাপের কামড়ে মানুষের মৃত্যু হয়। আমরা সাপকে অনেক ভয় পাই। সাপ প্রাণীটির নাম শুনলেই আমাদের ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায় কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে, এই সাপ আমাদের অনেক উপকারে আসে। সাপের বিষ অনেক দামি। বিভিন্ন ঔষধ তৈরি করতে সাপের বিষ প্রয়োজন হয়। বলা যায় যে,সাপের বিষের মূল্য এখন সোনার মূল্যের থেকেও বেশি। 

আমরা যেমন গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি পালন করি এবং এগুলো বিক্রি করে লাভবান হই বা অর্থ উপার্জন করি। তেমনি কিছু মানুষ রয়েছে যারা সাপ লালন-পালন করে এবং সাপের বিষ বিক্রি করে অনেক অর্থ উপার্জন করে।যে সাপ যত বেশি বিষাক্ত, সেই সাপের বিষ ও তেমনি দামি। এবং সেই বিষ দিয়ে অনেক দামী দামী ঔষধ তৈরি করা হয়।

সাপের বিষের উপকারিতা -ক্ষতিকর দিকগুলো কি এ বিষয়ে জানতে হলে ভিজিট করুন, আমাদের আজকের লেখা সাপের বিষের উপকারিতা -ক্ষতিকর দিকগুলো কি এই আর্টিকেলটি। সাপের বিষ যেমন অনেক মূল্যবান। তেমনি এর অনেক ক্ষতিকর দিকগুলো রয়েছে। এসব বিষয় নিয়েই আপনাদেরকে আজকে নানা ধরনের তথ্য জানানোর চেষ্টা করব।

সাপের বিষ দিয়ে কি তৈরি করা হয়

আমরা অনেকেই মনে করি সাপ একটি ভয়ংকর প্রাণী এবং সাপ যে আমাদের উপকার করে এটা আমরা অনেকেই জানিনা। আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরব সাপের বিষ দিয়ে কি তৈরি করা হয়। হার্ট অ্যাটাক,স্টকের অন্যতম প্রধান কারণ হলো থম্বসিস বা রক্তের জমাট বাধা। যেসব ঔষধ দিয়ে রক্তের জমাট বাধা দূর করা বা প্রতিহত করা যায়। সেগুলোতে রয়েছে আবার অনেক ক্ষতিকর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। 

সাপের বিষ দিয়ে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঔষধ তৈরি করা হয়।এছাড়াও সাপের বিষ দিয়ে অনেক দামী ঔষধ তৈরি করা হয়। যে সাপ যত বেশি বিষাক্ত, সেই সাপের বিষ দিয়ে তত বেশি দামি ঔষধ তৈরি করা যায়। বর্তমানে অনেকেই সাপ পালন করে এবং সাপ থেকে বেশ সংগ্রহ করে সেই বিষ অনেক দামে বিক্রি করে। বর্তমানে সাপের ব্যবসায় অনেকেই লাভবান হয়েছে। এখন স্বর্ণের চেয়ে সাপের বিষের দাম বেশি। 

ক্যান্সারের মত মরণব্যাধির ঔষধ তৈরি করতে এই সাপের বিষ প্রয়োজন হয়। সাপের বিষ ছাড়া ক্যান্সার রোগের ঔষধ বা অন্যান্য দামি ঔষধ তৈরি করা সম্ভব হয় না। সাপের বিষের এখন অনেক মূল্য। সাপের বিষ দিয়ে অনেক ধরনের মূল্যবান ঔষধ তৈরি করা হয়। এজন্যই বলা হয়েছে সাপের যেমন অপকারিতা রয়েছে তেমনি উপকারিতা ও রয়েছে হাজারগুন।

