বৈদ্যুতিক নিয়ন্ত্রক যন্ত্র

  


সূচীপত্র : বৈদ্যুতিক নিয়ন্ত্রক যন্ত্র

অধ্যায় নয়ঃ বৈদ্যুতিক নিয়ন্ত্রক যন্ত্র (Electrical Controlling Devices)

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ।। বৈদ্যুতিক নিয়ন্ত্রক যন্ত্র

১। DPST সুইচের প্রতীক আক এবং এর কারেন্ট রেটিং লেখ।

২। SPDT এবংDPST এর পূর্ণ নাম লেখ.

৩। MCB ওMCCB এর পূর্ণ নাম কি?

৪। মেইন সুইচ কি?

৫। SPST দ্বারা কি বুঝায়?

৬। কন্ট্রোলিং ডিভাইস বলতে কি বুঝায়?

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ।। বৈদ্যুতিক নিয়ন্ত্রক যন্ত্র

১। আকার আকৃতি কাজ এবং প্রয়োগ অনুসারে নাইফ সুইস কে কিভাবে ভাগ করা হয়?

২। DPST সুইচ কি এবং কোথায় ব্যবহার করা হয়?

৩। একটি ফ্লোরেসেন্ট  টিউব লাইটের বর্তনীর চিত্র একে বিভিন্ন অংশ চিহ্নিত করো.

৪। একটি বাতিকে দুটি জায়গা থেকে নিয়ন্ত্রণের বর্তনী অঙ্কন করো.

রচনামূলক প্রশ্ন ।। বৈদ্যুতিক নিয়ন্ত্রক যন্ত্র

১। একটি বাতিকে দুইটি সুইচ এর সাহায্যে দুটি স্থান হতে নিয়ন্ত্রণ এর সার্কিট চিত্র অঙ্কন করো।

২। কলিং বেলকে ইন্ডিকেটর ল্যাম্পসহ দুস্থান হতে নিয়ন্ত্রণের সার্কিট চিত্র অঙ্কন করো।

৩। চিত্রসহ ফ্লোরেসেন্ট টিউবলাইট এর কার্যপ্রণালী বর্ণনা করো।

অধ্যায় নয়ঃ বৈদ্যুতিক নিয়ন্ত্রক যন্ত্র (Electrical Controlling Devices)

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর  ।। বৈদ্যুতিক নিয়ন্ত্রক যন্ত্র

১। DPST সুইচের প্রতীক আক এবং এর কারেন্ট রেটিং লেখ।

উত্তর ঃ DPST সুইচের প্রতীক হলো-

এর কারেন্ট রেটিং 20 A 

২। SPDT এবংDPST এর পূর্ণ নাম লেখ.

উত্তর ঃ SPDT → Single Pole Double Throw.

            DPST → Doublle Pole Single Throw

৩। MCB ওMCCB এর পূর্ণ নাম কি?

উত্তরঃ MCB = মিনিয়েচার সার্কিট ব্রেকার।

         MCCB = মোলডেড কেজ সার্কিট ব্রেকার।

৪। মেইন সুইচ কি?

উত্তর ঃ বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীর গৃহাভ্যন্তরে বৈদ্যুতিক সার্কিট নিয়ন্ত্রণের জন্য যে সুইচ ব্যবহার করা হয়, তাকে মেইন সুইচ বলে ।

৫। SPST দ্বারা কি বুঝায়?

উত্তরঃ Single Pole Single Throw.

৬। কন্ট্রোলিং ডিভাইস বলতে কি বুঝায়?

উত্তর ঃ যে যন্ত্রের সাহায্যে বৈদ্যুতিক সার্কিটে বিদ্যুৎ প্রবাহের পথকে বন্ধ এবং খোলার ব্যবস্থা করা হয়, তাকে কন্ট্রোলিং ডিভাইস বা সুইচ বলা হয় । 

 সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর  ।। বৈদ্যুতিক নিয়ন্ত্রক যন্ত্র

১। আকার আকৃতি কাজ এবং প্রয়োগ অনুসারে নাইফ সুইস কে কিভাবে ভাগ করা হয়?

উত্তর ঃ নিম্নে নাইফ সুইচ এর শ্রেণিবিভাগ দেয়া হলো ঃ

 ১। স্লো-ব্রেক                                    ২। কুইক ব্রেক

৩। সিংগেল পোল                            ৪। ডাবল পোল

৫। ট্রিপল পোল                               ৬। সিংগেল ব্রেক  

৭। ডাবল ব্রেক                                 ৮। সিংগেল থ্রো 

৯। মেইন সুইচ।

২। DPST সুইচ কি এবং কোথায় ব্যবহার করা হয়?

