শীতের শুরুতে কি ধরনের রোগ ব্যাধি হয়-এসব রোগ ব্যাধি থেকে বাঁচার উপায়

স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। তাই সব কিছুর বিনিময়ে আমাদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে হবে। কোন ধরনের অসুখ যাতে আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শীতকালে আমাদের নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়, নানা ধরনের অসুখ বিসুখ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধে। শীতের শুরুতে কি ধরনের রোগ ব্যাধি হয়-এসব রোগ ব্যাধি থেকে বাঁচার উপায় নিয়ে, আপনাদের মাঝে কিছু কথা তুলে ধরবো।
শীতের শুরুতে কি ধরনের রোগ ব্যাধি হয়-এসব রোগ ব্যাধি থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের আজকের লেখা শীতের শুরুতে কি ধরনের রোগ ব্যাধি হয়-এসব রোগ ব্যাধি থেকে বাঁচার উপায় এই আর্টিকেলটি পড়ুন।

সূচিপত্রঃ শীতের শুরুতে কি ধরনের রোগ ব্যাধি হয়-এসব রোগ ব্যাধি থেকে বাঁচার উপায়

শীতের শুরুতে কি ধরনের রোগ ব্যাধি হয়-এসব রোগ ব্যাধি থেকে বাঁচার উপায়

বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ। ঋতু পরিবর্তন জনিত কারণে কমবেশি আমাদের অনেক ধরনের অসুখ-বেসু্খ হয়ে থাকে। তবে শীতকালে অসুখের প্রভাবটা একটু বেশি পড়ে। শীতকালে আমাদের ঠান্ডা জনিত রোগ সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা, জ্বর ঘন ঘন হাচি এবং ত্বকের নানা ধরনের রোগ দেখা দেয়। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্কদের এ ধরনের অসুখ বিসুখ বেশি হয়ে থাকে। শীতের আবহাওয়া টা অনেক রুক্ষ। এজন্য আমাদের ত্বকের উপরে অনেক প্রভাব পড়ে। 

শীতকালে কুয়াশার কারণে ঠান্ডা লাগা অসুখটা বেশি হয়। চারদিকে ঘন কুয়াশা আর এই কুয়াশা থেকেই নানা ধরনের রোগ সৃষ্টি হয়। শীতকালে অনেক সময় দেখা যায় যে দিনের অনেকটা সময় কুয়াশা লেগে থাকে। সূর্যের দেখা তেমন একটা মেলে না আর এই কুয়াশা আমাদের নিঃশ্বাসের সাথে আমাদের শরীরের ভেতরে প্রবেশ করে নানা ধরনের অসুখের সৃষ্টি করে। যেহেতু শীত আসবেই তাই আমাদের উচিত এ ধরনের রোগ যাতে আমাদের না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা। বিশেষ করে শীতের শুরুতে যখন তাপমাত্রা কমতে শুরু করে তখনই এই রোগ গুলোর দেখা দেয়। 

আমরা অনেকেই সর্দি কাশি বা জ্বর এই ধরনের রোগকে ছোটখাটো রোগ মনে করে থাকি। কিন্তু এই সর্দি কাশি বা জ্বর থেকেই একসময় অনেক বড় ধরনের অসুখের সৃষ্টি হয়ে যায় আর শীতের শুরুতে যদি ঠান্ডা লাগা শুরু হয়। তাহলে সারা শীত সেই ঠান্ডা লাগার প্রভাব থেকেই যায়।কাজেই শীতের শুরুতে যাতে কোনোভাবেই আমাদের ঠান্ডা না লাগে বা কোন ধরনের অসুখ আমাদের স্পর্শ করতে না পারে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। 

আমরা অনেকেই আছি যারা একটু ভুল ভাবে চলার জন্য বিভিন্ন ধরনের অসুখে আক্রান্ত হই।তাই শীতের শুরুতে কি ধরনের রোগ ব্যাধি হয়-এসব রোগ ব্যাধি থেকে বাঁচার উপায় নিয়ে আজকের লেখা এই আর্টিকেলটি আপনাদের অনেকের অনেক ধরনের উপকারে আসবে। কাজেই শীতের হাত থেকে বাঁচার জন্য বা শীতকালে রোগের হাত থেকে বাঁচার জন্য ভিজিট করুন আমাদের আজকের লেখা শীতের শুরুতে কি ধরনের রোগ ব্যাধি হয়-এসব রোগ ব্যাধি থেকে বাঁচার উপায় এই আর্টিকেলটি।

