বিদ্যুৎ তৈরি করতে কি প্রয়োজন হয়-কিভাবে বিদ্যুৎ তৈরি করা হয়
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুৎ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি মাধ্যম। বিদ্যুৎ ছাড়া আমরা চলতে পারব না। বর্তমানে প্রায় প্রতিটি মানুষদের জীবনে বিদ্যুৎ এক বিশাল জায়গা দখল করে আছে। সকাল থেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পরও বিদ্যুতের প্রয়োজন আমাদের জীবনে রয়েছে। সেই বিদ্যুৎ আমরা কিভাবে পেয়ে থাকি, কিভাবে বিদ্যুৎ তৈরি হয়, বিদ্যুৎ তৈরি করতে কিসের প্রয়োজন হয় এ সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
আজকের লেখা বিদ্যুৎ তৈরি করতে কি প্রয়োজন হয়-কিভাবে বিদ্যুৎ তৈরি করা হয় এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। বিদ্যুৎ সম্পর্কিত সকল তথ্য জানতে হলে আজকের লেখা বিদ্যুৎ তৈরি করতে কি প্রয়োজন হয়-কিভাবে তৈরি করা হয় এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ুন।
সূচিপত্রঃ বিদ্যুৎ তৈরি করতে কি প্রয়োজন হয়-কিভাবে বিদ্যুৎ তৈরি করা হয়
বিদ্যুৎ তৈরি করতে কি প্রয়োজন হয়-কিভাবে বিদ্যুৎ তৈরি করা হয়
বিদ্যুৎ তৈরি করতে কি প্রয়োজন হয়-কিভাবে বিদ্যুৎ তৈরি করা হয় এ বিষয়ে এ যাবতীয় তথ্য জানতে হলে আজকের লেখা বিদ্যুৎ তৈরি করতে কি প্রয়োজন হয়-কিভাবে বিদ্যুৎ তৈরি করা হয় এই আর্টিকেলটি পড়ুন। ভোরের ঘুম থেকে উঠার পর এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত প্রতিটি মুহূর্তেই আমাদের বিদ্যুতের প্রয়োজন পড়ে। এই বিদ্যুৎ কোথা থেকে আসে, কিভাবে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়, এ সকল বিষয় নিয়ে আজকের আলোচনা।
একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান যা যান্ত্রিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।বেশিরভাগ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো একবার একাধিক জেনারেটর ব্যবহার করে। যা যান্ত্রিক শক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তর করে।যাতে সমাজের বৈদ্যুতিক প্রয়োজনের জন্য বৈদ্যুতিক গ্রিডকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারে। প্রায়সমস্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি জেনারেটর একটি ঘূর্ণন মেশিন আছে যা চুম্বকীয় ক্ষেত্র এবং কন্ডাক্টর এর মাধ্যমে আপেক্ষিক গতি তৈরি করে যান্ত্রিক শক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে।
অনেক সময় প্রবাহমান জলধারা ও বায়ুর সঞ্চিত গতি শক্তিকে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে বিদ্যুৎ তৈরি করা হয়। শক্তি উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্র-
- পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র
- ডিজেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র
- কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র
- সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র
- বায়ু শক্তি কেন্দ্র
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রঃ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলো জলকে বাষ্পে পরিণত করতে চুল্লিগুলির তাপ ব্যবহার করে। তারপরে বাক্সটি একটি টারবাইন এর মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়। যার সাহায্যে একটি জেনারেটরের চলাচল তৈরি করে যার ফলে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।
ডিজেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রঃ যখন জ্বালানি হিসেবে ডিজেল ব্যবহার করা হয় এবং এই জ্বালানি ব্যবহার করে প্রাইম মুভারকে ঘোরানো হয় এবং বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয় তখন তাকে ডিজেল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বলে। এটি সাধারণত কম বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়। এরকম জায়গায় স্থাপিত হয় এবং অনেক সময় আমরা শিল্পকলা কারখানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন মার্কেটে এটি ব্যবহার করে থাকি।
কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রঃ একটি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি একইভাবে কাজ করে। তবে বাষ্প তৈরির জন্য পারমাণবিক চুল্লি গরম করার জলের পরিবর্তে জ্বলন্ত কয়লা থেকে উত্তাপটি স্টিম টারবাইনকে শক্তি দেয়।
সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রঃ এখন আমরা জানবো একটি সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এই ধরনের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বিদ্যুতের রূপান্তর করতে সূর্যের শক্তি ব্যবহার করে। এটি ফটোভোলটাইক বা পিভি প্যানেল ব্যবহার করে অর্জন করা হয়। যা বেশ কয়েকটি সেমিকন্ডাক্টর কোষ থেকে তৈরি যা সূর্যের তাপেও শক্তি দ্বারা উষ্ণ হয়ে গেলে ইলেকট্রন গুলি প্রকাশ করে। সৌরশক্তি বিদ্যুৎ উৎপাদনের অন্যতম উপায়ে সৌর প্যানেল গুলি গ্রিলের সাথে সংযুক্ত হয়ে যায় এবং একটি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংস্থার পরিপূরক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলো ঘরোয়া পরিবেশেও ব্যবহার করা যেতে পারে এবং ব্যাটারিগুলোর সাহায্যে কোন জীবাশ্ম জ্বালানি না পড়ানো ছড়িয়ে পরিবারের জ্বালানি খরচ হ্রাস করতে পারে।
বায়ু শক্তি কেন্দ্রঃ সবশেষে আমরা জানব উইন্ড পাওয়ার প্লান্ট সম্বন্ধে।উইন্ড পাওয়ার প্লান্ট বা উইন্ড টারবাইন গুলি জেনারেটরকে ব্লেড এর সাথে সংযুক্ত করে বায়ু থেকে তাদের শক্তি অর্জন করে বায়ু দ্বারা সৃষ্ট ব্লেড গুলির আবর্তনশীল আন্দোলন একটি জেনারেটর কে শক্তি দেয়।সৌর শক্তির মতো এগুলি শক্তি জীবাশ্ম জ্বালানি না পোড়ানো ছাড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তবে কার্যকর ভাবে কার্যকর করতে আরও বেশি হার্ডওয়ারের প্রয়োজন হয় এবং আরো অনেকগুলো অংশ ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বিদ্যুৎ কি কি কাজে ব্যবহার করা হয়
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে দিনের শুরু থেকে রাতের শেষ পর্যন্ত বিদ্যুতের ব্যবহার অপরিহার্য। প্রত্যেকটি ধাপে ধাপে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে থাকি। আমরা বিদ্যুৎ ছাড়া এক মুহূর্ত আমাদের চলে না।বিদ্যুৎ দিয়ে বাল্ব চলে, বৈদ্যুতিক ফ্যান চলে, ফ্রিজ চালাতে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। মোবাইল বা কম্পিউটার চার্জ দিতে বিদ্যুতের ব্যবহার হয়। এই সকল জিনিস ছাড়া আমরা এক ধাপ ও এগোতে পারবো না।
মোবাইল, কম্পিউটার,বৈদ্যুতিক বাতি, ফ্রিজ, টিভি এগুলো সবকিছুই আমাদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জিনিস। বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করার পেছনে বৈদ্যুতের অবদান অপরিহার্য।বিদ্যুৎ ছাড়া আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারি না। বিদ্যুৎ ছাড়া কম্পিউটার বা মোবাইল চার্জ দেওয়া যায় না। কাজেই বলা যায় যে বিদ্যুৎ ছাড়া আমাদের সকল কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যাবে। বিদ্যুৎ দিয়ে বড় বড় কলকারখানার কাজকর্ম করা হয়। বিদ্যুৎ ছাড়া এই সকল কাজকর্ম করা অসম্ভব।
বিদ্যুৎ আমাদের জীবনে অনেক মূল্যবান অবদান রেখেছে।এখন বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ রয়েছে কিন্তু একটা সময় বিদ্যুতের ব্যবহার এতটা সহজ ছিল না বর্তমান সময়ে প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ রয়েছে। বিদ্যুৎ ব্যবহার করে মানুষ অনেক ধরনের কাজকর্ম করে। বিদ্যুৎ ছাড়া কোন মানুষ জীবনে উন্নতি করতে পারবেনা।প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে বিদ্যুতের ব্যবহার অপরিহার্য।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুৎ কতটা প্রয়োজন
