বাজ পাখির জীবনধারা - বাজ পাখির চরিত্র

আজকের আর্টিকেলে পাখি প্রেমিদের জন্য থাকছে বাজ পাখির জীবনধারা । আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা পাখি কে পোষ মানাতে ভালোবাসে। অনেকে শিকার করার জন্য বাজ পাখি পালন করে থাকে। আবার অনেকে শখের বসে পাখি পালন করে থাকে। তাই আজ আপনাদের সাথে আলোচনা করবো বাজ পাখির জীবনধারা সম্পর্কে। এই পাখিটি অনেক হিংস্র একটি পাখি যা অনেক মানুষ জীব জন্তু শিকার করার জন্য পালোন করে। তো আর দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক বাজ পাখির জীবনধারা সম্পর্কে।

বাজ পাখি হিংস্র একটি পাখি । এর লম্বা নখ শিকারের কাজে প্রথমে ব্যবহার করে থাকে। পাখিটি বন্যে ১২-১৭ বছর থাকতে পারে।  বাজ পাখিরা কাঠবিড়ালি সহ বিভিন্ন জীব জন্তুকে শিকার করে থাকে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক বাজ পাখির জীবনধারা সম্পর্কে । 

সূচীপত্র: বাজ পাখির জীবনধারা 

বাজ পাখির চরিত্র

বাজ পাখির জীবনধারা  বাজ পাখি সাধারণত তার তীক্ষ্ণ দৃষ্টির জন্য বিখ্যাত। বাজ পাখিরা জোড়ায় জোড়ায় থাকলে পছন্দ করে। সেই সাথে তাদের সঙ্গীকে সব সময়ের জন্য সুরক্ষা প্রদান করে থাকে। পুরুষ বাজ পাখি মেয়ে বাজ পাখির চেয়ে ছোট হয়। বাজ পাখি তাদের সঙ্গীর সাথে জটিল শব্দে যোগাযোগ করে থাকে। পোষ মানিয়ে নিলেই এই পাখি আপনার শিকারের আয়তায় থাকবে।বাজ পাখি দীর্ঘ জীবী হয়ে থাকে। 

বাজ পাখির খাদ্য

বাজ পাখি সাধারণত তার নিজের থেকে ছোট সব ধরনের জীব খেয়ে থাকে যেমন- কাঠবিড়ালি, ইঁদুর , মাছ, খরগোশ, মুরগির বাচ্চা ইত্যাদি । এমনকি এই পাখি গরুর গোস্ত ও খেয়ে থাকে। এছাড়াও পায়রা, ঘুঘু, ইত্যাদি পাখি খেয়ে থাকে। 

 বাজ পাখির বাসস্থান

বাজ পাখি গভীর অরণ্য বা উচু স্থারে থাকতে পছন্দ করে। মধ্য আমেরিকা তে বাজ পাখির সব থেকে বড় আবাসস্থল। এছাড়াও এশিয়াতে মাঝে মাঝ এদের দেখা মেলে। বাজ পাখিকে বাংলাদেশ ও দেখা যায় কিছু কিছু সময়ে। 

 বাজ পাখির বৈশিষ্ট্য 

 আকাশের রাজা বাজ পাখি এরা দুধর্ষ শিকারি। এদের দৃষ্টি শক্তি এতই তীক্ষ্ণ যা অনেক দূরের জিনিস দেখতে পায় । এদের ঠোঁট অনেক ধারালো যা কোন প্রাণি কে শিকার করতে কয়েক সেকেন্ড লাগে। 

 বাজ পাখির আয়ু

বাজ পাখি প্রায় ৭০ বছর বেঁচে থাকতে পারে। অথচ ৪০ বছর বয়সে তাকে একটি গুরুত্বপুর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয়। বাজ পাখির ৪০ বছর বয়সে তার নখ অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে যা তার জীবিকা নির্বাহের জন্য একটি মাত্র মাধ্যম, এবং তার চোখ সামনের দিকে ঝুলে যায় এবং তার ডানা খুব ভারী হয়ে পড়ে যার কারণে আকাশে উড়তে মুশকিল হয়ে পড়ে তার পক্ষে। এই বয়সে তার সামনে ২ টি পথ খুলা থাকে, হয়তো মৃত্যু নয়তো নিজেকে ৬ মাসের মধ্যে নিজকে পরিবর্তন  করতে শুরু করবে। বাজ পাখি উঁচু পাহাড়ে উঠে পাহাড়ের ছোট অংশ ঠুকরিয়ে ঠুকরিয়ে তার পরিবর্তনের জন্য অপেক্ষা করে। এইভাবে পরিবর্তনের পর আরো ৩০ বছর আয়ু  লাভ করে এবং আবারো বাজ পাখির জীবনধারা আগের মতো চলতে থাকে।  

 বাজ পাখির শিকার

বাজ পাখি একটি হিংস্র পাখি। এরা খরগোশ, ইঁদুর থেকে শুরু করে সাপ পর্যন্ত শিকার করতে পারে এমন কি কুকুর ও এদের ভয়ে দৌড়ে পালায়। এই পাখি যে কোন পাখি কে ওপর থেকে উরে এসে আক্রমণ করে, প্রথমে তার পায়ের ধারালো নখ দিয়ে কোন পাখি বা জন্ত কে ধরে তার ধারালো ঠোঁট দিয়ে মারার কাজ শুরু করে দেয়।  

 বাজ পাখির প্রজনন 

বাজ পাখি একক সঙ্গীর প্রতি অনুগত থাকে। এই জুটি সঙ্গমের ১.৫ থেকে ২ মাস আগে বাসা তৈরি করে। সমস্ত বাজ পাখি পুরোনো বাসা ব্যবহার করে না। কেউ কেউ প্রতিবছর বাসা পরিবর্তন করে। মহিলা পাখিটি ৩-৪ মাস ডিম দেয় তখন পুরুষ পাখিটি মহিলা পাখির খাবার বহন করে। আর এই ডিম থেকেই বাচ্চার দেখা মেলে।  

বাজ পাখির জীবনধারা এর শেষ কথা 

বাজ পাখির জীবনধারা পড়ে বুঝা যায় যে বাজ পাখি শিকারি একটি পাখি। এই পাখিটি প্রায় ৭০ বছর বেচে থাকে। সে খাদ্য হিসেবে তার থেকে ছোট সকল জীব কেই খেয়ে থাকে। এর চোখ অনেক তীক্ষ্ণ যা অনেক দুরের জিনিস অনেক সহজেই দেখতে পাই। এর ঠোঁট ও অনেক ধারালো যা কোন প্রাণি কে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মারতে পারে।  

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি সিসি’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url