শীতকালে যেসব রোগ ব্যাধি বেশি হয়

বাংলাদেশে শীতের আগমন শুরু হয়ে গেছে। শহরাঞ্চলে শীতের প্রভাব তেমন একটা না পড়লেও গ্রামাঞ্চলে অনেকটাই শীতের প্রভাব পড়ে গেছে। প্রচন্ড গরমে যখন আমাদের জীবন প্রায় অতিষ্ট হয়ে যায়। ঠিক তারপরেই শীতের আগমন ঘটে।যদিও গরমের চেয়ে শীত অনেক আরামদায়ক কিন্তু শীত এলেই বাড়তি কিছু রোগ ব্যাধি ও দেখা দেয়। শীতকালে কি ধরনের রোগ ব্যাধি দেখা দেয় এবং সেই সকল রোগব্যাধি থেকে বাঁচার উপায় নিয়ে। 

আমাদের আজকের লেখা শীতের শুরুতে কি ধরনের রোগ ব্যাধি হয়-এসব রোগ ব্যাধি থেকে বাঁচার উপায় এই আর্টিকেলটি। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সব সময় বলে থাকেন,শীতের সময় ঠান্ডা জনিত অসুখ বেশি দেখা দেয়।যেমন-কাশি, এজমা, সাময়িক জ্বর, কোল্ড এলার্জি এ ধরনের অসুখ বেশি দেখা দেয়। এসময় বাতাসে অনেক ধুলাবালি থাকার কারণে অনেকের এলার্জি বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা ও বেড়ে যায়। 

বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষদের কাশি ও কোল্ড এলার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।ঠিক সময় মত সনাক্ত করা না গেলে, তা অনেক সময় নিউমোনিয়াতে রূপ নিতে পারে। যাদের টনসিলের সমস্যা রয়েছে। শীতকালে ঠান্ডা লাগার ফলে টনসিলের ব্যথা আরো বেশি হয়ে যায়। শীতকালে আমাদের দেশে মশার উপদ্রব বেড়ে যায় ফলে ম্যালেরিয়া ফাইলেরিয়া ও ডেঙ্গুর মত মারাত্মক রোগের দেখা দেয়।

শীতকালীন স্বাস্থ্য টিপস

শীত হোক আর গরম হোক সব সময় আমাদের শরীর সুস্থ থাকা দরকার। কারণ সুস্থ সবল শরীল না হলে কোন কাজে মন বসবে না বা কোনভাবেই শান্তি মিলবে না। শীতকালে আমাদের শরীরে নানা ধরনের রোগব্যাধি হয়ে থাকে। এ সকল রোগব্যাধি যাতে আমাদের না হয় তার হাত থেকে বাঁচতে হলে কিছু নিয়ম অনুসরণ করে চলতে হয়। সে সকল নিয়ম নিয়ে আমাদের আজকের লেখা শীতের শুরুতে কি ধরনের রোগ ব্যাধি হয়-এসব রোগ ব্যাধি থেকে বাঁচার উপায় এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে নানা ধরনের সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া যাবে।শীতকাল মানেই একটা ভেজা ভেজা বা ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়া।এমন দিন আছে শীতের সময় সারাদিনে সূর্যের দেখা পাওয়া যায় না।সারা আকাশ জুড়ে মেঘ জমে থাকে এবং কুয়াশায় ঢেকে থাকে চারিপাশ।নিঃশ্বাসের সাথে এই কুয়াশা আমাদের শরীরে প্রবেশ করে নানা ধরনের অসুখের সৃষ্টি করে।এ ধরনের সমস্যা থেকে বাঁচতে হলে আমাদের কিছু নিয়ম অনুসরণ করে চলতে হয়।শীতকালে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে ঠান্ডা অনুভব হয়। কাজেই নিজেকে উষ্ণ রাখতে হলে বেশি বেশি কাপড় পরিধান করতে হবে।ঠান্ডা খাবার পরিহার করতে হবে,ঠান্ডা পানি বা ফ্রিজের পানি খাওয়া যাবে না।শীতকালে আমাদের ত্বকের নানা ধরনের সমস্যা হয়। ত্বকের ওপরে খসখসে হয়ে যায়।এমনকি অনেকের আছে ছোট ছোট ঘা দেখা দেয়। ত্বকের সমস্যা দূর করতে হলে শীতকালে নিয়মিত গোসল করা এবং তাকে নানা ধরনের ময়শ্চারাইজ ব্যবহার করতে হবে। ত্বকে ব্যবহারের জন্য গ্লিসারিন,লোশন এগুলো ব্যবহার করতে হবে এতে করে ত্বকের নানা ধরনের সমস্যার হাত থেকে বাঁচা যাবে।