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুৎ কতটা প্রয়োজন জানতে হলে ভিজিট করুন আমাদের আজকের লেখা বিদ্যুৎ তৈরি করতে কি প্রয়োজন হয়-কিভাবে বিদ্যুৎ তৈরি করা হয় এই আর্টিকেলটি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রত্যেকটা ধাপে ধাপে বিদ্যুতের ব্যবহার করে থাকি। সকালে ঘুম থেকে উঠার পর এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পরেও বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। রাতে ঘুমানোর সময় আমরা ফ্যান চালিয়ে ঘুমাই। আর এই ফ্যানটি বিদ্যুতের সাহায্যেই চলে। আমরা ঘরে যে বাল্ব ব্যবহার করি। সেটাও বিদ্যুতের সাহায্যেই জলে।
আমাদের জীবন যাত্রার মান সহজ করতে আমরা অনেক ধরনের ইলেকট্রনিক জিনিস ব্যবহার করি।যেগুলো বিদ্যুৎ ছাড়া চলে না। যেমন আমরা ফ্রিজ ব্যবহার করি।ফ্রিজ বিদ্যুৎ ছাড়া চলে না। এমনই অনেক ধরনের জিনিস রয়েছে।যেগুলো আমরা বিদ্যুতের সাহায্যে ব্যবহার করে থাকি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুতের ব্যবহার অপরিহার্য। প্রত্যেকটি ধাপে ধাপে আমরা বিদ্যুৎ ব্যবহার করে থাকি। আর এই বিদ্যুতের কারণে আমাদের জীবনযাত্রার মান অনেক সহজ হয়েছে। তবে প্রত্যেকটি জিনিসেরই একটা ভালো দিক এবং খারাপ দিক রয়েছে।বিদ্যুতের সাহায্যে আমরা এতকিছু ভালো করি।
তেমনি বিদ্যুতের খারাপ দিকে রয়েছে।বিদ্যুতে অনেক সময় শখ খেয়ে মানুষ মারা যায়।কাজেই বিদ্যুৎ ব্যবহার করার সময় অনেক সাবধানতার সাথে ব্যবহার করতে হবে। প্রকাশ থাকে যে এই বিদ্যুৎ যিনি তৈরি করেছিলেন তার নাম হলো বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্ক কলিং। বিদ্যুৎ এতটাই ভয়াবহ যে তার আবিষ্কারক কেও ছাড় দেয়নি। যিনি এই বিদ্যুৎ তৈরি করেছিলেন তিনিও বিদ্যুতেই প্রাণ হারিয়েছেন। কাজেই আমরা যারা প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করে থাকি। তারা অবশ্যই সাবধানতার সাথে বিদ্যুৎ ব্যবহার করব, না হলে যে কোন সময় বিপদের আশঙ্কা হতে পারে।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান কত
বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান কততম তা জানতে হলে ভিজিট করুন আমাদের আজকের লেখা বিদ্যুৎ তৈরি করতে কি প্রয়োজন হয়-কিভাবে বিদ্যুৎ তৈরি করা হয় এই আর্টিকেলটি। আজকের লেখা এই আর্টিকেলে বিদ্যুতের প্রয়োজন বিদ্যুতের উৎপাদন স্থল বাংলাদেশ বিদ্যুতের অবস্থান কততম সকল তথ্য নিয়ে লেখা হয়েছে আমাদের আজকের বিদ্যুৎ তৈরি করতে কি প্রয়োজন হয়-কিভাবে বিদ্যুৎ তৈরি করা হয় এই আর্টিকেলটি।
বিদ্যুৎ ছাড়া আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক কিছুই থমকে দাঁড়াবে। প্রতিনিয়ত আমরা বিদ্যুৎ থেকে সুবিধা নিয়ে থাকি। বাংলাদেশে এখন প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। বিদ্যুতের ছোঁয়ায় প্রত্যেকটি মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন হয়েছে।বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৮ তম।বিশ্বের.১২৭ টি দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৮ তম।
বিদ্যুৎ তৈরি করতে কি প্রয়োজন হয়-কিভাবে বিদ্যুৎ তৈরি করা হয় এটা নিয়ে শেষ কথা
বিদ্যুৎ তৈরি করতে কি প্রয়োজন হয়-কিভাবে বিদ্যুৎ তৈরি করা হয় এটা নিয়ে শেষ কথা বলতে গেলে বলতে হয় যে, বিদ্যুৎ ছাড়া আমাদের প্রতিনিয়ত অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে বিদ্যুতের প্রয়োজন অপরিহার্য। বিদ্যুৎ থেকে আমরা অনেক ধরনের সুবিধা ভোগ করে থাকি। বিভিন্ন কলকারখানা চলে বিদ্যুতের মাধ্যমে।
আমরা বর্তমানে ডিজিটাল যুগে মোবাইল ছাড়া কোন যোগাযোগ করতে পারিনা। এই মোবাইল চার্জ দেওয়া হয় বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। এক কথায় বলতে গেলে বলতে হয় যে, বিদ্যুৎ ছাড়া আমাদের সকল কার্যক্রম বৃথা। বিদ্যুতের ছোয়ায় আমরা আজ আধুনিক। আধুনিক এই সময়ে মোবাইল বা ল্যাপটপ বা ইন্টারনেট ছাড়া কোন কিছুই করা সম্ভব নয়। আর এগুলোর পেছনে সবচাইতে বড় অপরিহার্য উপাদান হল বিদ্যুৎ।
অর্ডিনারি সিসি’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url