সাপের ক্ষতিকর দিকগুলো কি

পৃথিবীতে বহু প্রজাতির সাপ রয়েছে। সাপগুলো এত ভয়ংকর ও বিপদজনক হওয়ার একটি কারণ হলো। বহু প্রজাতির বিষ রয়েছে যা প্রায়শই কয়েক মিনিটের মধ্যে যে কোন প্রাণী মারা যায়। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এর মতে পরিচিত ৩০০০ প্রজাতির সাপের মধ্যে ৬০০টি বিষাক্ত সাপ। বিষাক্ত সাপগুলো বেশিরভাগই ভয়ঙ্কর হয়ে থাকে। কেননা এরা আক্রমণাতত্ত্ব হয় ফনা তুলে থাকে। একটি সাপের বিষ অন্য প্রজাতির হতে পারে। 

আবার অন্যর মত নাও হতে পারে। তবে সামগ্রিকভাবে দুটি প্রচলিত উপায় রয়েছে। যা সাপ আমাদেরকে ভোগ করে সংবহনতন্ত্র অথবা স্নায়ুতন্ত্র কে আক্রমণ করে। রক্তের প্রবাহের জন্য হিমো টক্সিক বেশি রয়েছে। ভয়ংকর সাপের ক্ষতিকর দিক রয়েছে। প্রায় ৬০০ প্রজাতি বিষাক্ত এবং প্রায় 700 শতাংশ সাহায্যে কোন মানুষকে হত্যা করতে বা তাৎক্ষণিকভাবে আহত করতে সক্ষম করে। ক্ষতিকারক অজগর পর্যন্ত ক্রাশ করে বা মৃত্যুর কাছে আবদ্ধ করে তাদের পাঠায়। 

বিশ্বের অন্যতম দ্রুতগতিতে আঘাতকারী সাপ এবং যারা কামড়ায় তাদের মৃত্যুর হার খুব বেশি। একমাত্র ভারতে বার্ষিক আনুমানিক ৫ হাজার মানুষের পারহানের জন্য করাত-পরিমিত ভাইপার টি দায়ী।বিষাক্ত সাপ গুলির মধ্যে রয়েছে ভাইপার। কোবরা ক্রেটোস মেম্বার আমেরিকান প্রবাল সাপ ভাই পাস উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে উদবেগের সাপ। 

এছাড়াও আরো অনেক ধরনের বিষাক্ত সাপ রয়েছে যাদের কামড়ে অনেক সময় ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে দেরি হলে, রোগী মারা যায় এবং কোন সাপে কামড় দিয়েছে সেটা যদি ঠিকভাবে না চেনা যায়।তাহলে তার চিকিৎসা করতে অনেক সমস্যা হয় এবং সে ক্ষেত্রে রোগী মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সাপের বিষ এক ক্ষেত্রে অনেক দামি হলেও এই সাপের বিষের কারণে অনেকের প্রাণনাশ হয়ে যায়।

সাপের বিষের দাম কত টাকা

উচ্চ মূল্যের কারণে সাপের বিষ কে তরল ডায়মন্ড বলা হয়। কারণ এখন স্বর্ণের চেয়ে সাপের বিষের দাম বেশি। আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের দেশীয় সাপ থেকে প্রক্রিয়াজাত করা এক গ্রাম ভাইপারা রাসেলের বিষের মূল্য প্রায় আড়াই লাখ টাকা। এছাড়া কালার বা কালচিতি সাপের বিষের মূল্য তিন থেকে চার লাখ টাকা। খয়া গোখরার ৫০০০০ টাকা।বিভিন্ন সামুদ্রিক সাপের বিষের মূল্য প্রায় সাড়ে চার লাখের বেশি টাকা। বাংলাদেশের ১৬ টির অধিক প্রজাতির বিষধর সাপ আছে।যাদের বিষ অত্যন্ত মূল্যবান।

সাপের বিষ কেন এত দামি? এর প্রধান দুটি কারণ হচ্ছে-মানুষের জীবন রক্ষাকারী ঔষধ তৈরি করতে সাপের বিষ ব্যবহার হয়। সাপে কাটা রোগীদের জন্য সাপের বিষ দিয়েই যেমন অ্যান্টি ভেনোম তৈরি হয়।তেমনি ক্যান্সার, হার্টের রোগ সহ বিভিন্ন জটিল রোগের জন্য সাপের বিষ ব্যবহার করে তৈরি হয় অনেক দামি ঔষধ। সাপের বিষ এতো বেশি দামি হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে-বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মাদকাসক্তদের কাছে দিন দিন সাপের বিষের চাহিদা বাড়ছে।মূলত তাদের আসক্তি একেবারে চরমে সাধারণ মাদকে যাদের নেশা হয় না। 

