বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ভর্তি নীতীমালা ২০২৩

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ভর্তি নীতীমালা ২০২৩-২০২৪ (চার বছর মেয়াদি ) শিক্ষাবর্ষে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার,ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ডিপ্লোমা ইন মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ডিপ্লোমা ইন ফরেস্ট্রি,ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচার, ডিপ্লোমা ইন লাইভস্টক, ডিপ্লোমা ইন ফিশারিজ।

দুই বছর মেয়াদী এইচ, এস,সি (ভোকেশনাল) এইচ, এস, সি (বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এন্ড টেকনোলজি) সার্টিফিকেট ইন মেরিন ও ডিপ্লোমা ইন কমার্স কোর্সের জন্য বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ভর্তি নীতীমালা ২০২৩ করা হয়েছে।

সূচীপত্র: বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ভর্তি নীতীমালা ২০২৩

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ভর্তি নীতীমালা ২০২৩ এর কিছু কথা

  • বোর্ড বলতে সাধারণত বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডকে বোঝায়।
  • বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পড়ার জন্য অনুমোদন প্রাপ্ত কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ইনস্টিটিউট ও কলেজ বোঝাই।
  • বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড গঠিত কমিটিকে ভর্তি কমিটি বোঝায়।
  • ভর্তির জন্য বোর্ড কর্তৃক আবেদন ফরম অর্থাৎ অনলাইন আবেদন ফরম কে নির্ধারিত ফরম বলে।

শিক্ষাক্রম ভিত্তিক ভর্তির আবেদনের যোগ্যতা

এস,এস, সি / এসএসসি ভোকেশনাল/যে কোনো শিক্ষা বোর্ড হতে। বাংলাদেশের উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এস এস সি লেভেল এবং জিপিও পদ্ধতিতে সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ যোগ্যতা সম্পন্ন ছাত্র ছাত্রী  ২০২৩-২০২৪  শিক্ষাবর্ষে আবেদন করতে পারবে ভর্তির জন্য।

৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং (১ম ও ২য় শিফট)  সরকারি প্রতিষ্ঠান 
ডিপার্টমেন্ট সমূহ: কম্পিউটার সাইন্স, কেমিক্যাল, সিভিল, কনস্ট্রাকশন, অটোমোবাইল, আর্কিটেকচার, সিভিল উড,ইলেকট্রিক্যাল, গ্রাফিক ডিজাইন, মেকানিকাল, মেকাট্রনিক্স,প্রিন্টার, সার্ভেয়িং,মেশিন ডিজাইন,ফাংশন ডিজাইন, শিফটবিল্ড টেকনোলজি  ইত্যাদি এই সকল টেকনোলজিরসমূহ ভর্তির যোগ্যতা হল।
ছাত্র: গণিতে বা উচ্চতর গণিতে জিপিএ ৩.০০ থাকতে হবে। জিপিএ কমপক্ষে ৩.৫০ থাকতে হবে।
ছাত্রী: গণিতে বা উচ্চতর গণিতে জিপিএ ২.০০ থাকতে হবে। জিপিএ কমপক্ষে ২.৫ থাকতে হবে।

৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (১ম ও ২য় শিফট) সরকারি প্রতিষ্ঠান
ডিপার্টমেন্ট সমহূ: ওয়েট প্রসেসিং, ইর্য়ান ম্যানুফেকচারিং, ফেব্রিক ম্যানুফেকটারিং, অ্যাপারেল ম্যানুফেকচারিং, জুট, টেক্সটাইল মেশিন ডিজাইন অ্যান্ড মেইন্টেন্যান্স, মার্চেন্ডাইজিং অ্যান্ড মাকেটিং ফ্যাশন ডিজাইন এই সকল ডিপার্টমেন্টর জন্য ভর্তির জন্য যোগ্যতা। 
ছাত্র: গণিতে বা উচ্চতর গণিতে জিপিএ ৩.০০ থাকতে হবে। জিপিএ কমপক্ষে ৩.৫০ থাকতে হবে।
ছাত্রী: গণিতে বা উচ্চতর গণিতে জিপিএ ২.০০ থাকতে হবে। জিপিএ কমপক্ষে ২.৫ থাকতে হবে।

৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং 
ডিপার্ন্টমেন্ট সমূহ: মেরনি টেকণোলজি,শিপ বিল্ডিং টেকনোলজি জন্য ভর্তির যোগ্যতা।
ছাত্র/ছাত্রী: গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন বিজ্ঞান সহ কমপক্ষে জিপিএ ৩.৫০ খাকতে হবে। ইংরেজি মিডিয়াম পাঠ্যক্রমে পাদর্থ বিজ্ঞান, গণিত ইংরেজীসহ কমপক্ষে ৫ টি বিষয়ে C-গ্রেডে O-Level সনদ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবে। 
বয়স: ১৮ বছর । আবেদেনের তারিখ থেকে। 
শারীরিক যোগ্যতা: শারীরেক যোগ্যতা না থাকলে কোনো ভাবেই আবেদন গ্রহণ যোগ্য হবে না ।
পুরুষ উচ্চতা: ৫ ফিট ৪ ইঞ্চি
মহিলা উচ্চতা: ৫ ফিট ২ ইঞ্চি
ওজন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (Body Mass Index)চার্ট মেটাবেক হতে হবে। 
উচ্চতা ৫ ফিট ২ ইঞ্চি হলে ওজন ৪৩-৫৭ কেজি
উচ্চতা ৫ ফিট ৪ ইঞ্চি হলে ওজন ৪৫-৬৬ কেজি
উচ্চতা ৫ ফিট ৬ ইঞ্চি হলে ওজন ৪৮-৭১ কেজি
উচ্চতা ৫ ফিট ৮ ইঞ্চি হলে ওজন ৫০-৭৫ কেজি
উচ্চতা ৫ ফিট ১০ ইঞ্চি হলে ওজন ৫৮-৮০ কেজি
উচ্চতা ৬ ফিট  হলে ওজন ৫৬-৮৪ কেজি

৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচার, ডিপ্লোমা ইন ফরেস্ট্রি, ডিপ্লোমা ইন ফিসারিজ  
ভর্তির যোগ্যতা: যেকোনো শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনাল ও এসএসসি, দখিল ভোকেশনাল, ও দখিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী জিপিএ ২.০০ অথবা O লেভেলে যে কোনে একটি বিষয়ে C গ্রেড ও অন্য যে কোনো দুই বিষয়ে D গ্রেড থাকলেও আবেদন করতে পারবে। 

৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ডিপ্লোমা ইন লাইভস্টক
ভর্তির যোগ্যতা: যেকোনো শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনাল ও এসএসসি, দখিল ভোকেশনাল, ও দখিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী জিপিএ ২.০০ বা “ ও ” লেভেলে যে কোনে একটি বিষয়ে “ সি ” গ্রেড ও অন্য যে কোনো দুই বিষয়ে “ ডি ” গ্রেড থাকলেও আবেদন করতে পারবে।তবে জীববিজ্ঞান বিষয়ে ৩.০০ পয়েন্টসহ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৩.০০ থাকতে হবে।

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যে কোনো সাথে উত্তীর্ণ সকল শিক্ষার্থী ৪  বছর মেয়াদি  ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারের সকল টেকনোলজির সমূহে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ভর্তি নীতীমালা ২০২৩-২০২৪ নিয়ম অনুসারে আবেদন করতে পারবে।

