ফুসফুস ভালো আছে কিনা বোঝার উপায়

মানবদেহে একটু গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো ফুসফুস। আমাদের শরীরে হৃদপিণ্ড রয়েছে বুকের বাঁ দিকে। ফুসফুস এর অবস্থান এই হৃৎপিণ্ডের দুই পাশ জুড়ে। শ্বাস প্রাশ্বাসে সাহায্যে করা ফুসফুস এর মূল কাজ।দুইটি ফুসফুস রয়েছে মানব দেহে। ব্রংকাস বলা হয় একতে দুটি ফুসফুস কে। বেলুন এর মত ফুলে যায় শ্বাস নেওয়ার সময় এবং আগের অবস্থায় ফিরে আসে শ্বাস ছাড়ার পর। দেহের বেলুনও বলা হয় ফুসফুস কে।

আমাদেরকে  ফুসফুস ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় জানতে  হবে। কারণ আমরা সকলেই জানি ফুসফুস মানব দেহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তাই ফুসফুসের কোন সমস্যা হলে শরীরের অনেক ব্যাপক ক্ষতি হবে। ফুসফুস ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় গুলো আমাদের অনেক ভালোভাবে অভ বিস্তারিত জানতে হবে। যেন ফুসফুসের কোন সমস্যা হলে আমরা দ্রুত কোন পদক্ষেপ বা  চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারি ।

সূচিপত্র : ফুসফুস ভালো আছে কিনা বোঝার উপায়

তাহলে চলুন  বিস্তারিত  জেনে নেওয়া যাক ফুসফুস ভালো আছে কিনা বোঝার উপায়।

ফুসফুসের কাজ কি

ফুসফুসকে আমাদের মানব দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ বলা হয়।আমরা নিঃশ্বাস নিয়ে থাকি ফুসফুসের সাহায্যে। নিঃশ্বাস গ্রহণ করতে এবং নিঃশ্বাস ছাড়তে পারবো না যদি আমাদের এই ফুসফুস না থাকে। আমাদের সব সময় সাহস শ্বাস  গ্রহণ করার প্রয়োজন পড়ে। অনেক বেশি  শক্তি ব্যবহার করতে হয় আমাদের শ্বাস গ্রহণ করার জন্য আর ডায়াফ্রাম বলা হয় এই পেশী কে। আমাদের ফুসফুসের জন্য ডায়াফ্রাম এর পেশী গুলো  খুবই গুরুত্বপূর্ণ।ডায়াফ্রাম বা পেশী নিঃশ্বাস গ্রহণ কাজটি সম্পাদন করে থাকে আমাদের শরীর কে একটু বাঁকা করে। 

শরীরের ভেতর অক্সিজেন প্রবেশ করায় ডায়াফ্রাম এই ভাবে যখন অক্সাইড বের করার প্রয়োজন হয় তখন একয় ভাবে ডায়াফ্রাম কার্বন ডাই অক্সাইড বের করে দেয়।এইরকম ভাবে ফুসফুস থেকে বাতাস বের হয় আবার বাতাস ভিতরে যাই। নাক ও মুখের প্রয়োজন হয় এ বাতাস প্রবেশ করার জন্য। মুখ ও নাখের ভেতর থেকে অক্সিজেন ভেতরে প্রবেশ করে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড বের হয়।  মিউকাস মেমব্রেন নামের একটি অঙ্গ রয়েছে আমাদের নাকের ভিতরে। আমাদের নাক মুখ দিয়ে যখন বাতাস প্রবেশ করে ফুসফুসে তখন বাতাসের সাথে ময়লা আবর্জনা থাকে না অঙ্গের কারণে। 

ময়লা গুলোকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয় না মিউকাস মেমব্রেন। আমরা যদি গরম বাতাস গ্রহণ করে থাকি তখন সেই বাতাস কে ঠান্ডা করে দেয় মিউকাস মেমব্রেন। আবার কোন সময় যখন অতিরিক্ত ঠান্ডা বাতাস নাক দিয়ে গ্রহণ করে থাকি তখন সেই ঠান্ডা বাতাস কেন নরমাল করে দেয় এই মিউকাস মেমব্রেন। এরপরে বাতাসটা ফুসফুসের ভেতরে প্রবেশ করে। ফুসফুস ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় গুলো জানার আগে জানতে হবে ফুসফুসের কাজ কি এবং ফুসফুস কিভাবে মানবদেহে কাজ করে। ফুসফুস ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় এর মধ্যে এটি একটি।