উত্তর ঃ DPST এর অর্থ হলো  Double pole single throw.

দুইটি তারের সাথে সংযোগের উপযোগী করে তৈরি করা হয়।

মেইন সুইচ DPST সুইচের উদাহরণ এবং এটা সিংগেল ফেজ সার্কিটে ব্যবহার করা হয় ।

৩। একটি ফ্লোরেসেন্ট  টিউব লাইটের বর্তনীর চিত্র একে বিভিন্ন অংশ চিহ্নিত কর।

উত্তরঃ   একটি ফ্লোরেসেন্ট  টিউব লাইটের বর্তনীর চিত্র অঙ্কন করা হলোঃ 

৪। একটি বাতিকে দুটি জায়গা থেকে নিয়ন্ত্রণের বর্তনী অঙ্কন কর। 

উত্তর ঃ একটি বাতিকে দুটি জায়গা থেকে নিয়ন্ত্রণের বর্তনী অঙ্কন করা হলো ঃ 

 রচনামূলক প্রশ্নোত্তর  ।। বৈদ্যুতিক নিয়ন্ত্রক যন্ত্র

১। একটি বাতিকে দুইটি সুইচ এর সাহায্যে দুটি স্থান হতে নিয়ন্ত্রণ এর সার্কিট চিত্র অঙ্কন করো।

উত্তর ঃ  একটি বাতিকে দুইটি সুইচ এর সাহায্যে দুটি স্থান হতে নিয়ন্ত্রণ এর সার্কিট চিত্র অঙ্কন করা হলো ঃ

 চিত্রে একটি বাতিকে দুইটি দ্বিমুখী সুইচের সাহায্যে নিয়ন্ত্রনের সার্কিট চিত্র দেখানো হয়েছে।

এখানে সাপ্লাই লাইনকে জাংশন বক্সে আনা হয়েছে । জাংশন বক্সে ফেজ তারটি S1 সুইচের কমন টার্মিনালের সাথে যুক্ত করা হয় এবং অপর দুইটি টার্মিনাল হতে দুইটি তার (২) নং সুইচের দুইটি টার্মিনালের সাথে সংযুক্ত হয়। তারপর S2 সুইচের কমন টার্মিনাল হতে একটি তার বাতির হোল্ডারের একটি টার্মিনাল এবং হোল্ডারের অপর টার্মিনাল হতে আরেকটি তার সাপ্লাই - এর নিউট্রালের সাথে সংযোগ করা হয়।

যখন সুইচ S1 এবং S2 উভয়ই 1 অথবা 2 নং পজিশনে থাকে তখন লোডটি সাপ্লাই-এর সাথে সংযুক্ত থাকে । কিন্তু যদি সুইচ S1 এর পজিশন 1 এবং S2 এর পজিশন 2 হয় অথবা , যদি S1 এর পজিশন 2 এবং  S2 এর পজিশন  1 হয় , তবে লোডটি সাপ্লাই হতে বিচ্ছিন্ন হবে । এভাবে একটি লোডকে (বাতি) দুইটি সুইচের মাধ্যমে দুই স্থান হতে নিয়ন্ত্রন করা যায় ।

 ব্যবহার ঃ এই ধরনের সার্কিট সাধারণত সিঁড়িতে ব্যবহৃত হয়। এ ছারাও দুইটি কক্ষের মাঝে যদি কোন বাথরুম থাকে , সেখানেও ব্যবহার করা যায়। 

২। কলিং বেলকে ইন্ডিকেটর ল্যাম্পসহ দুস্থান হতে নিয়ন্ত্রণের সার্কিট চিত্র অঙ্কন করো।

উত্তর ঃ  কলিং বেলকে ইন্ডিকেটর ল্যাম্পসহ দুস্থান হতে নিয়ন্ত্রণের সার্কিট চিত্র অঙ্কন করা হলো ঃ

চিত্রে একটি পুশ বাটন সুইচের সাহায্যে একটি কলিং বেলকে নিয়ন্ত্রনের সার্কিট দেখানো হয়েছে।

অন্যান্য সার্কিটের মতো সাপ্লাই লাইনকে জাংশন বক্সে আনা হয়েছে। সাপ্লাই লাইনের ফেজ তারকে 'পুশ সুইচ' এর একটি প্রান্তের সাথে ,সুইচের অপর তারটিকে বেলের একটি তারের সাথে এবং বেলের অপর তারটিকে জাংশন বক্সে নিউট্রাল তারের সাথে সংযোগ করা হয়েছে।