ভর্তির কার্যক্রম ও সময়সূচী

সরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাক্রম ও ভর্তির কার্যক্রমের সময়সীমা। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং প্রথম ও দ্বিতীয় শিফট টেকনোলজি সমূহ গুলো হলো ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচার, ডিপ্লোমা ইন ফিসারিজ,ডিপ্লোমা ইন লাইভ স্টেক, ডিপ্লোমা ইন মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং , ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ও দুই বছর মেয়াদী সার্টিফিকেট ইন মেরিন ট্রেড গুলোর ভর্তির সময়সীমা ০৯/০৮/২০২৩ খ্রিঃ শুরু করে ০১/১০/২০২৩ খ্রিঃ মধ্যে করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে অনলাইনে আবেদন ফরম  ও পছন্দ অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা নির্বাচন নিশ্চল না করলে তাদের ফরম বাতিল গণ্য করা হবে।  অন্য শিক্ষার্থীরা আর এই সকল শিক্ষার্থীর সহ নতুন করে আবেদন করার সুযোগ পাবে। এবং বোর্ড থেকে আসন শূন্যতা বিবেচনা করে অপেক্ষা মান তালিকা থেকে মেধাক্রম অনুযায়ী ভর্তি  বোর্ড থেকে নির্ধারণ করা যাবে। তা অবশ্য রেলস্টেশনের পূর্বেই করতে হবে।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাক্রম ও ভর্তির কার্যক্রমের সময়সীমা। টেড সমূহগুলো হল ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং, ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচার, ডিপ্লোমা ইন ফিশারিজ, ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার এ সকল এর সময় বুদ্ধির কার্যক্রমের সময়সীমা ০৯/০৮/২০২৩/ খ্রিঃ হতে শুরু করে ০৫/১০/২০২৩ খ্রিঃমধ্যে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। আসন বিবেচনায় ভর্তির সময় ব্যতীত করা যাবে এবং তা অবশ্যই পূর্বে করতে হবে। বোর্ড থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রেলস্টেশন কাজ সম্পন্ন করতে হবে।

ভর্তির আবেদনের পদ্ধতি

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ভর্তি নীতীমালা ২০২৩ ভর্তির জন্য আবেদনপত্র ভালোভাবে ফোন করে অনলাইনে দোখিল করতে হবে। আবেদনের সময় যে ছবি আপলোড করতে হবে তা যেন পরিষ্কার পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি হয়ে থাকে। এবং সঠিকভাবে ছবি আপলোড এর বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। ভর্তির জন্য আবেদন ফ্রম বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। অনলাইনে আবেদনের জন্য প্রতি শিফটে শিক্ষাক্রম ভিত্তিক ১৬২ টাকা পেমেন্ট করতে হবে।এর ফলে পছন্দ অনুসারে একাধিক প্রতিষ্ঠানে ১৫  টি টেকনোলজি ইষ্ট ভাবে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। অতি শিফটের জন্য মাত্র কয়েক বার আবেদন করা যাবে।

শিক্ষার্থী নির্বাচনে অনুসরণীয় পদ্ধতি

কোন ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না শিক্ষার্থী নির্বাচনে। ১ম  পর্ব ও ১ম বর্ষে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে সম্মান পরীক্ষা ও এস এস সি ফলাফলের উপর ভিত্তি করে। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ভর্তি নীতীমালা ২০২৩ ক্ষেত্রে জিপিও ফাইভ প্রাপ্ত মেধা কম নির্ধারণের জন্য কিছু শর্ত বলেই আছে। যেমন:  জিপিএ একই হলে গণিতের জিপির ভিত্তিতে মেধা তালিকা করা হয়।গণিত, উচ্চতর  গণিত, ইংলিশ, পদার্থ, বিজ্ঞান সবগুলো জিপিএ উপর ভিত্তি করে ভর্তি মেধা তালিকা নির্ধারণ করা হয়।