যে সকল খাবার খেলে ফুসফুস ভালো থাকবে

বর্তমানে স্বাস্থ্যের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে বায়ু দূষণ। এর ফলে জটিল রোগ দেখা দিচ্ছে। বেশি  সমস্যা দেখা দিচ্ছে ফুসফুসে। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন বায়ু দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থাকে। টমেটো এর মধ্যে অন্যতম। শ্বাসতন্ত্রের  সুরক্ষা হিসেবে কাজ করতে পারে টমেটোতে থাকা লাইকোপেন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাছাড়া কমলা, আঙ্গুর, পেয়ারা, ভিটামিন সি জাতীয় ফল নিয়মিত খেতে হবে। ফুসফুস ভালো রাখে এসব ফল। ফুসফুস ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় এর মধ্যে যে সকল খাবার খেলে ফুসফুস ভালো থাকবে এমন কয়একটি খাবার সম্পকে নিচে উল্লেখ করা হলো:
আপেল 
অনেক উপকারিতা রয়েছে আপেল খাওয়ায়। একটি বিশেষ গবেষণায় দেখা গেছে যারা সপ্তাহে দুইটি থেকে পাঁচটি আপেল খায়, তাদের অ্যাজমা হওয়ার ৩২ ভাগ ঝুঁকি কমে যায়। ফ্লাবোনয়েড রয়েছে আপেলের মধ্যে। শ্বাস নেওয়ার পথকে পরিষ্কার রাখে এবং ফুসফুস কে ভালো রাখে। 

হলুদ 
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে পরিচিত হলুদ। হলুদ ফুসফুস কে  দূষিত কনা  প্রভাব থেকে সুরক্ষা দিতে কাজ করে। হলুদ ও ঘি এর মিশ্রণ কাজ করে কফ ও আ্যাজমা সমস্যা  সমাধানে।

গাজর 
গাজরের একটি চমৎকার খাবার ফুসফুস কে ভালো রাখতে। বিভিন্ন  অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট  ও বেটা কোরুটিন এর জন্য গাজর প্রসিদ্ধ। ভিটামিন এ তে রূপান্তরিত হয় বেটা ক্যারটিন  শরীরে গিয়ে। 

রসুন 
অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি  রয়েছে রসুনের মধ্যে।অনেকদিন থেকে ভাইরাসজনিত সংক্রমে প্রতিরোধের রসুন ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ফুসফুস ক্যান্সার সহ অ্যাজমা ও প্রতিরোধ করে রসুন।

অ্যাভোকাডো
 প্রয়োজনীয় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে এভোকাডোর মধ্যে। এর নাম গ্লট্যাথাইওয়ান। রোগ নিরাময়কারী  গুণ রয়েছে এর মধ্যে।অ্যাভোকাডো ফুসফুস ভালো রাখতে বেশ উপকারী খাবার।
 
প্রোটিন
ডিম, মাছ, দুধ, মাংস, ডাল, বাদাম জাতীয় খাবার প্রোটিনের উৎস হিসেবে কাজ করে। পরিমাণ মতো প্রোটিন প্রতিদিন খাবারের তালিকা রাখতে হবে। তাহলে ফুসফুসের পেশির ও শ্বাসযন্ত্রের পেশির কার্যকারিতা সঠিক থাকবে।

ভিটামিন ডি
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ভিটামিন ডি। অনেক গবেষণা দেখা গেছে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি শরীরে দেখা দিলে ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। সূর্যের আলো অন্যতম একটি উৎস। এর পাশাপাশি ডিম, দই, দুধ, মাংস ইত্যাদি থেকে পাওয়া যায় ভিটামিন ডি। 

দানাশস্য 
লালা আটা, লাল চাল, ওটস, বার্লি ইত্যাদি ফুসফুসের জন্য ভালো। এ সকল খাবার থেকে যে আশঁ পাওয়া যায় তা ফুসফুসের জন্য উপকারী। এবং এতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট,আন্টি ইনফ্লামেট্রি, সেলিনিয়াম, ভিটামিন ই যা ফুসফুসের কার্যকারিতা ঠিক রাখতেও ফুসফুস সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

সবুজ শাকসবজি 
ফুসফুস ভালো রাখার ক্ষেত্রে সাহায্য করে সবুজ শাকসবজি।অনেক উপকারিতা রয়েছে সবুজ শাকসবজি খাওয়ার। ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধি থেকে দূরে রাখে সবুজ শাকসবজি খেলে।দৈনিক খাবারে এইসব শাকসবজি রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে পালং শাক, মেথির শাক,বরবটি, ব্রকোলি,মটরশুঁটি, শিম এই সকল শাকসবজি নিয়মিত খেলে ফুসফুস ভালো থাকবে। 

