প্রচন্ড শীতে কিভাবে নিজেকে সুরক্ষা রাখবেন-শীতকালে কি ধরনের খাবার খাওয়া উচিত

আমাদের দেশটা হলো ছয় ঋতুর দেশ। একটার পর একটা ঋতুর আগমন ঘটে আমাদের দেশে। ছয় ঋতুর মধ্যে একটি ঋতু হল শীতকাল। এই শীতকাল অনেকের কাছে অনেক প্রিয়। আবার অনেকের কাছে প্রিয় নয়। প্রচন্ড শীতে কিভাবে নিজেকে সুরক্ষা রাখবেন-শীতকালে কি ধরনের খাবার খাওয়া উচিত এ বিষয়গুলো নিয়ে আপনাদের মাঝে কিছু তথ্য শেয়ার করব।
এ সকল তথ্য জানতে হলে ভিজিট করুন আমাদের লেখা প্রচন্ড শীতে কিভাবে নিজেকে সুরক্ষা রাখবেন-শীতকালে কি ধরনের খাবার খাওয়া উচিত এই আর্টিকেলটি।

সূচিপত্রঃ প্রচন্ড শীতে কিভাবে নিজেকে সুরক্ষা রাখবেন-শীতকালে কি ধরনের খাবার খাওয়া উচিত

প্রচন্ড শীতে কিভাবে নিজেকে সুরক্ষা রাখবেন-শীতকালে কি ধরনের খাবার খাওয়া উচিত

আমাদের দেশে শীতের আনাঘোনা কিন্তু শুরু হয়ে গেছে। গ্রামাঞ্চলে শীতের অনেকটাই আগমন শুরু হয়ে গেছে। দিনের আবহাওয়া টা রোদ্রজ্জ্বল থাকলেও রাতের বেলায় বেশ শীত পড়ে গেছে। শীতের সময়টা অনেকের কাছে অনেক প্রিয় হলেও কারো কারো কাছে অপ্রিয়। শীতকালে আমাদের শারীরিক অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্কদের উপরে শীতের প্রখোপ টা একটু বেশি পরে। শীতকালের আবহাওয়াটা একটু ভেজে ভেজে থাকে। তেমন একটা রোদ বের হয় না। চারিদিকে কুয়াশায় ডেকে থাকে। এজন্য আমাদের শারীরিক নানা ধরনের সমস্যা দেখা যায়। 

শীতের সময় আমাদের শরীরের চামড়া খসখসে হয়ে যায় এবং ফুসকুড়ির মত ঘা বের হয়। এমনকি শীতের সময় অ্যালার্জির প্রকোপ টা একটু বেশি পড়ে। এছাড়াও শীতে আরো নানা ধরনের সমস্যা দেখা যায়। শীতকালে আমরা অনেকেই আছি অনেক অলসতার কারণে ঠান্ডা খাবার খেয়ে থাকে কিন্তু শীতকালে এই ধরনের ঠান্ডা খাবার খাওয়া একদমই উচিত নয়। এতে করে ঠান্ডা লেগে নিউমোনিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই শীতকালে নিজেকে সুরক্ষা রাখতে কি করবেন, তা জানতে হলে ভিজিট করুন আমাদের আজকের লেখা প্রচন্ড শীতে কিভাবে নিজেকে সুরক্ষা রাখবেন-শীতকালে কি ধরনের খাবার খাওয়া উচিত এই আর্টিকেলটি।

শীতকালে গ্রামীণ জীবনযাত্রা

শীতকালে গ্রামীণ জীবন যাত্রা কেমন হয় এসব বিষয়ে জানতে হলে ভিজিট করুন আমাদের আজকের লেখা প্রচন্ড শীতে কিভাবে নিজেকে সুরক্ষা রাখবেন-শীতকালে কি ধরনের খাবার খাওয়া উচিত এই আর্টিকেলটি। যেহেতু আমাদের দেশে গ্রামের দিকেই আগে শীতের আগমন ঘটে এবং গ্রামে নদী-নালা গাছপালা বেশি হওয়ায় শীতের প্রকোপটাও খুব বেশি পরে।গ্রামের মানুষের জীবন যাপন অনেক সহজ সরল, বিলাসিতা সেখানে ঠাঁই পায় না। গ্রামে অধিকাংশ মানুষই দরিদ্র হয়ে থাকে এবং অধিকাংশ মানুষই কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।

