কি খেলে হার্টের রোগ ভালো হয়

আজকের এই আর্টিকেলটি বিশেষ করে হার্টের রোগীদের জন্য। হার্টের সমস্যা অনেকেরই আছে। হার্টের রোগীরা প্রায় সবাই চিন্তিত থাকেন যে, কি খেলে হার্টের রোগ ভালো হয় । তাই আপনাদের সাথে আলোচনা করবো কি খেলে হার্টের রোগ ভালো হয় । অনেকে জানেন কি খেলে হার্টের রোগ ভালো হয় । আবার অনেকে জানেন না কি খেলে হার্টের রোগ ভালো হয় । তাই আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করবো কি খেলে হার্টের রোগ ভালো হয় ।

ছোট বড় প্রায় অনেকের মধ্যেই হার্টের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই এই সমস্যা কে অবহেলা না করে এই রোগ থেকে মুক্তি লাভের চেষ্টা করতে হবে। কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললেই যে কোন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় আল্লাহ্‌র রহমতে। তাই কিছু খাবার নিয়মিত খেতে হবে নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য। তো চলুন আর দেরি না করে জেনে নিই কি খেলে হার্টের রোগ ভালো হয় । 

সূচিপত্র : কি খেলে হার্টের রোগ ভালো হয়

হার্ট বিট নরমাল কত

স্পন্দনের হার হলো প্রতি মিনিটে সংকোচন সংখ্যা যা বিট/ মিনিট এককে প্রকাশ করা হয়। অক্সিজেন শোষণ এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ করার প্রয়োজনীতা এবং শরীরের শারীরিক চাহিদা অনুসারে  হৃৎস্পন্দন হার পরিবর্তিত হতে পারে। অ্যামেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশান জানিয়েছে যে স্বাভাবিক বিশ্রাম অবস্থায় প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের হৃতস্পন্দনের হার ৬০- ১০০ বিপিএম। ট্যাকিকার্ডিয়া একটি উচ্চ  হৃৎস্পন্দন প্রক্রিয়া। বিশ্রাম অবস্থায় হৃৎস্পন্দনের হার ১০০ বিপিএম এর উপরে থাকে। ব্র্যাডিকার্ডিয়া হলো নিম্ন হৃৎস্পন্দন হার।  এর পরিমাণ বিশ্রাম অবস্থায় ৬০ বিপিএমের নিচে।  

হার্টের সমস্যা বুঝার উপায়

হার্টের রোগ অনেক ছোট ছোট সমস্যা থেকে শুরু হয়, যা আমরা প্রায় সময় এড়িয়ে যায়। তবে এই ছোট ছোট সমস্যা গুলো তুচ্ছভাবে না দেখে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। যেমন বুকের ব্যাথাকে গ্যাসটিক মনে করে সেই রকম গুরুত্ব দেওয়া হয় না। তবে বুক ব্যাথাও কিন্তু হার্টের সমস্যার কারণ হতে পারে। এই রকম বিভিন্ন সমস্যা গুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো। 

বুক ব্যাথা : অনেক ক্ষেত্রেই হার্টের রোগের লক্ষণ গুলো আমরা এড়িয়ে চলি যার ফলে অনেক বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই কখনো বুকে ব্যথা হলে তা এড়ানো যাবে না। 

দুশ্চিন্তা : দুশ্চিন্তা সব ক্ষেত্রে মানসিক সমস্যা নয়। অতিরক্ত চিন্তা করার ফলে হার্টের উপর অনেক বেশি চাপ পড়ে যার কারণে হার্টের সমস্যা দেখা দেয়। তাই অতিরিক্ত চিন্তা করা বাদ দেওয়া উচিত। 

বমি: বমি বমি ভাব হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক এর লক্ষণ। 

মাথা ব্যাথা : প্রায়শয় অতিরিক্ত মাথা ব্যাথা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। প্রচন্ড মাথা ব্যথা হলে অবশ্যই ডাক্তারের নিকট যাওয়া উচিত। 

অধিক পরিমাণে ঘামা: অতিরিক্ত ঘাম হার্টের সমস্যার অন্যতম কারণ। মাত্রার চেয়ে বেশি ঘাম হলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। 