কফি 
ক্যাফেইন থাকে কফি তেযা ফুসফুসের জন্য অনেক উপকারী।কিন্তু তা নিয়মিত খেতে হবে। কফিতে অনেক পলিফেনলস থাকে যা ফুসফুস কে ভালো রাখে। তাই নিয়মিত কফি পান করতে হবে। একি আপনাকে এবং ফুসফুস কে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

ফুসফুস পরিষ্কার রাখার উপায়

ফুসফুসের মাধ্যমে আমরা শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে বেঁচে আছি।  গ্রহণ করে চলেছে নিয়মিত বাতাস থেকে এই অঙ্গটি। ফুসফুস বেশি দূষিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে যারা ধূমপান করেন এবং অনেক ভুলাবালি যুক্ত রাস্তায় চলাফেরা করেন। এর জন্য অনেক সময় ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, হাঁপানি, সিস্টিক ফাইব্রোসিসের মতো সমস্যা দেখা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে  প্রতি বছর ৪২ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় বায়ু দূষণের কারণে। তাই এই ধরনের সমস্যা এড়াতে আমাদের ফুসফুস কে পরিষ্কার রাখতে হবে সুরক্ষা করতে হবে। আপনার ফুসফুস ভালো আছে কিনা বোঝার উপায়  মধ্যে ফুসফুস পরিষ্কার রাখতে হবে। ফুসফুসের স্বাস্থ্য বজায় রাখা অপরিহার্য কারণ শরীরের বাকি অংশকে সুস্থ রাখার জন্য। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক ফুসফুস পরিষ্কার রাখার উপায় :
 
কাশি
আপনার ফুসফুস কে পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে কাশি। শুনতে একটু অবাক লাগতে পারে। শরীরে আটকে থাকা টক্সিন গুলো বের করে দেওয়ার উপায় কাশি যা প্রাকৃতিকভাবে বের করে দেয়। অতিরিক্ত,শ্লেষ্মা  ঢিলা করে তার শাসনালী দিয়ে বের করে দেয় নিয়ন্ত্রিত কাশি ফুসফুস থেকে।

বাস্প থেরাপি 
শ্লেষ্মা নিষ্কাশন করতে সাহায্য করে বাষ্পেথেরাপি বা বাস্প নিঃশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করলে ফুসফুসে শ্লেষ্মা ঝিল্লি কে যেতে এবং রক্ত প্রবাহ কমিয়ে দিতে পারে  ফুসফুসে সমস্যার কারণে  বা ঠান্ডা অথবা শুষ্ক বাতাসে।

 ব্যায়াম
প্রতিদিন ব্যায়াম করলে মানুষের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।নিয়মিত ব্যায়াম করলে হৃদরোগ স্ট্রোক সহ অনেক অনেক রোগে ঝুকি হ্রাস হয়।

নিঃশ্বাসের ব্যায় 
ফুসফুসকে অনেকটা পরিষ্কার করতে পারা যায় নিঃশ্বাসের ব্যায়াম।নিঃশ্বাসের ব্যায়াম করার জন্য আপনাকে সোজা হয়ে শুয়ে এবং কোমরের নিচে একটি বালিশ দিতে হবে, যাতে বুক একটু নিচের দিকে থাকে। এরপরে আস্তে আস্তে নাক দিয়ে  নিঃশ্বাস নিতে হবে ও মুখ দিয়ে ছাড়তে হবে। 

গ্রিন টি 
অনেক এন্ডঅক্সিডেন্ট থাকে গ্রিন টি তে। ফুসফুসের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে গ্রিন টি।দিনটি ফুসফুসের টিস্যু গুলোকে ধুয়ে   ইনহেলেশনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে। 

প্রদাহ বিরোধী খাবার 
শ্বাসনালীতে প্রদাহ হলে কষ্ট হয় এবং বুক ভারী হয়ে যায় এবং জমাট বোধ মতো সমস্যা দেখা দেয়। এবং একটি দূর করার জন্য প্রাকৃতিক ভাবে প্রদাহ বিরোধী খাবার খাওয়া অনেক ভূমিকা রয়েছে। প্রদাহ বিরোধী খাবার হিসেবে বিভিন্ন শাক, চেরি ফল, হলুদ, ব্লুবেরি, আখরোট, জলপাই, মসুরের ডাল, মটরশুঁটি ইফতারি খেতে পারেন। 

