হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার

 আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার সম্পর্কে। আমরা অনেকেই না জেনে অনেক কিছু খেয়ে ফেলি যা আমাদের সাস্থ্যের জন্য একে বারেই উপকারি নয় বরং এই সব খাবার খেলে আমাদের অনেক রোগের সম্মুখীন হতে হয়। তাই হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তো চলুন আমরা জেনে নিই হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার সম্পর্কে।  

হার্ট ভালো থাকলে আমাদের শরীর ভালো থাকবে। তাই আমাদের শরীরকে ভালো রাখার জন্য অবশ্যই হার্ট ভালো রাখতে হবে। তাই হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। হার্ট ভালো থাকলে মন ভালো থাকে আর মন ভালো থাকলে শরীর  ভালো থাকে। তাই আমাদের উচিত হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার সম্পর্কে। 

সূচিপত্র : হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার

হার্টের রোগের জন্য ঔষধ কি

হার্টের রোগীদের জন্য সব সময় ঔষধ রাখতে হয়। কেননা কোন সময়ে তাদের সমস্যা দেখা দেয় তা জানা থাকে না। যদি কখন বুঝতে পারেন যে আপনার সমস্যা হচ্ছে বা হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে , তখনি ডাক্তরের পরমর্শ  অনুযায়ী যে ঔষধ আপনাকে খাওয়ার কথা বলা হয়েছে সেসব ঔষুধ খেয়ে নিবেন। আর বেশি সমস্যা মনে হলে আশেপাশের কোনো হাঁসপাতালে দ্রুত যোগাযোগ করবেন। এখানে কিছু ওষধের নাম দেওয়া হলো যা হার্টের রোগের জন্য প্রয়োজনীয়।  

  • আর টি ভি ৫ টেবলেট
  • ভাস্টারেল  এম আর ৬০ এম জি টেবলেট
  • প্রিক্লোট টেবলেট
  • মিবেটা এর আর -৪০ টেবলেট

হার্টের রোগীর খাবারের তালিকা

হার্টের সমস্যা দূর করার জন্য কিছু খাবার খাদ্যের তালিকায় যোগ করতে হবে। যেমন - ফলমূল ও শাকসবজি, বাদাম ও বীজ, শিম ও মটরজাতীয় খাবার, সামুদ্রিক মাছ, অলিভ অয়েল তেল ইত্যাদি। নিচে কিছু খাবারের বর্ণনা দেওয়া হলোঃ  

শাকসবজি

সবুজ শাকসবজি আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য এবং বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচার জন্য খুব উপকারী। শাকসবজি তে থাকা ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের দেহের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তাই আমাদের দেহ ও হৃদপিন্ডকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিনের খাবার তালিকায় সবুজ শাকসবজি রাখা উচিত। 

বাদাম

নিয়মিত চিনা বাদাম খেলে হৃদরোগ প্রতিরোধে উপকার পাওয়া যায়। এটি কোরেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করে। এই বাদাম রক্তের ছোট জমাট বাঁধা বন্ধ করতে সহায়তা করে এবং হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।

শিম 

করোনারি হার্ট ডিজিস কমাতে  সাহয়তা করে ম্যাগনেশিয়াম যুক্ত শিম। এটি স্ট্রোক এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিকস কমাতেও সাহায্য করে। 

সামুদ্রিক মাছ

প্রতিটি আমিষজাতীয়  খাদ্যই শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তাই সামদ্রিক মাছ  প্রতিটি মানুষের জন্য অনেক প্রয়জনীয়। সামুদ্রিক মাছে  আছে প্রটিন, ওমেগা-৩ নামক ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি হৃদযন্ত্রের জন্য  অনেক উপকারি এবং হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এটি অনেক কম ক্যালরি যুক্ত খাবার। বেশির ভাগ সকল সামুদ্রিক মাছে ভিটামিন ডি ও ভিটামিন এ থাকে। যা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। সামুদ্রিক মাছের উপকারীতার কোনো শেষ নেই।  

