আধুনিক বৈদ্যুতিক বাতি

 


সূচীপত্র: আধুনিক বৈদ্যুতিক বাতি

অধ্যায় বারঃ আধুনিক বৈদ্যুতিক বাতি(Modern Electric Lamps)

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ।। আধুনিক বৈদ্যুতিক বাতি

১। ফ্লওরেসেন্ট ল্যাম্পে হলুদ ও লাল রংয়ের জন্য কোন ধরনের পাউডারের প্রলেপ দেওয়া হয়?

২। সোডিয়াম ভেপার ল্যাম্পে কি কি গ্যাস থাকে?

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ।। আধুনিক বৈদ্যুতিক বাতি

১।ফ্লওরেসেন্ট ল্যাম্প এর সুবিধা কি কি?

২।ফ্লওরেসেন্ট ল্যাম্পের অসুবিধা কি কি?

৩। একটি ফ্লওরেসেন্ট টিউবলাইট এর স্ট্যাটাস ও চোক কয়েলের কাজ কি?

রচনামূলক প্রশ্ন ।। আধুনিক বৈদ্যুতিক বাতি

১। সোডিয়াম ভেপার ল্যাম্প এর গঠন ও কার্যপ্রণালী বর্ণনা করো ।
অধ্যায় বারঃ আধুনিক বৈদ্যুতিক বাতি(Modern Electric Lamps)

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ।। আধুনিক বৈদ্যুতিক বাতি

১। ফ্লওরেসেন্ট ল্যাম্পে হলুদ ও লাল রংয়ের জন্য কোন ধরনের পাউডারের প্রলেপ দেওয়া হয়?

উত্তরঃ  ফ্লওরেসেন্ট ল্যাম্পে হলুদ রং পাওয়ার জন্য জিংক বেরিলিয়াম সিলিকেট এবং লাল রং পাওয়ার জন্য ক্যাডমিয়াম বোরেট পাউডার ব্যবহৃত হয় ।

২। সোডিয়াম ভেপার ল্যাম্পে কি কি গ্যাস থাকে?

উত্তরঃ সোডিয়াম ভেপার বা বাষ্প এবং নিয়ন গ্যাস ।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ।। আধুনিক বৈদ্যুতিক বাতি


১।ফ্লওরেসেন্ট ল্যাম্প এর সুবিধা কি কি?
উত্তরঃ  ফ্লওরেসেন্ট ল্যাম্প এর সুবিধাগুলো নিম্নে দেয়া হলো-

১। ফ্লওরেসেন্ট ল্যাম্পের সবচেয়ে বড় একক সুবিধা হচ্ছে এর কর্মক্ষমতা । ইনক্যান্ডিসেন্ট ল্যাম্পের তুলনায় চার-পাঁচ গুণ বেশি আলো দেয় ।

২। এর আয়ুষ্কাল ইনক্যান্ডিসেন্ট ল্যাম্পের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি ।

৩। এর আলোতে কোনো ছায়ার সৃষ্টি হয় না ।

৪। ইনক্যান্ডিসেন্ট ল্যাম্পের তুলনায় এতে পাওয়ার অপচয় কম হয় ।

২।ফ্লওরেসেন্ট ল্যাম্পের অসুবিধা কি কি?
উত্তরঃ ফ্লওরেসেন্ট ল্যাম্পের অসুবিধা নিম্নে দেয়া হলো-

১। সাধারণ ফিলামেন্ট বাতি যে-কোনো তাপমাত্রায় কাজ করতে পারে, কিন্ত ফ্লওরেসেন্ট ল্যাম্প তাপমাত্রায় কিছুটা স্পর্শকাতর।

২। ফিলামেন্ট বাতির সরবরাহ ভোল্টেজ কমতে থাকলে তার চেয়ে অধিক হারে আলো কমে আসে,কিন্তু ভোল্টেজ বেশি কমলেও ফিলামেন্ট হতে সামান্য হলেও আলো নির্গত হতে থাকে ।

ফ্লওরেসেন্ট ল্যাম্পের সরবরাহ ভোল্টেজ কমতে থাকলে আলো সামান্য হারে কমে আসে। কিন্তু ভোল্টেজ বেশি কমলে এই ল্যাম্প হতে কোনো আলো নির্হত হয় না, বরং একেবারে নিভে যায় ।

৩। একটি ফ্লওরেসেন্ট টিউবলাইট এর স্ট্যাটাস ও চোক কয়েলের কাজ কি?
উত্তরঃ একটি ফ্লওরেসেন্ট টিউবলাইট এর স্ট্যাটাস ও চোক কয়েলের কাজ নিম্নে দেওয়া হলো-
 স্টার্টারঃ  সার্কিটের সুইচ অন করার পরর যেহেতু সামান্য পরিমাণ কারেন্ট প্রবাহিত হয়,সেহেতু চোক কয়েলের আড়াআড়িতে খুব সামান্য ভোল্টেজ ড্রপ হয় এবং স্টার্টারের পাত দুইটি আড়াআড়িতে সাপ্লাই ভোল্টেজের প্রায় সবটুকু প্রয়োগ হওয়ার ফলে একটি আলো জ্বলে উঠে । এ কারণেই এই স্টার্টারকে গ্লো টাইপ স্টার্টার বলে। তখন এখানে তাপের সৃষ্টি হয় এবং বাইমেটালিক পাতটি বাঁকা হয়ে স্থির ইলেকট্রোডের সাথে যুক্ত হয়। স্টার্টার রেজিস্ট্যান্স শূন্য হওয়ার কারণে তখন সার্কিটের মধ্য দিয়ে বেশি কারেন্ট প্রবাহিত হয়। এই কারেন্টের কারণে টিউবের দু'পার্শ্বের ফিলামেন্ট দু'টি গরম হয়ে 'ইলেকট্রন নির্গত হতে থাকে । সেই মুহূর্তে স্টার্টারের পাত দু'টি সংযুক্ত হবার কারণে আলো নিভে যায় এবং ঠান্ডা হয়ে পাত দু'টি আবার খুলে ফাঁক হয়ে যায়। এভাবেই একটি টিউবলাইট স্টার্টার কাজ করে ।