ফুসফুস ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় এর মধ্যে অবশ্যই আপনাকে ফুসফুস পরিষ্কার রাখতে হবে ফুসফুস পরিষ্কার  রাখতে হলে কি কি করতে হবে তা জানতে হবে।

ফুসফুসের সমস্যার সাধারণ লক্ষণ

ফুসফুসের সমস্যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। ফুসফুসে সমস্যায় ফেলতে পারে আপনাকে জীবনযাপনের অনেক অভ্যাস ও ধূমপান। অনেকেই মাঝে মধ্যে বুকে ব্যথা ও ঠান্ডা লাগার সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ধরনের সমস্যা তাই হতে থাকলে ভালো লক্ষণ না। কারণ ফুসফুসের সমস্যা ও ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রধান লক্ষণ এগুলো। অনেকের মনে একটি ভুল ধারণা রয়েছে  যে ফুসফুসের সমস্যা শুধু বয়স্কদেরই হয়। কিন্তু অসুখের জন্য কোন নির্দিষ্ট বয়স লাগে না।  ফুসফুস ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় এর মধ্যে  সাধারণ লক্ষণ গুলো দেখা দিলে আপনাকে সতর্ক হতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন লক্ষণ গুলো দেখা দিলে আপনি সতর্ক হবেন :

পিঠে ও কাঁধে ব্যথা 
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে পিঠে ও কাঁধে ব্যথা অনুভব করেন কি আপনি? যদি করেন তাহলে এটি কিন্তু সাধারণ কোন ক্লান্তির কারণে নয়। এর কারণ হলো শরীরের একটি অংশে সমস্যা হলে অপর অংশ সমস্যা দেখা দিতে পারে। এধরনের ব্যথাকে চিকিৎসকেরা বলে রেফার্ড  পেন।

প্রায় সর্দি কাশি হলে 
মোটেও ভালো  লক্ষণ নয় প্রায় সর্দি কাশি হওয়া। যদি ঘন ঘন সর্দি কাশি বা ঠান্ডা লাগে তাহলে বুঝে নেবেন আপনার শরীরের ভিতরে কোন সমস্যা দেখা দিচ্ছে।অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায়, কাশি একবার হলে তার সহজেই ভালো হতে চায় না। দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। 

নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা
নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট  হলে বা নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হলে অবহেলা করা যাবে না। এরকম সমস্যা দেখা দিলে আপনাকে বুঝতে হবে আপনার ফুসফুসে কোন সমস্যা হয়। ফুসফুসের আশেপাশে প্রদাহ সৃষ্টি হলে এমন হয়ে থাকে। এ ধরনের সমস্যা আপনার মাঝে দেখা দিলে দ্রুত  চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 

সারাক্ষণ ক্লান্তি 
ঠিকমতো খাবার খাচ্ছেন, ঠিকমতো ঘুমাচ্ছেন কিন্তু শরীরের ক্লান্তি যাচ্ছে না। এমনটা যদি হয়ে থাকে তাহলে  সতর্ক হোন। সারাক্ষন  ক্লান্তি বোধ করা সাধন কোন সমস্যা নয়। শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন যেতে পারে না যদি ফুসফুস ঠিকভাবে কাজ না করে । যে কারণে ক্লান্তি ভাব হয়।

গলার আওয়াজ পরিবর্তন 
সতর্ক হতে হবে যদি হঠাৎ করে আপনার গলার আওয়াজ পরিবর্তন আসে। অনেকেই ভাবেন সর্দি কাশির কারণে গলার স্বরে বদলে গেছে। কিন্তু এই সমস্যা যদি দিনের পর দিন চলতে থাকে তাহলে মারাত্মক সমস্যা ধারণ করতে পারে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ফুসফুস ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় এর শেষ কথা

আমরা আজকে ফুসফুস ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি।আশা করি আমরা সকলে ফুসফুস ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছি। উপরোক্ত আলোচনায় আমরা জেনেছি ফুসফুসের কাজ কি, যে সকল খাবার খেলে ফুসফুস ভালো থাকবে, ফুসফুসের সমস্যার সাধারণ লক্ষণ, এবং ফুসফুস পরিষ্কার রাখার উপায়, এ সকল বিষয়ে আমরা জেনেছি। ফুসফুস ভালো রাখতে হলে আমাদের প্রথমেই ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। কারণ ধূমপান ফুসফুস কে ব্যাপক ভাবে ক্ষতি করে। উপরের আলোচনায় ফুসফুস ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় গুলো আমরা নিজে জানব ও অপরকে জানতে সাহায্য করবো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি সিসি’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url