ডায়াবেটিস চিকিৎসা-ডায়াবেটিসরে ওষধ কি

 আমাদের দেশে এক লাখেরও বেশি ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশন এর হিসেবে। এর মধ্যে অনেকেই জানেনা তারা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়েছে। আমাদের দেশের অনেক মানুষ আছেন যার ভক্তির বড় কোন সমস্যা তৈরি হলে তখন রক্তের চিকিৎসা করাতে গিয়ে  জানতে পারে ডাইবেটিস সম্পর্কে। ডায়াবেটিস এমন এক ধরনের সমস্যা যা একবার ধরা পড়লে সারা জীবনের জন্য বয়ে নিয়ে বেড়াতে হয়। 

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে চিকিৎসা পুরোপুরি নিরাময় করা যায় না।ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের সহজ তুলতে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেক দূর এগিয়ে গেছে। ডায়াবেটিস চিকিৎসা-ডায়াবেটিসরে ওষধ কি সে বিষয়ে জানব। সংক্রমণ ব্যাধি ডায়াবেটিস নির্দিষ্ট কোনো কারণ জানা যায়নি। হৃদরোগ, কিডনি চক্ষু রোগ, পা পচনশীলতা, বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয় ডায়াবেটিস আক্রান্তদের মাঝে। ডায়াবেটিস চিকিৎসা-ডায়াবেটিসরে ওষধ কি তা আমাদের জানতে হবে।

সূচিপত্র:ডায়াবেটিস চিকিৎসা-ডায়াবেটিসরে ওষধ কি  

তাহলে ডায়াবেটিস চিকিৎসা-ডায়াবেটিসরে ওষধ কিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ডায়াবেটিস চিকিৎসার মূল উপাদান

আমাদের দেশসহ সারা বিশ্বে ডায়াবেটিসের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে প্রতি সাত সেকেন্ডে একজন মানুষ। আমাদের দেশে মোট ১০ কোটি মানুষ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। এদের মধ্যে ৮৪ লাখ মানুষের বয়স ৩৫ বছরের ও বেশি। ২৬ লাখ মানুষের বয়স  ১৮- ৩৪ বছর। বর্তমানে আধুনিক ইনসুলিন  যুক্ত হয়েছে ডায়াবেটিস চিকিৎসা। দুইভাবে ইনসুলিন পরিবর্তন হয়েছে। এক, পরিবর্তন করা হয়েছে ইন্সুলিনের মলিকুলার বিশেষ কিছু লক্ষ্য নিয়ে। দুই, যেভাবে ইনসুলিন দেয়া হয়েছে।

প্লাস্টিকের গ্লাস বা সিরিঞ্জ ছিল একসময়। তারপরে এসেছে ইনসুলিন পেন বা প্লাস্টিকের খুব চিকন সিরিঞ্জ। কোনভাবে রোগী  ব্যথা পায় না, এই পেন ব্যবহার করলে। তাছাড়া ব্যবহার করা হয় ইনসুলিন পাম্পের। বাইরের দেশের এই পাম্পের ব্যবহার অনেক কিন্তু বাংলাদেশের ব্যবহার কম। সারাদিন খাবার খাওয়ার পরে রক্তে যে গ্লুকোজ এর মাত্রা বেড়ে যায় তা এই পাম্পের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। ডায়াবেটিস চিকিৎসা-ডায়াবেটিসরে ওষধ কি এর মধ্যে ডায়াবেটিস চিকিৎসায় সচেতন থাকতে হবে।

ইনসুলিন কখন নিতে হবে বিশ্বের যতগুলো ডায়াবেটিসের গাইডলাইন আছে সেখানে সময় বলে দেওয়া আছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে আসে ওষুধ ছাড়াই। আমার অনেকে খাওয়ার ওষুধ দিয়ে চেষ্টা করছেন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ। তিন রকমের ট্যাবলেট তিন মাসের বেশি সময় ধরে খাওয়ার পরেও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না আসলে ডায়াবেটিসের মাত্রা যদি সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ উপরে থাকে, তাহলে রোগীর চিকিৎসা সফল আসবেনা ইনসুলিন ছাড়া।

ইনসুলিন একমাত্র ভরসা গর্ভকালীন সময় ডায়াবেটিস ধরা পড়লে। প্রয়োজন হয় রোগীর শরীল বেশি খারাপ থাকলে। শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ কম উৎপন্ন মূলত মানুষের ডায়াবেটিস হয়। তাই এই রোগ থেকে বাঁচার সহজ উপায় হলো ইনসুলিন। খারাপ ভাবে নেওয়ার কোন সুযোগ নাই এটাকে। শরীরে ইনসুলিনের ঘাটতি থাকলে ইনসুলিন নিতে হবে। অনেকেরই সর্বোত্তম চিকিৎসা হলে ইনসুলিন।ইনজেকশনের কারণে মানুষ ইনসুলিন কে নিয়ে অনেক সমালোচনা করে। 