একই জিপিএ ক্ষেত্রে মেধাক্রমে নির্ধারণে নিম্নের শর্তাবলি মেনে প্রার্থী নির্বাচন করা হয় :
  • প্রথমে প্রাপ্ত জিপিএ এর ভিত্তিতে মেধা তালিকা করা হয়।
  • একই জিপিএ হলে সাধারণ গণিতের জিপিএ ভিত্তিকে মেধা তালিকা করা হয় ।
  • সাধারণ গণিতে একই জিপিএ  থাকলে উচ্চতর গণিত বা সাধারণ বিজ্ঞানের জিপিএ  ভিত্তিতে মেধা তালিকা করা হয় ।
  • উচ্চতর গণিত বা সাধারণ বিজ্ঞানে একই জিপিএ  থাকলে ইংরেজীর জিপিএ ভিত্তিতে মেধা তালিকা করা হয়। 
  • ইংরেজী এর জিপিএ  একই থাকলে রসায়ন/ পদার্থ বিজ্ঞানের জিপিএ ভিত্তিতে মেধা তালিকা তরা হয়। 
  • রসায়ন/ পদার্থ বিজ্ঞানের জিপিএ  একই থাকলে মোট নাম্বরের ভিত্তিতে মেধা তালিকা করা হয় ।

ভর্তির ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ও ডিপ্লোমা ইন মেড ইন ইঞ্জিনিয়ার এর ক্ষেত্রে  সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোর জন্য  প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর জন্য ৫%, মুক্তিযুদ্ধার সন্তানদের জন্য ৫%, এস এস সি ভোকেশনাল শিক্ষার্থীদের জন্য ১৫%  কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত, কর্মকর্তা,কর্মচারী, শিক্ষক, সন্তানদের জন্য ২% মেধা অনুযায়ী ভর্তি করা যাবে। 
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিষ্ঠানসমূহে মহিলাদের ক্ষেত্রে ২০% কোটা থাকে।এক্ষেত্রে শর্ত রয়েছে যোগ্য ছাত্রীর না পাওয়া গেলে তা ছাত্রদের দিয়ে পূরণ করা যাবে। সরকার কর্তৃক মহিলাদের ১০% ও ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী চট্টগ্রাম কাপ্তাই ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে চাকরি করে আসন সংরক্ষিত থাকবে। এবং আরো সকল টেড সমূহ যেমন, ডিপ্লোমা ইন ফিসারিজ, ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচার, ডিপ্লোমা ইন লাইভ স্টার এর ক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠানে মেয়েদের জন্য ১০%,  এসএসসি ভোকেশনালে জন্য ১০ % মুক্তিযুদ্ধের সন্তানের জন্য ৫% এবং নিজ নিজ জেলা ও বিভাগে মহিলা শিক্ষার্থীদের ভর্তি হওয়ার অগ্রধিকার দেওয়া হবে।

ভর্তি অর্থ বাজেট ব্যবস্থাপনা

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ভর্তি নীতীমালা ২০২৩ চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচার, সকল ট্রেড সমূহ  এবং দুই বছর মেয়াদী এইচ এস সি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট টেকনোলজি। সকল সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের ভর্তির কার্যক্রম ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কারিগরি বোর্ড সার্বিক সমন্বয় সাধন করবে। 
প্রয়োজনীয় তথ্য ও বাজেট ব্যবস্থাপনায় গঠিত কমিটি ভর্তির কার্যক্রম পরিচালনায় সুপারিশ করবে। 
মোবাইল অপারেটর আবেদন ফি ১৬২ টাকা এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ভর্তির সকল ব্যয় নির্বহন করার জন্য অতি শিক্ষার্থীকে ৫৫ টাকা দাওয়া হবে।বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ভর্তির কার্যক্রম ভালোভাবে সম্পূর্ণ করার জন্য কমিটি গঠন করতে পারবে। ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারবে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড গঠিত ভর্তি কমিটি।