অজ্ঞান হয়ে যাওয়া: যে কোনো কাজ করার সময় অজ্ঞান হয়ে যাওয়া হার্টের সমস্যার লক্ষণ । এমন ঘটনা ঘটলে সাথে সাথে ডাক্তারের নিকট যেতে হবে। 

কাশি: যদি সব সময় কাশি হয় এবং কাশির সাথে সাথে রক্ত বের হয় তবে অবশ্যই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের নিকট যেতে হবে। 

হার্টের ব্যাথা কোথায় হয় 

বুকের মাঝখানে অথবা বাম পাশে তীব্র ব্যাথা অনুভূত হয়। অনেক সময় বুক ব্যাথা, বুক ভারি, বুকে চাপ ধরে থাকা, ঘার, চোয়াল, বুকের পিছনে ব্যাথা হতে পারে। পেটের উপরীভাগে ব্যাথা অনেক ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে। 

হার্টের সমস্যা সমাধানের উপায়

হার্টের সমস্যা সমাধানের জন্য অনেক গুলো উপায় আছে। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে হার্টের সমস্যা সমাধানের উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। খাবার বিষয়ে সচেতন হতে হবে, যেমন- শর্করা ও চর্বিযুক্ত খাবার হতে দূরে থাকতে হবে এবং আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে ও লিফটে চড়া বাদ দিতে হবে এবং বেশি বসে থাকা যাবে না। ধুমপান হতে বিরতি থাকতে হবে।  

হার্টের পরীক্ষা কি কি

হার্টের সমস্যার জন্য কয়েক ধরনের পরীক্ষা করানো হয়। কয়েক ধরনের হার্টের পরীক্ষা গুলো হলো- এমআরআই, ট্রেডমিল স্ট্রেস ইত্যাদি। ট্রেডমিল স্ট্রেস টেস্টের সাহায্যে খুব সহজেই হার্টের সমস্যা আন্দাজ করা যায়। ট্রেডমিল স্ট্রেস টেস্টকে এক্সারসাইজ স্ট্রেস টেস্ট বলা হয়। এই পরীক্ষায় রোগীকে ট্রেডমিলে দৌড়াতে হয়। চিকিৎসক হার্টের রক্তচাপ, ছন্দ এবং শ্বাস-প্রশ্বাস নিরীক্ষণ করে।  

দুর্বল হার্ট সবল করার উপায় 

দুর্বল হার্টকে সবল করার জন্য  ব্যায়াম করা প্রয়োজন,  ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে,ধুমপান ত্যাগ করতে হবে, ডায়েট অনুসরণ করতে হবে,রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে,কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে,মানসিক চাপ থেকে মুক্ত হতে হবে,পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। এই কয়েকটি জিনিস মেনে চললেই দুর্বল হার্টকে সবল করা যাবে ইনশাআল্লাহ্‌। 

হার্ট বিট কমানোর উপায়

একজন সুস্থ মানুষের হার্টবিট ৬০ - ১০০ বিটস । এর থেকে মাত্রা বেশি হলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যাবে। হার্ট রেট বেড়ে গেলে তা কমানোর একটি উপায় হলো গভীর শ্বাসপ্রশ্বাস । বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গেছে গভীর শ্বাস প্রক্রিয়ায় হার্ট রেট কমে এবং উদ্বেগও কমে। 

গভীর শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য একটি নির্জন স্থানে বসে পড়তে হবে অথবা শুয়ে পড়তে হবে। এবার চোখ বন্ধ করতে হবে। তারপর নাক দিয়ে আস্তে আস্তে শ্বাস নিতে হবে। অতঃপর সেই শ্বাস মুখের মাধ্যমে বের করতে হবে। এই প্রক্রিয়াটি কয়েক বার করতে থাকেন ইনশাআল্লাহ্‌ আপনার হার্টবিট কমে যাবে। 

কি খেলে হার্টের রোগ ভালো হয় এর শেষ কথা

কি খেলে হার্টের রোগ ভালো হয় তা আমরা এই আর্টিকেলে জানানোর চেষ্টা করেছি। যেমন চর্বিযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে এবং শর্করাযুক্ত খাবার খাওয়া লাগবে। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি সিসি’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url