ইনসুলিন নেন বাংলাদেশের যত রোগী তার মধ্যে ১০ শতাংশ মানুষ ইনসুলিন ব্যবহার করে ব্যথা পান। কিন্তু ব্যথা পাওয়ার কারণ হচ্ছে ভুল কৌশল। ইন্সুলিন সব সময় ফ্রিজে রাখতে হয় এটা অনেকেই ভাবি কিন্তু এমনটা না। ফ্রিজে  রাখার এখন কোন দরকার নাই এখন। বর্তমান বাজারে কলমের মত পাওয়া যায়।আর কলম ফ্রিজে রাখার জিনিস না। আর কেউ যদি ফোন রাখতে চান তাহলে ইনসুলিন নেওয়ার পূর্বে ফ্রিজ থেকে বের করে স্বাভাবিক আসার পরে ইনসুলিন নিতে পারবেন। 

উপর থেকে স্বাভাবিক মাত্রা আসতে ৫ ঘণ্টা সময় লাগে। তাই ফ্রিজে রাখার কোন প্রয়োজন নাই। কিন্তু ব্যথা লাগে ঠান্ডা ইনসুলিন দিলে। অন্যদিকে ইন্সুলিনের দাম বেশি ট্যাবলেটের তুলনা। ডায়াবেটি রোগী প্রথম অবস্থায় ইনসুলিন নিতে চায় না বাধ্য হয় ইনসুলিন নিতে শেষ পর্যায়ে এসে। কি করে সম্ভব হয়না ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে।

ডায়াবেটিস চিকিৎসা-ডায়াবেটিসরে ওষধ কি তা ডায়াবেটিসের চিকিৎসা নতুন ওষুধ আসে বাজারের সপ্তাহে একবার। ডায়াবেটিস এর চিকিৎসা উদ্দেশ্য হলো রক্ত গ্লুকোজের মাত্রা না কমিয়ে স্বাভাবিকের কাছাকাছি রাখা। কায়িক শ্রমে, খাদ্যাভাস পরিবর্তন, ওজন হ্রাস, যথাযথ ঔষধ এর মাধ্যমে ডায়াবেটিস আছে  নিয়ন্ত্রণ রাখার। যারা রক্ত গ্লুকোজের মাত্রা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে তীব্রমাত্রা ও জটিলতার পরিমাণ দুটি কম। ডায়াবেটিস চিকিৎসা-ডায়াবেটিসরে ওষধ কি তার মধ্যে
টাইপ 1 ডায়াবেটিসের চিকিৎসা 
ইনসুলিন পাম্প বা  ইনসুলিন ইঞ্জেকশন অন্যান্য ডিভাইসের ব্যবহার করে টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসের চিকিৎসা করা হয়।শর্কারা যাতায়াতের চাবি হিসেবে কাজ করে টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসের ইন্সুলিন। গ্লুকোজ প্রবেশ করে শরীরের কোষগুলোতে। সঠিকভাবে জানা কঠিন কতটা উসুলিন নিতে হবে ইনসুলিন নাওয়ার ক্ষেত্রে একটি চ্যালেঞ্জ। এর পরিমাণ অনেক  কারণের উপরে নির্ভর করে।যেমন-
  • ব্যায়াম 
  • খাদ্য ভাস 
  • মানসিক চাপ 
  • সাধারণ স্বাস্থ্য 
জটিল কাজ হল ইনসুলিন কি দোজে গ্রহণ করতে হবে। রক্তে সরকার আর মাত্রা বিপদজনক ভাবে নিচে নেমে যেতে পারে যদি অত্যাধুনিক ইনসুলিন গ্রহণ করে। হাইপোগ্লাইসোমিয়া বলা হয় এটিকে। এতে জীবনের ঝুঁকি হতে পারে। রবি সরকারের মাত্রা বিপদজনক ভাবে বেড়ে যেতে পারে একইভাবে যদি প্রয়োজনের থেকে গ্রহণ গ্রহণ করলে।