যারা কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে তাদের জন্য প্রচন্ড শীত মানেই অভিশাপ। প্রচন্ড শীতে তারা অনেক কষ্ট করে মাঠের কাজ করে।তবে এত কষ্টের মধ্যেও শীতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য একমাত্র গ্রামেই উপভোগ করা যায়। গ্রামে শীতের সকাল মানে আনন্দের উল্লাস। ভোর হওয়া,পাখি ডাকা, কুয়াশার চাদর গায়ে দিয়ে সূর্যমামা উঁকি দেয়। শীতের সময় গ্রামে খেজুর রস বা পিঠা পুলির উৎসব দেখা যায়। সবকিছু মিলিয়ে গ্রামকে মনে হয় একটি ছবির মত। শীতকালে বাংলাদেশের খালে বিলে অতিথি পাখির আগমন ঘটে। এটাও একটা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক। 

শীতকালে হরেক রকমের সবজি গ্রামাঞ্চলে মাঠে মাঠে হয়ে থাকে। এটাও একটা অপরূপ সৌন্দর্যের দৃশ্য।তবে মাঝে মাঝে যখন প্রচন্ড শীত পড়ে যায়।সারাদিনে রোদ্রের দেখা পাওয়া যায় না।কুয়াশায় ঢেকে থাকে। সেই সময় গ্রামের মানুষের অনেক কষ্ট হয়ে যায়। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুদের বেশি কষ্ট হয়। আবার যারা আছে অনেক গরিব বা দরিদ্র ঠিকমতো গরম পোশাক ব্যবস্থা করতে পারেনা। তাদের জন্য শীত অনেকটাই কষ্টদায়ক। তাই বলা হয়েছে শীতের সময়টা অনেকের কাছে প্রিয় হলেও কিছু কিছু মানুষের কাছে অনেক কষ্টকর।

শীতকালে শহরের জীবনযাত্রা

শীতকালে শহরের জীবনযাত্রা গ্রামের জীবনযাত্রার চেয়ে পুরোটাই উল্টো। কেননা শহরের মানুষগুলো ঠিক শহরের দালানকোটা আর ইঞ্জিনের মতই। তাদের জীবনে শুধু ব্যস্ততা। শহরে শীতের আনন্দটা তেমন একটা পাওয়া যায় না।কারণ সেখানে মানুষ যায় জীবিকা নির্বাহের জন্য, টাকা ইনকাম করার জন্য, চাকুরীর করার জন্য কাজেই প্রতিটি মানুষ নিজের কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকে আর শহরে অধিকাংশ জায়গায় মিল ফ্যাক্টরি থাকার কারণে শহরে তেমন একটা শীতের আবেশ আসে না। 

এসব মিল ফ্যাক্টরির ধোঁয়া এবং বড় বড় দালানকোঠার ভিড়ে শীতের আবেসটা তেমন একটা ভালো বোঝা যায় না। শহরের মানুষগুলো একটা নিয়মের মধ্যে বাধা থাকে। সেই সকাল বেলা ওঠা অফিস যাওয়া, অফিস থেকে ফেরা, আবার রাতে ঘুমিয়ে যাওয়া পরের দিন অফিসে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া এ সকল চক্রাকারে চলে শহরের মানুষের জীবনে। শহরের মানুষগুলো একটা সময় শীত উপভোগ করার জন্য গ্রামে বাড়িতে একটু সুযোগ পেলেই গ্রামে চলে আসে শীতের সৌন্দর্যটা উপভোগ করার জন্য।

শীতকালের সুবিধা ও অসুবিধা

প্রত্যেকটা জিনিসেরই কিছু ভালো দিক থাকে এবং কিছু খারাপ দিক থাকে শীতকালের সুবিধা ও অসুবিধা দুইটাই রয়েছে শীতকালের সুবিধা ও অসুবিধা জানতে হলে ভিজিট করুন আমাদের লেখা প্রচন্ড শীতে কিভাবে নিজেকে সুরক্ষা রাখবেন শীতকালে কি ধরনের খাবার খাওয়া উচিত এই আর্টিকেলটি।

শীতকালের সুবিধা সমূহঃ শীতকালে প্রকৃতি এক নতুন সাজে সজ্জিত হয়।শীতকালে ফুলে ফলে ভরে যায় চারিদিক।শীতকালে আমাদের দেশে অতিথি পাখির আগমন ঘটে,সেটাও একটা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণ।শীতকালে বাজারে অনেক রকমের সবজি পাওয়া যায়।শীতকালে আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন হ্রাস পায়। প্রচন্ড গরমে আমাদের ঘুমের অনেক সমস্যা হয়।তবে শীতকালে ঘুমের কোন সমস্যা হয় না।এতে করে শরীর অনেক ভালো থাকে।শীতকালে গ্রাম অঞ্চলে পিঠাপুলি্র উৎসব শুরু হয।শীতকালে রোদে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।শীতকালের রোদ আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার।

