ইসলামে আকিকার গুরুত্ব কেমন-আকিকা পালনের নিয়ম

ইসলামে শরিয়াতের পরিভাষায় আকিকা পালন করা হলো সুন্নত। ইসলামে আকিকার গুরুত্ব কেমন-আকিকা পালনের নিয়ম সম্পর্কে জানতে হলে, ভিজিট করুন আমাদের আজকের লেখা ইসলামে আকিকার গুরুত্ব কেমন-আকিকা পালনের নিয়ম এই আর্টিকেলটি।
মুসলিমদের জন্য আকিকা হল সুন্নত। যার সামর্থ্য আছে আকিকা দেওয়ার মতো তাকে অবশ্যই আকিকা পালন করতে হবে। আকিকা নিয়ে আমরা অনেকেই অনেক কিছু জানি না। আজকে আকিকা সম্পর্কে সকল জানা-অজানা তথ্য আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।

সূচিপত্রঃইসলামে আকিকার গুরুত্ব কেমন-আকিকা পালনের নিয়ম

ইসলামে আকিকার গুরুত্ব কেমন-আকিকা পালনের নিয়ম

আকিকা পালন করা প্রত্যেকটি মুসলিমদের জন্য সুন্নত। যদি কারো আকিকা পালনের সামর্থ্য থেকে থাকে। তবে অবশ্যই তাকে আকিকা পালনের নির্দেশ দেওয়া রয়েছে। আকিকা পালন করা সুন্নত।আকিকা হল একটি শিশুর অধিকার। শিশুর জন্য আকিকা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে তা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। আকিকার ফজিলত এর কারণে একটি শিশুর সমস্ত বালা মুসিবত দূর হয়ে যায়। 

নবজাতক শিশু সন্তানের শুকরিয়া আদায়ের নির্দশন হিসেবে বাবা মাকে সন্তানের জন্য আকিকা দিতে হয়। এক্ষেত্রে সন্তান মেয়ে হোক বা ছেলে হোক উভয়ের জন্যই আকিকা দিতে হয়। যেহেতু আকিকা পালন একটি নবজাতকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সকল বাবা মায়ের উচিত তাদের সামর্থ্য থাকলে, তাদের সন্তানের আকিকা দেওয়া। এতে করে সে সন্তানের জীবনের সমস্ত বালা-মুসিবত দূর হয়ে যায়। 

যেহেতু আকিকার গুনাগুন কুরআনুল কারীমের স্বয়ং আল্লাহপাক বর্ণনা দিয়েছেন সেহেতু আকিকা পালন করা আমাদের প্রত্যেকের উচিত। আমাদের আজকের লেখা আকিকা কি-আকিকা পালনের নিয়ম। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আকিকা সম্পর্কে আরো অনেক কিছু জানানো হবে। আকিকা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে হলে।আমাদের আজকের আকিকা কি-আকিকা পালনের নিয়ম এই আর্টিকেলটি ভিজিট করুন।

জন্মের কতদিন পর আকিকা দেওয়ার নিয়ম

একটি শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার কত দিনের মধ্যে আকিকা দিতে হয় এ বিষয়ে অনেকের মধ্যে অনেক ধরনের দ্বিধাদ্বন্দ রয়েছে। আমাদের আজকের লেখা ইসলামে আকিকার গুরুত্ব কেমন-আকিকা পালনের নিয়ম পালনের নিয়ম এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়া ঠিক কতদিনের মধ্যে আকিকা দিতে হয় প্রত্যেকটি নবজাতক শিশুর জন্য আকিকা হল গুরুত্বপূর্ণ। যে সকল বাবা মায়ের সামর্থ্য রয়েছে ভেড়া বা ছাগল জবাই করার। তাদের অবশ্যই সে নবজাতক সন্তানের জন্য আকিকা পালন করা উচিত। 

আমাদের সমাজে অনেকের মধ্যে আকিকা নিয়ে অনেক দ্বিধা দ্বন্দ্ব রয়েছে। অনেকেই মনে করেন জন্মের ঠিক সাতদিনের মধ্যেই আকিকা সম্পন্ন করতে হবে। আবার কেউ মনে করেন মরার আগ পর্যন্ত যে কোন দিন আকিকা দেওয়া যায়। আবার অনেকেরই ধারণা মৃত ব্যক্তির জন্য ও আকিকা করা যায়।আসলেই কোনটা সঠিক সেটা হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। যেহেতু প্রত্যেকটি নবজাতকের জন্য আকীকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।সেহেতু এ বিষয়ে সঠিক ভাবে জেনে শুনে আকিকা পালন করাযই উচিত।