শীতের অসুখ এড়াতে করনীয়

শীতকালে নানা ধরনের অসুখ হয়ে থাকে যেমন সর্দি কাশি এজমা জ্বর শ্বাসকষ্টের সমস্যা। এগুলো রোগের হাত থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই আমাদের কিছু করণীয় রয়েছে। যেহেতু শীতকালে আবহাওয়া ভেজা এবং ঠান্ডা থাকে তাই আমরা আমাদের শরীরকে উষ্ণ রাখার জন্য গরম কাপড় পরিধান করব। ঠান্ডা পানি পান করবো না বা কোন ঠান্ডা খাবার খাব না। খাবার খেতে হলে সে খাবারটা অবশ্যই গরম করে খেতে হবে। 

শীতের সময় চারদিকে কুয়াশায় ঘেরে থাকে আর এই কুয়াশা নিঃশ্বাসের সাথে আমাদের শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে এবং নানা ধরনের অসুখ হয়। কাজেই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোনভাবেই নিঃশ্বাসের সাথে কুয়াশা আমাদের শরীরের ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে। এজন্য নাকে যেকোনো ধরনের একটা কাপড় বেঁধে রাখতে হবে। প্রয়োজনে মাক্স ব্যবহার করতে হবে।আবার অনেকেরই আছে অল্পতেই ঠান্ডা লেগে যায়। সে ক্ষেত্রে তাদেরকে আরো সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হবে। 

ঠান্ডা পানি কখনোই পান করা উচিত নয়।শীতের সময় এমনিতেই আবহাওয়া ঠান্ডা আর ঠান্ডা পানি পান করলে গলা ব্যথা বা কাশি শুরু হতে পারে। এজন্য পানি পান করতে হলে অবশ্যই পানি হালকা গরম করে নিতে হবে। যাদের শ্বাসকষ্ট রয়েছে তারা অবশ্যই শীতের সময় অনেক সাবধান ভাবে চলাফেরা করতে হবে। শীতের সময় বাতাসের সাথে অনেক ধুলাবালি উড়ে আর কুয়াশা তো রয়েছেই। 

যাদের শ্বাসকষ্ট রয়েছে তাদের কোনোভাবেই এই কুয়াশা বা ধুলাবালি নাকের ভেতরে প্রবেশ করা যাবে না। তাহলে শ্বাসকষ্টের প্রভাব আরও বেড়ে যাবে। শীতকালে মশার উপদ্রব বেড়ে যায় এর কারনে ম্যালেরিয়া ফ্যালেরিয়া বা ডেঙ্গু রোগে মানুষ আক্রান্ত বেশি হয়। এজন্য মশার কামড় থেকে নিজেকে সুরক্ষায় রাখতে হলে মশারি ব্যবহার করতে হবে।

শীতের শুরুতে কি ধরনের রোগ ব্যাধি হয়-এসব রোগ ব্যাধি থেকে বাঁচার উপায় নিয়ে শেষ কথা

শীতের শুরুতে ঠান্ডা, কাশি, এজমা, কোল্ড এলার্জি, শ্বাসকষ্ট, সাময়িক জ্বর এ ধরনের অসুখ দেখা দেয়। এছাড়াও শীতকালে মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ার কারণে ম্যালেরিয়া, ফ্যালেরিয়া,ডেঙ্গু নানা ধরনের অসুখে মানুষ আক্রান্ত হয়। এ সকল অসুখ থেকে বাঁচতে হলে। অবশ্যই কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। শীতকালে ঠান্ডা খাবার খাওয়া যাবে না, ঠান্ডা পানি পান করা যাবে না, এমনকি নিয়মিত গোসল করতে হবে। 

অনিয়মিত গোসল করলে ঠান্ডা লেগে যাবে।কাশি হবে বা গলা ব্যথা হবে। কাজেই শীতকালে সাবধানতার সাথে থাকতে হবে না হলে নানা ধরনের অসুখে আক্রান্ত হতে পারে। কাজে সুস্থ থাকতে হলে নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। শরীরের সুস্থতাই সবচেয়ে বড় শান্তি। তাই কোনভাবেই কোন অসুখে আক্রান্ত হওয়া যাবে না। অনিয়ম করা যাবে না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি সিসি’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url