টাইপ 2 ডায়াবেটিসের চিকিৎসা 
শরীরের ভিতরে তৈরি হয় ইনসুলিন ভালোভাবে ব্যবহার করা হয় এ ধরনের ডায়াবেটিস এর চিকিৎসা সরকারের মাত্রা স্বাভাবিক করার জন্য।চিকিৎসকরা ব্যায়াম, খাদ্য,ওজন হ্রাসের জোর দেন। এরপরেও রক্তের সরকারের মাত্রা বেশি থাকলে কখন শৈলী ইনসুলিন এর ব্যবহার বাড়াতে হবে।

ডায়াবেটিস ওষধ কি

টাইপ ২ ডায়াবেটিসে থাকা ব্যক্তিদের রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রথমে তাদের  মুখে গ্রহনের ওষুধ দেওয়া হয়।রক্তে সরকারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য, শরীরে ইনসুলিন তৈরি হলেও আপনাকে মুখে গ্রহণের ঔষধ  খেতে বলতে পারে, ওষুধগুলো ব্যবহার ও এগুলোর কাজ ওকে নিচে দেওয়া হলো-

১.ডোপামাইন রিসেপ্টর আ্যাগেনিস্ট: রক্তের সরকারের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।খাবার খাবার পরে এই ওষুধগুলো খেতে হয়।কোষের রাসায়নিক  ডোপামাইনের স্তরকে প্রভাবিত করে। 

২.বাইগুয়ানাইডা: এ ধরনের ওষুধগুলো তইলে গ্লুকোজ গুলো আরো ভালোভাবে কোষের মধ্যে যেতে সাহায্য করে ও রক্তে শর্করা মাত্রা কমায়। যকৃতকে অধিক গ্লুকোজ তৈরি করা থেকে বাধা দেয়।

৩.সালফোনাইলিউরিয়াস:মেগ্লিটিনাইডসের মত এই ঔষধ গুলো বেশি করে ইনসুলিন তৈরি করতে সাহায্য করে।যেমন:গ্লিপিজাইড, টোলবুটামাইড, গ্লিমেপিরাইড এবং টোলাজামাইজ।

৪.মেগ্লিটিনাইডস: এই ওষুধগুলো বেশি ইন্সুলিন তৈরি করতে সাহায্য করে অগ্ন্যাশয়কে খাবার খাওয়ার সময়। 

৫.বাইল অ্যাসিড সিক্যুয়েস্ট্রান্টস: এই ওষুধগুলো শোষিত হয় না রক্ত প্রবাহ যাদের যবৃত্তিতে সমস্যা ডায়াবেটিসের ওষুধ খেতে পারেন না তাদেরকে এই ওষুধ গ্রহণের করতে বলা   হয়। 
 
৬.আলফা গ্লুকোসিডেজ ইনহিবিটর্স :এই ওষুধগুলো আলু, পাস্তা,পাউরুটি, মত খাবার স্টার্চেকে ভেঙে শর্করা হজম করে দেয়।

৭.থিয়াজোলিডিনেওন :  এই ওষুধগুলো রক্তের শর্করা স্তর কমায়, শরীরের  কোষগুলোকে আরো ভালো করে গ্লুকোজ সরবরাহ করতে সাহায্য করে।

৮.ওয়াল কম্বিনেশন থেরাপি :কোন ওষুধ যদি ভালোভাবে আপনার রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে তাহলে চিকিৎসক আপনাকে এই ওষুধটি দিবে। 

রক্তের শর্করা কিভাবে নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে এর উপর নির্ভর করে ডায়াবেটিস চিকিৎসা করতে হবে। ডায়াবেটিস চিকিৎসা-ডায়াবেটিসরে ওষধ কি এর ডায়াবেটিসের ওষুধ গ্রহণ করার আগে  নতুন কোন ডায়েট বা ওষুধ গ্রহণের জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ডায়াবেটিস চিকিৎসা-ডায়াবেটিসরে ওষধ কি এর শেষ কথা

আপনি নিশ্চয়ই ডায়াবেটিস চিকিৎসা-ডায়াবেটিসরে ওষধ কি  এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতেও বুঝতে পেরেছেন। ডায়াবেটিস চিকিৎসা-ডায়াবেটিসরে ওষধ কি আপনার চিকিৎসক আপনাকে যে ওষুধ সেবন করার পরামর্শ দিন না কেন, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আপনার স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা  অবলম্বন করতে হবে। মনে রাখবেন, শরীরচর্চা তোর ডায়েট নিয়ন্ত্রণ এর  স্বাভাবিক গুলো অনেকগুলো ওষুধ খাওয়ার থেকে আপনার রক্তের শর্করাকে অনেক ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি সিসি’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url