আকিকা পালনের সঠিক সময় হচ্ছে, কোন শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার ৭ দিনের মধ্যে একটি সুস্থ সবল পশু জবাই করে আকিকা সম্পন্ন করে, সেই নবজাতকের নাম রাখতে হয়। আর এটাই সঠিক নিয়ম এবং হাদিসে এই নিয়মের কথাযই বলা হয়েছে। অনেকেই মনে করে, যে কোন সময় বা যেকোনো বয়সে আকিকা করলেই হয়ে যায়। আসলে এটার কোন বিধান নেই। 

আকিকা নিয়ে সঠিক বিধান হলো, ভূমিষ্ঠ হওয়ার ৭ দিনের মধ্যে আকিকা দেওয়া উচিত। আবার অনেকেই আছে আকিকা পালন করা নিয়ে, কোন চিন্তাই নেই বা আকিকা পালন করতে হয়, এ বিষয়েও কোন ধারণা নেই। যেহেতু আকিকা এত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। সে হতো আমাদের প্রত্যেকের উচিত আমাদের সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার সাত দিনের মধ্যে আগেকার সম্পন্ন করা। বাবা-মা হিসেবে সন্তানের জন্য এটি একটি বড় ধরনের দায়িত্ব। 

অনেকেই মনে করেন জন্মের সাথে সাথে আকিকা দেওয়া এতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। যেকোনো সময় আকিকা দিয়ে দিলেই হয়ে যায়। আবার অনেকে আছে কোরবানির সাথে আকিকা দিয়ে থাকে। এটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বা সঠিক নয়। আকিকা আলাদা এবং কুরবানী আলাদা। কাজে দুইটা একসঙ্গে দেওয়া যাবে না। আকিকা মূলত কোন নবজাতকের সামনের জীবনের সম্পূর্ণ বিপদ আপদ থেকে মুক্ত রাখার জন্য আকিকা দেওয়া হয়। 

ভূমিষ্ঠ কৃত নবজাতকের পিতা-মাতা তার সন্তানের মঙ্গল কামনা করে আকিকা দিয়ে থাকে। আকিকা দেওয়ার নিয়ম এটাই। কাজেই আকিকা দেওয়ার সঠিক নিয়ম মেনে পিতা-মাতাকে সন্তানের ভবিষ্যৎ যাতে সুন্দর হয়। সেদিকে খেয়াল রেখে ইসলামিক নিয়ম মেনে আকিকা দেওয়া উচিত।

ছেলেদের আকিকা দেওয়ার নিয়ম

আমরা অনেকেই আকিকার সঠিক নিয়ম জানিনা। যেহেতু আকিকা প্রত্যেকটি নবজাতক শিশুর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেহেতু সব ধরনের নিয়ম মেনে এই আকিকা পালন করা উচিত। জন্মের ৭ দিনের মধ্যে একটি হালাল পশু জবাই করে আকিকা পালন করা হয়। সন্তানের পিতা মাতার সন্তানের মঙ্গল কামনা করে সন্তান জন্ম নেওয়ার সাত দিনের মধ্যে একটি হালাল পশু জবাই করে আকিকা পালন করবে। 

সেই সাথে একটি ইসলামিক নাম রাখবে এবং চুল মুন্ডন করে দিবে। ছেলে-মেয়ের আকিকা দেওয়ার আলাদা নিয়ম। ছেলের আকিকা দেওয়ার জন্য দুইটি ছাগল বা ছাগী, ভেড়া বা ভেড়ী বা হালাল পশু জবাই করতে হয় এবং মেয়ের আকিকা দেওয়ার জন্য একটি ছাগল বা ছাগী, ভেড়া বা ভেড়ী হালাল পশু জবাই করতে হয়। 

সন্তানের ভবিষ্যৎ জীবন যেন সুন্দর হয় এবং বিপদমুক্ত হয় এই কামনা করেই পিতা-মাতাকে আকিকা পালন করতে হয়। আপনার ঘরে যদি একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। সে সন্তান জন্ম নেওয়ার সাত দিনের মধ্যে একটি হালাল এবং সুস্থ সবল পশু জবাই করে ইসলামিক নাম রেখে এবং মাথার চুল মুন্ডন করে দিতে হবে।