তারা কড়া নেশার জন্য সাপের বিষ ব্যবহার করে। এছাড়া উন্নত মাদকের ব্যবহৃত হচ্ছে সাপের বিষ।অনেক দেশের মানুষ সাপের বিষ জীভের ডগায় দিয়ে নেশা করেন। একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে সাপের বিষ নিয়মিত গ্রহণ করেন তারা। সাপের বিষের নিয়মিত গ্রাহক। বর্তমানে অনেকেই সাপের বিষের ব্যবসা করে।সাপের বিষের ব্যবসা অত্যন্ত লাভজনক।দেশে বৈধ উপায়ে সাপের খামার তৈরীর অনুমতি না থাকায় বৈধ উপায়ে সাপের বিষ রপ্তানির ও সুযোগ নেই। 

এ কারণে অবৈধ উপায়ে কোটি কোটি টাকার সাপের বিষ পাচার করা হচ্ছে। দেশের বাহিরে বাংলাদেশসহ এশিয়া মহাদেশের অন্যতম বিষধর সাপ হচ্ছে কিং কোবরা। এর বিষ রসায়ন গবেষণাগারে একটি মূল্যবান উপাদান। অনেক রোগের প্রতিশোধক তৈরিতে গবেষণাগারে বিক্রিয়ার প্রভাবক ও অনুঘটক হিসেবে কাজ করে।

সাপের বিষের উপকারিতা -ক্ষতিকর দিকগুলো কি এটা নিয়ে শেষ কথা

সাপের বিষের যেমন উপকারিতাও রয়েছে তেমনি ক্ষতিকর দিকগুলো রয়েছে। তবে সাপের বিষ বর্তমানে স্বর্ণের চেয়েও অনেক দামী। কারণ সাপের বিষ দিয়ে তৈরি করা হয় অনেক দামি ঔষধ। যেমন, হার্টের,ক্যান্সার এসকল রোগের যত ঔষধ আমরা ব্যবহার করে থাকি। সকল ঔষধের মধ্যেই সাপের বিষ মেশানো থাকে। সাপের বিষ ছাড়া এসব রোগের ঔষধ তৈরি করা সম্ভব নয়। বর্তমানে সাপের বিষের অনেক মূল্য। 

এছাড়া ক্ষতিকর দিকগুলো হল-সাপের কামড়ে অনেক সময় মানুষের মৃত্যু হয়। কোন মানুষকে যদি সাপে কামড় দেয়,তাহলে সাপের বিষের দাঁড়ায় সে মানুষকে সুস্থ করা হয় কিন্তু কোন সাপে কামড়েছে সেটা ঠিকভাবে বলতে হবে। না হলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয় না। সাপের বিষের যেমন অনেক মূল্য। তেমনি ক্ষতিকর দিকগুলো রয়েছে।তাই আমরা সাবধানে চলব। যাতে সাপে আমাদেরকে নাকামড়াতে পারে। 

বর্তমানে অনেকেই সাপের বিষের ব্যবসা করে অনেক লাভবান হয়। যদিও বাংলাদেশে বৈধভাবে সাপ লালন পালন করা বা তার বিষ বাজারজাত করার প্রক্রিয়া নেই। তারপরও অনেকেই অবৈধভাবে এই ব্যবসাটা করে এবং অনেক টাকা ইনকাম করে। সাপের বিষের উপকারিতা -ক্ষতিকর দিকগুলো কি এই বিষয়ে জানতে হলে আমাদের আজকের লেখায় আর্টিকেলটি ভিজিট করুন তাহলে জানতে পারবেন সাপের ক্ষতিকর ও ভালো দিকগুলো সম্পর্কে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি সিসি’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url