শীতকালে অসুবিধা সমূহঃ শীতকালে যতই সুবিধা থাকুক না কেন অসুবিধা ও রয়েছে।প্রচন্ড শীতে বয়স্ক মানুষ বা শিশুরা অনেকটাই কষ্টে দিন কাটায়।বিশেষ করে গ্রামের দরিদ্র ও গরিব মানুষজন গরম কাপড় চোপড় কিনতে পারেনা।সে ক্ষেত্রে তাদের জন্য অভিশাপ নিয়ে আসে।প্রচন্ড শীতে যারা কৃষি কাজ করে তাদের কাজ করতে অনেক অসুবিধা হয় বা কষ্ট হয়।শীতকালে আমাদের স্কিনের অনেক সমস্যা দেখা দেয়। শীতকালে স্কিনের ওপরে খসখসে ভাব দেখা দেয় বা অনেক ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়।সর্দি,কাশি, জ্বর,এলার্জি,হাঁপানি সহ নানা ধরনের রোগ দেখা দেয়। এ সকল রোগ থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে।প্রচন্ড শীতে কিভাবে নিজেকে সুরক্ষা রাখবেন-শীতকালে কি ধরনের খাবার খাওয়া উচিত এই আর্টিকেলটি ভিজিট করলে শীতকালের অসুবিধা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন।

শীতকালে কি ধরনের খাবার খাওয়া উচিত

শীতকালে আমাদের শরীররের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় যার কারণে আমাদের শীতকালে কিছু খাবার খেলে শরীর টিক রাখা যায় এবং সুস্থ থাকা যায়। শীতের শুরু এবং শেষের দিকে শরীরের পানি শুকিয়ে ডিহাইড্রেশন সৃষ্টি করে। তাই শীত কালে বেশি বেশি পানি পান করা উচিত এবং প্রয়োজনে কুসুম পানি পান করতে হবে। এছাড়াও পারলে ডাবের পানি, ফলের রস খেতে পারেন। শীতকালে প্রচুর পরিমাণে সবজি চাষ হয় সেক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে মূলজাতীয় শাকসকজি খান শরীর  সুস্থ থাকবে এবং এর্নাজি বৃদ্ধি পাবে।  শীতে গরম খাবার খেতে সাবর ভালো লাগে সেক্ষত্রে গরম স্যুপ, চিনা ছাড়া চা খেতে পারেন। 

শেষকথা

প্রচন্ড শীতে কিভাবে নিজেকে সুরক্ষা রাখবেন-শীতকালে কি ধরনের খাবার খাওয়া উচিত এটা নিয়ে শেষ কথা বলতে গেলে বলতে হয় যে শীতকাল আমাদের জন্য যেমন ভালো তেমনি এর খারাপ দিকেও রয়েছে কাজেই শীতকালে নিজেকে সুরক্ষায় রাখতে হলে অবশ্যই কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে শীতকালে অবশ্যই বেশি কাপড় পরিধান করতে হবে যাতে কোনভাবেই ঠান্ডা না লাগে যাদের ঠান্ডা লাগার সমস্যা রয়েছে বা এলার্জি হাঁপানের সমস্যা রয়েছে তারা ভুলেও ঠান্ডা খাবার খাওয়া যাবেনা সব ধরনের খাবার গরম করে খাওয়া উচিত এমন কি গরম পানি পান করা উচিত। প্রতিটা আবহাওয়ায় শরীরে কোন না কোন অসুখের সৃষ্টি করে।

তাই কোন আবহাওয়া তে কি ধরনের অসুখ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধে। সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।শীতের আগমনের সাথে সাথে আমাদের শারীরিক অনেক সমস্যার দেখা দেয়।কাজেই শীতের হাত থেকে বাঁচতে হলে নিজেকে সুরক্ষা রাখার দায়িত্ব নিজেরই নিতে হবে। প্রচন্ড শীতে কিভাবে নিজেকে সুরক্ষা রাখবেন-শীতকালে কি ধরনের খাবার খাওয়া উচিত এ বিষয় নিয়ে আজকে আপনাদের মাঝে অনেক জানা অজানা তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। শীতকালে সকাল সন্ধ্যায় গরম পানি বা চা পান করা উচিত। এতে করে ঠান্ডা লাগার থেকে বাঁচতে পারবেন। শীতের শুরুতে যদি কোন ভাবে ঠান্ডা লেগে যায়, তাহলে পুরো শীত সেই কষ্ট পেতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি সিসি’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url