এখানে বেলটিকে সরাসরি সাপ্লাই-এর সাথে সংযোগ করা হয়েছে । এটা করা যায় যদি বেলটি ২৫০ ভোল্টের হয়। যদি বেলটি বেশিক্ষন বাজানো হয় , তবে বেলের ভিতরের কয়েলের তার পুড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।কারণ কয়েলের তার বেশ সূক্ষ। বেলের নিরাপত্তার কারণে একটি বাতিকে বেলের সাথে সিরিজে সংযোগ করতে হয় । এই বাতিটিকে ইনডিকেটর ও বলা হয়।

ব্যবহার ঃ এই ধরনের সার্কিট বাসগৃহের প্রধান ফটকের পার্শ্বে এবং অফিসে ব্যবহৃত হয়।  

৩। চিত্রসহ ফ্লোরেসেন্ট টিউবলাইট এর কার্যপ্রণালী বর্ণনা করো।

উত্তর ঃ ফ্লোরেসেন্ট টিউবলাইট সার্কিটের চিত্র অঙ্কন ঃ 

ফেজ লাইনের সাথে একটি সুইচ (একমুখী) , একটি চোখ কয়েল , টিউবলাইটের দুইটি ফিলামেন্ট এবং স্টার্টারকে সসিরিজে সংযোগ করা হয়েছে। যখন সার্কিটের সুইচটি অন করা হয়,তখন টিউবের উচ্চ রেজিস্ট্যান্সের কারণে খুব সামান্য একটি কারেন্ট প্রবাহিত হয় । টিউবের সাথে সংযুক্ত স্টার্টারটিতে একটি U আকৃতির বাইমেটালিক পাত এবং  একটি স্থির ইলেকট্রোড আছে। সুইচ অন করার মুহূর্তে এই পাত দুইটি খোলা থাকে। 

 সুইচটি অন করার পর যেহেতু সামান্য কারেন্ট প্রবাহিত হয়।, সেহেতু চোক কয়েলের আড়াআড়িতে খুব সামান্য ভোল্টজ-ড্রপ হয় এবং স্টার্টারের পাত দুইটির আড়াআড়িতে সাপ্লাই ভোল্টেজের প্রায় সবটুকু প্রয়োগ হবার ফলে একটি আলো জলে উঠে। এই কারণেই এই স্টার্টারকে গ্লো টাইপ বলে। তখন এখানে তাপের সৃষ্টি হয় এবং বাইমেটালিক পাতটি বাঁকা হয়ে স্থির ইলেকট্রডের সাথে যুক্ত হয়। স্টার্টারের রেজিস্ট্যান্স শূন্য হবার কারণে তখন সার্কিটের মধ্য দিয়ে বেশি কারেন্ট প্রবাহিত হয়। 

এই কারেন্টের কারণে ফিলামেন্ট দুইটি গরম হয়ে ইলেকট্রন নির্গত হতে থাকে।সে মুহূর্তে স্টার্টারের পাত দুইটি সংযুক্ত হবার কারণে আলো নিভে যায় এবং ঠান্ডা হয়ে পাত দুইটি আবার খুলে ফাঁক হয়ে যায়।

চিত্র ঃ সর্টার 

যখন এই ঘটনা ঘটতে থাকে ,তখন চোক কয়েলে একটি উচ্চ মানের ভোল্টেজের সৃষ্টি হয়,যা টিউবের আড়াআড়িতে পারদ বাষ্পকে নিক্ষেপ করে । ফলে ইলেকট্রন টিউবের ভিতর চলাচল করে এবং আলো জ্বলে উঠে।

একবার যখন টিউবের ভিতর কারেন্ট যাতায়াত শুরু করে ,তখন স্টার্টারের ভিতর দিয়ে আর কোন কারেন্ট প্রবাহিত হয় না। ফলে যতক্ষন পর্যন্ত সরবরাহ ভোল্টেজ থাকে , ততক্ষন পর্যন্ত টিউব্লাইট জ্বলতে থাকে।

এখানে উল্লেখ্য , ফ্লোরেসেন্ট টিউবের দৈর্ঘের কারণে টিউবের মধ্য দিয়ে ডিসচার্জ ঘটানোর জন্যে অত্যন্ত উচ্চ ভোল্টেজের প্রয়োজন হয় এবং এই কারণেই চোক কয়েল এবং স্টার্টারের প্রোয়জন পড়ে ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি সিসি’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url