অলিভ অয়েল তেল 

জলপাই তেল সব থেকে জনপ্রিয় স্বাস্থ্যকর তেলের মধ্যে একটি। এই তেল পলিফেনল নামক উদ্ভিদ ভিত্তিক যৌগগুলোকে লোড করতে সাহায্য করে যা হৃদরোগ দমনকারীর সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত থাকে। অলিভ অয়েল বা জলপাই তেলে সাস্থ্যকর চর্বিও আছে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। 

হার্টের ব্লক দূর করার খাবার

হার্টের সমস্যা  প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। আগে সাধারণত বয়স্ক দের মাঝে এই রোগ দেখা যেত, কিন্তু বর্তমানে ছোট বড় কম বেশি সবারই এই রোগ দেখা দিচ্ছে। তাই আমদের সতর্ক  থাকা উচিত এই রোগ থেকে বাঁচার জন্য। আমাদের বিভিন্ন খাদ্যে ভেজালের কারণে এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই আমাদের খাবারের দিকে সচেতন  হওয়া উচিত। হার্ট ভালো  রাখার জন্য বিভিন্ন ফলের উপকারিতা অনেক। বিভিন্ন ফল খেয়ে এই রোগমুক্ত হওয়া যায়। হার্টের জন্য উপকারি খাবার  যেমন - আপেল, ন্যাশপাতি, কলা, কমলা, পেয়ারা ইত্যাদি।  

আপেল 

আপেল আমাদের কাছে একটি জনপ্রিয় ফল। আপেণ খেতে বেশ সুস্বাদু। আপেল পছন্দ করে না এমন মানুষ পাওয়া যাবে না । তবে আপেল বিভিন্ন কালারের হয়ে থাকে ,যে কালারের হক না কেন আপেল পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল। আপেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা হজমে সহায়তা করে এবং স্বাস্থ ভালো রাখে । আপেল প্রচুর পরিমাণে এন্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যা শরীরের জন্য বেশ উপকারি। এছাড়াও আপেলে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে রয়েছে যা হার্ট ভালো রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

নাশপতি

নাশপতি অনেক উপকারী একটা ফল যা  আয়রন সমৃদ্ধ, ফাইবার সমৃদ্ধ ফল। ফাইবার সমৃদ্ধ ফল হওয়ার কারণে এটি আমাদের হজমে বেশ ভূমিকা পালন করে এবং আয়রন সমৃদ্ধ হওয়অর কারণে রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও নাশপাতি ফল শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টর দূর করে। নাশপাতি ফল শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং হাড়ের সমস্যা দূর করে। তাহলে আমরা বলতে পারি নাশমতি ফল শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য কি প্রয়োজন। তাছাড়া নাশপাতি হলে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে। তাই হার্ট ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন ফল খাওয়া প্রয়োজন । 

কলা

কলা একটি এবং পুষ্টিকর ফল । কলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ভিটামিন বি ভিটামিন সি রয়েছে। তাছাড়াও কলাতে  প্রচুর পরিমাণে আই ডোন্ট নো ক্যালসিয়াম রয়েছে। কলা শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকাই শরীরে কোন প্রকার চর্বি জমতে দেয় না। যার ফলে কলা শরীরের পরিমাণ কমিয়ে শরীল নিয়ন্ত্রণ রাখে। সেজন্য আমরা বলতে পারি আর ভালো লাগছে নিয়মিত কলা খাওয়া উচিত। 