ভর্তি সংক্রান্ত প্রশাসনিক কার্যক্রম

কোটা প্রমাণের জন্য প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা থেকে প্রদত্ত প্রদান পত্র জমা দিতে হবে।প্রতিবন্ধীদের জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তর হতে ও মুক্তিযুদ্ধের সন্তানদের শনাক্তকরণে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সনদপত্র জমা দিতে হবে। নৃ গোষ্টি ক্ষুদ্র প্রার্থীদের চেনার জন্য প্রমাণ করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ,জেলা প্রশাসক সনদপত্র জমা দিতে হবে। 
ভর্তির ক্ষেত্রে প্রার্থীদের এসএসসি সম্মান পরীক্ষার পাশ প্রমাণ করার জন্য বোর্ড হতে প্রদত্ত নম্বর পত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জমা দিতে হবে এবং নিবন্ধনভুক্ত হাট কপি সাথে মোর নম্বর পত্র জমা দিতে হবে।কোন শিক্ষার্থীর যদি নম্বর পত্র ফেরত চাই তাহলে প্রতিষ্ঠান তার ভর্তি বাতিল করে ফেরত দিতে পারবে। কোন শিক্ষার্থী যদি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে এস এস সি সমমান পরীক্ষার মূল নম্বর পত্র ও প্রয়োজনীয় তথ্য জমা না দিতে পারে তাহলে তার ভর্তি বাতিল করা হবে।

ভর্তি ও ফি

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ভর্তি নীতীমালা ২০২৩ ডিপ্লোমা পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের নিশ্চয়ই এর ক্ষেত্রে নিম্ন হারে ফ্রী প্রযোজ্য হবে সরকারি পলিটেকনিক কমেডি নিউ ইনস্টিটিউট সমূহের ব্যতীত : রেজিস্ট্রেশন ফি ২০০টাকা রোভার স্কউট ফি ৫০ টাকা রেড ক্রসেন্ট ফি ২০ টাকা সহ মোট ২৩৫ টাকা সকল বেসরকারি ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভর্তির জন্য তিন টাকা অনলাইন পেমেন্ট সহ ২৩৮ টাকা ভর্তি নিশ্চিত করার সুযোগ থাকবে। সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থীদের অনলাইন চার্জ ৫ টাকা সহ ৩৯৫ টাকায় ভর্তি নিশ্চায়ন করতে হবে। সেশন চার্চ ভর্তি ফি ১০০০টাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ৩০০০ টাকা, জেলা সদর এলাকায় ২০০০ টাকা বেশি হবে না।

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ভর্তি নীতীমালা ২০২৩ শিক্ষাক্রম ভিত্তিক ভর্তির আবেদনের যোগ্যতা, ভর্তির কার্যক্রম ও সময়সূচী, ভর্তির আবেদন পদ্ধতি, শিক্ষার্থী নির্বাচনের অনুসরণ পদ্ধতি, ভর্তির ক্ষেত্রে মোট কোটা পদ্ধতি, ভর্তি অর্থ বাজেট ব্যবস্থাপনা, ভর্তি সংক্রান্ত প্রশাসনিক কার্যক্রম, ওভর্তি ফি সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত উপর আলোচনা করেছি যার মাধ্যমে আপনাদের বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ভর্তির নীতিমালা ২০২৩ সম্পর্কে আপনারা জানতে পারবেন।

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ভর্তি নীতীমালা ২০২৩ এর শেষ কথা

এখন আমাদের একটাই স্লোগান আমাদের লক্ষ্য হতে হবে দক্ষ। আসালে দক্ষ হতে হলে কারিগরি শিক্ষার কোনো বিকল্প নাই। তাই এখন সবাই কারিগরি শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিচ্ছে। আমার পরামর্শ এবারে এস এস সি পাশ কৃত শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ভর্তি নীতীমালা ২০২৩ মেনে আবাদেন করলে সরকারি প্রকিষ্ঠানে পড়ার সযোগ পাবে ইনশাল্লাহ্ এবং কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজেকে সাম্বলবি করে তুলা যাবে এবং বেকারত্ব দূর হবে। ইনশাল্লাহ্ । 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি সিসি’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url