মেয়েদের আকিকা দেওয়ার নিয়ম

কোন পরিবারে যখন সন্তান জন্ম নেয়। সে সন্তান মেয়ে হোক বা ছেলে হোক তার আকিকা দেওয়া উচিত। আকিকা একটি নবজাতকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাবা-মা তাদের সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করে আকিকা করবে। আকিকা দেওয়ার নিয়ম হল কোন সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার ৭ দিনের মধ্যে হালাল পশু জবাই করে আকিকা দিতে হয়। 

তবে ছেলে এবং মেয়েদের জন্য আকিকা দেওয়ার নিয়মটা একটু আলাদা। নিয়ম যেটাই হোক না কেন আকিকা সাত দিনের মধ্যেই দিতে হবে। মেয়েদের আকিকা দেওয়ার নিয়ম হলো, একটি মেয়ে সন্তান যখন কোন পরিবারের জন্ম নেয়, জন্মের সাত দিনের মধ্যে একটি ছাগল বা ছাগী, ভেড়া বা ভেড়ী বা হালাল পশু জবাই করে আকিকা দিতে হয় এবং ইসলামিক নাম রাখতে হয় বা মাথার চুল মুন্ডন করতে হয়। 

প্রত্যেক পিতা-মাতার তার সন্তানের জন্য আকিকা দেওয়া হল কর্তব্য এবং সেই সন্তানের জন্য আকিকা হলো অধিকার কাজেই পিতা-মাতার সন্তানের প্রতি কর্তব্য পালন করতে হবে।যদি কোন পিতা-মাতার সমর্থ্য না থাকে একটি পশু জবাই করার তাহলে সে ক্ষেত্রে দিতে হবে না।

ইসলামে আকিকার গুরুত্ব কেমন-আকিকা পালনের নিয়ম নিয়ম নিয়ে শেষ কথা

পরিশেষে বলা যায় যে, নবজাতকের জন্য আকিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কাজেই আমরা নবজাতকের জন্মের পর পরই গাভেলতি না করে আকিকা পালনের চেষ্টা করব। যাদের সামর্থ্য রয়েছে তারা অবশ্যই তাদের সন্তানের আকিকা পালন করবে। এতে করে আপনার সন্তান ভবিষ্যতে কোন বিপদের সম্মুখীন হবে না। আকিকা মূলত সন্তানের মঙ্গল কামনা করে দেওয়া হয়। আমরা অনেকেই আকিকা এ বিষয়টিকে অনেক সহজভাবে ভেবে থাকে কিন্তু আসলে আকিকার গুরুত্ব অপরিসীম।

আকিকার গুরুত্ব বলে শেষ করা যাবে না। প্রত্যেক পিতা-মাতাই চায় তার সন্তান যেন কোন ধরনের বিপদে না পড়ে বা ভালো থাকে। এজন্যই সন্তানের মঙ্গলকামনা করে আকিকা পালন করা উচিত।ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় আকিকা হলো একটি নবজাতকের অধিকার এবং নবজাতকের পিতা-মাতার তাদের সন্তানের জন্য আকিকা দেয়া কর্তব্য। 

তাই পরিশেষে বলা যায় যে, যেহেতু আকিকা এতটা গুরুত্বপূর্ণ তাই প্রত্যেক পিতা মাতার উচিত তাদের সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার সাতজনের মধ্যেই ইসলামিক নিয়ম মেনে আকিকা পালন করা। আমাদের আজকের লেখা আকিকা কি-আকিকা পালনের নিয়ম এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের মাঝে আকিকা সম্পর্কে নানা ধরনের তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আকিকা নিয়ে আমাদের অনেকের ভেতরেই অনেক ধরনের প্রশ্ন আছে। 

সে সকল প্রশ্নের সঠিক উত্তর তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ইসলামে আকিকার গুরুত্ব কেমন-আকিকা পালনের নিয়ম সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের আর্টিকেলটি ভিজিট করুন। আমাদের আজকের লেখা ইসলামে আকিকার গুরুত্ব কেমন-আকিকা পালনের নিয়ম এই আর্টিকেলটি ভিজিট করলে আকিকা নিয়ে সকল ধরনের জটিলতা দূর হয়ে যাবে। আকিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়ে আপনারা অনেক তথ্য জানতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি সিসি’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url