কমলা

কমলা একটি সাইট্রাস টা জাতীয় ফল। কমলা লেবুর রস অত্যন্ত উপকারী শরীরের অধিকাংশ রোগ কমলা লেবুর রস খাওয়ার মাধ্যমে ভালো হয়। কমলালেবু খেলে শরীরে ক্লান্তি দূর হয়। কমলালেবু খেলে শরীরের রুচি বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের শক্তিও বৃদ্ধি পায়। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। যার ফলে শরীরে ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ করে। বেশি মাত্রায় লেবুর রস খেলে শরীরে চর্বি বা মেয়ের জমতে দেয় না। যার ফলে শরীরকে অনেক ফিট মনে হয়। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত কমলা খান। 

পেয়ারা 

পেয়ারা এই ফলটি সারা বছর পাওয়া যায় এবং দামে অনেক সস্তা। এরপর সস্তা হওয়া সত্ত্বেও অনেক পুষ্টিগুনে ভরা। পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। যার ফলে ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ করে। একটি পেয়ারাতে চারটি আপেল এবং চারটি কমলালেবুর সমান পুষ্টিগুণ থাকে। পেয়ারা খেলে দাঁত ও মারি অনেক সুস্থ থাকে। শরীর সুস্থ রাখার জন্য আমাদের নিয়মিত পেয়ারা খাওয়া উচিত। পেয়ারা শরীরে কলেস্টরেরকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। পেয়ারা খেলে হার্ট ভালো থাকে। প্রায় হার্ট ভালো রাখতে নিয়মিত পেয়ারা খান। 

হার্টের সমস্যা সমাধানের উপায়

হার্ট আমাদের শরীরের গুরুত্বপুর্ণ একটি অংশ। তাই সবাই চাই তার হার্ট জেনো ভালো থাকে। হার্টের বিষয়ে অনেকেই চিন্তিত। তবে সচেতনতা এই রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে। হার্ট সুস্থ রাখতে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হবে। নিয়ম গুলা হলো ঃ

ধুমপান না করা : ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তা আমরা সবাই জানি কিন্তু তা মানি কয়জন? তাই হার্টকে সুস্থ্য রাখতে ধুম্পান থেকে বিরত থাকতে হবে। 

যৌন কার্যকলাপ বজায় রাখুন : হার্টের জন্য মিলন উপকারী। শরীর সতেজ রাখার অন্যতম গুরুত্বপুর্ণ উপায় হলো যৌন কার্যকলাপ বজায় রাখা। 

লবণের পরিমাণ কমিয়ে দিন : দৈনিক খাবারে লবণ কমিয়ে দিন। খাদ্যে লবনের পরিমাণ বেশি থাকলে হাইপারটেনশন এবং হার্টের সমস্যা দেখা দেয়। লবণের পাশাপাশি  জাঙ্কফুডের পরিমাণ কমাতে হবে।  

হার্টের ব্লক দূর করার উপায়

করোনারি এনজিওপ্লাস্টি এক ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে এথেরোস্কলেরোসিস দ্বারা সংকুচিত করোনারি ধমনীতে একটি বেলুন ব্যবহার করে ব্লকেজ খোলা হয়। এই পদ্ধতিটি হৃৎপিণ্ডে রক্তের প্রবাহ উন্নত করে। এথেরোস্কলেরোসিস এমন একটি অবস্থা যেখানে ধমনীর ভেতরের দেয়ালে প্লাক নামক একটি উপাদান জমা হয়। 

হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার এর শেষ কথা 

হার্ট ভালো রাখার জন্য অবশ্যই খাবারের দিকে সচেতন হতে হবে। অনেক সময় খাবারের কারণ থেকে হার্টের সমস্যা দেখা দেয়। তাই যে সমস্থ্য খাবার হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার সেই সমস্থ্য খাবার বাদ দিতে হবে। আমরা যদি ওপরের খাবার গুলো নিয়মিত খেতে থাকি তাহলেই আমাদের হার্ট অনেকটা ভালো থাকবে। সেজন্য আমরা চেষ্টা করব প্রতিনিয়ত ভালো খাবার গুলো খাবার । কারণ হার্ট আমাদের শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ অংশ যার সমস্যা দেখা দিলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি সিসি’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url