ব্যালাস্ট বা চোক কয়েলঃ একটি লোহার করের উপরে কিছু তার পেঁচিয়ে একটি কয়েল করা হয়। এই কয়েলের দু'টি অদ্ভত গুণ আছে, যথা-

১।যখন এসি সরবরাহের সাথে এই কয়েল সংযোগ করা হয় , তখন সেটি তার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কারেন্টের যে-কোনো পরিবর্তনকে বাধা দেয়। এবং

২। যখন কয়েলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কারেন্টকে হঠাৎ বন্ধ করে দেয়া হয়, তখন কয়েলটি ক্ষণিকের জন্য এতে প্রয়োগকৃত ভোল্টেজের বহু গুন বেশি ভোল্টেজ প্রদান করে ।

রচনামূলক প্রশ্নোত্তর ।।আধুনিক বৈদ্যুতিক বাতি

১। সোডিয়াম ভেপার ল্যাম্প এর গঠন ও কার্যপ্রণালী বর্ণনা করো ।
উত্তরঃ সোডিয়াম ভেপার ল্যাম্প এর গঠন ও কার্যপ্রণালী নিম্নে বর্ণনা করা হলো-

গঠনপ্রণালিঃ এই বাতি হাই-ইন্টেসিটি ডিসচার্জ ল্যাম্পের একটি। এটি নতুনতম ডিসচার্জ ল্যাম্প এবং মাত্র ১৯৬৫ সনে এটি বাণিজ্যিকভাবে পরিচিতি লাভ করে ।

চিত্রে এই ল্যাম্পের চিত্র দেখানো হয়েছে । এই ল্যাম্প বায়ুশূন্য একটি কাচের বাল্বের ভিতরে আরো একটি U-আকৃতির একটি টিউব থাকে । U-আকৃতির টিউবটির ভিতরে সোডিয়াম বাষ্প (Sodium Vapour) এবং স্বল্প পরিমাণে নিয়ন গ্যাস থাকে। টিউবটির দু'প্রান্তে দু'টি ট্যাংস্টেনের ফিলামেন্ট বা ইলেকট্রোড থাকে । এই দু'টি ফিলামেন্টকে উত্তপ্ত করার জন্য একটি ট্রান্সফর্মারের প্রয়োজন হয়,যাকে ফিলামেন্ট -হিটিং ট্রান্সফরমার বলা হয় । এই ল্যাম্প জ্বালাতে সরবরাহ ভোল্টেজের প্রায় দ্বিগুন ভোল্টেজের প্রয়োজন হয় এবং এই প্রয়োজন মিটাতে একটি অটো-ট্রান্সফর্মার সরবরাহ এবং ফিলামেন্ট হিটিং -ট্রান্সফর্মারের মাঝখানে সংযোগ করতে হয়। যখন ল্যাম্পের মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হতে শুরু করে তখন অতিরিক্ত ভোল্টেজ ধীরে ধীরে কমে স্বাভাবিক ভোল্টেজে ফিরে আসে।
                                                         চিত্রঃ সোডিয়াম ভেপার ল্যাম্প
কার্যপ্রণালিঃ  এ ল্যাম্পে যখন সরবরাহ দেয়া হয় , তখন প্রথমেই নিয়ন গ্যাস উজ্জ্বল হয়ে উঠে এবং হালকা লাল রং প্রদান করা শুরু করে। তারপর সোডিয়াম বাষ্পে আয়োনাইজেশন বা বিদ্যুতায়ন আরম্ভ হয়ে গেলে বাতি হতে বিভিন্ন আভাযুক্ত হলুদ রং বের হতে থাকে । ল্যাম্প পরিপূর্ণভাবে আলো দিতে ১৫ হতে ২০ মিনিট সময় নেয়।

275W এবং 400W-এই দুই সাইজের বাতি বর্তমানে পাওয়া যায় এবং 400W -এর বাতির একটি চিত্র দেখানো হয়েছে।

বোইদ্যুতিক আলোর যতগুলো জানা উৎস আছে , তার মধ্যে এই সোডিয়াম ভ্যাপার ল্যাম্পই সর্বোচ্চ আলো প্রদানকারী বাতি।

এর আলো প্রতি ওয়াটে 100 লিউমেনেরও উপরে ,যা ফ্লরেসেন্ট বা মার্কারি ল্যাম্পের প্রায় দ্বিগুণ এবং 500W ইনক্যান্ডিসেন্ট একটি ল্যাম্পের প্রায় পাঁচ গুণ ।

এর স্বভাবিক আয়ুষ্কাল 8000 (আট হাজার) ঘণ্টা। 400W-এর সোডিয়াম ভ্যাপার ল্যাম্পের দৈর্ঘ্য 9*3/4 ইঞ্চি ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি সিসি’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url