আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব কলমের কালি তোলার উপায় সম্পর্কে । যে কোনো
কারণে কলমের দাগ ছাত্র- ছাত্রীর ড্রেসে লেগে যায়, ছাত্রজীবনে এমন হয়েই থাকে।
বিশেষ করে ছোট বাচ্চারা কলম নিয়ে খেলতে খেলতে ড্রেসে কালি ভরিয়ে দেই । তাই
বাচ্চাদের মায়েদের কলমের কালি তোলার উপায় সম্পর্কে জানা উচিত। তাই আজ আপানাদেরকে
জানানোর চেষ্টা করব কলমের কালি তোলার উপায় ।
খাতায় পেন্সিলের দাগ উঠানোর জন্য যেমন রাবার ব্যবহার করা হয় তেমনি কলমের দাগ
উঠানোর জন্য বল ফ্রিক্সার ক্লিকার এবং ফ্লুইড ব্যবহার করা হয়। তো চলুন জেনে নেওয়া
যাক কলমের কালি তোলার উপায় সম্পর্কে।
সাধারণত ছোট বাচ্চাদের স্কুল ব্যাগে কলমের কালি লেগে যায় এবং টিফিন ব্যাগে
টিফিনের তেল পড়ে চিটচিটে হয়ে যায়। এই সব দাগ উঠানোর উপায় হলো, একটি ময়লা ব্যাগ
নিতে হবে এবং একটি গামলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে গরম পানি নিতে হবে, এবার দিতে হবে এক
চা- চামচ ব্রেকিং সোডা । সোডার পরিমাণটা আপনি আপনার প্রয়োজন মতো দিয়ে নিবেন
অর্থাৎ কতোটুকু ময়লা ও ব্যাগটা কতো বড় সেই অনুযায়ী দিতে হবে।
এবার দিতে হবে শ্যাম্পু , শ্যাম্পু দেওয়ার কারণে ফেনার সৃষ্টি হবে এবং খুব
সুন্দর একটি সুগন্ধ ছড়াবে, এর সাথে ডিটার্জেন্ট পাউডারও মিশাতে পারেন। এবার এটিকে
ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে ফ্যানা তৈরি করে নিতে হবে, তারপর ব্যাগটা দিয়ে দিতে হবে এবং
১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। ব্যাগের দাগ যদি বেশি হয় তবে আরো বেশি সময় ধরে ভিজিয়ে
রাখতে হবে। কিছুক্ষন ভিজিয়ে রাখার পর ব্যাগটিকে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
পরিষ্কার করা শেষে ব্যাগটি কে রোধে শুকাতে দিতে হবে।
কাপড় থেকে মার্কারের দাগ তোলার উপায়
প্রথমে একটি মার্কারের দাগ লেগে থাকা টি- শার্ট নিতে হবে এবং হ্যান্ড
স্যানিটাইজার নিতে হবে। স্যানিটাইজারটি মার্কারের দাগ লেগে থাকা টি- শার্টে দিতে
হবে, তারপর এটাকে ভালোভাবে ঘষে নিতে হবে, দাগের উপর ভিত্তি করে স্যানিটাইজারের
পরিমাণ কমিয়ে বাড়িয়ে দিতে হবে। মার্কারের দাগ লেগে থাকা জায়গাটা ১ মিনিট ঘষে
নিতে হবে, আস্তে আস্তে দাগ গুলো কমতে থাকবে। কিছুক্ষন ঘুষে নেয়ার পর এতে
ডিটার্জেন্ট পাউডার ও অল্প পরিমাণে পানি দিয়ে আবারো ঘুষে নিতে হবে। ঘুষে নেওয়ার
পর ড্রেসটা পানি দিয়ে ধুয়ে রোধে শুকাতে হবে।
পেন্সিল দিয়ে আঁকানো বা লিখা যেমন রাবার দিয়ে মোছা যায়, ঠিক তেমনি কলমের কালি
তোলার উপায় ও আছে। অনেক সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ পেপারে কলমের কালি লেগে যায় বা লিখা
ভুল হয়ে যায়, যে কারণে অনেক সমস্যায় পরতে হয়। তাই এই কালি তোলার জন্য ফ্লুইড
ব্যবহার করা হয়। ফ্লুইড ব্যবহার করলে আগের কোনো দাগ থাকবে না, অর্থাৎ প্রয়োজনমত
কালি মুছে দেয়া যায়।
কলমের কালি কি দিয়ে তৈরি হয়
কলম তৈরিতে তিল এবং ত্রিফলা ব্যবহার করা হয়। ত্রিফলা বলতে এখানে তিন রকম ফল
ব্যবহার করা হয়েছে। তিন রকম ফল গুলো হলো - আমলোকি, হরিতকি ও বিভিতকি যার প্রচলিত
নাম বহেরা। এই উপকরণ গুলোর সাথে শিমুল গাছের ছাল এবং ছাগলের দুধের সাথে মিশিয়ে
লোহার পাত্রে রেখে লোহা দিয়ে ঘুষে কালি তৈরি করা হয়।
পেন্সিল দিয়ে আঁকানো বা লিখা যেমন রাবার দিয়ে মোছা যায়, ঠিক তেমনি কলমের কালি
তোলার উপায় ও আছে। অনেক সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ পেপারে কলমের কালি লেগে যায় বা
লিখা ভুল হয়ে যায়, যে কারণে অনেক সমস্যায় পরতে হয়। তাই এই কালি তোলার জন্য
ফ্লুইড ব্যবহার করা হয়। ফ্লুইড ব্যবহার করলে আগের কোনো দাগ থাকবে না, অর্থাৎ
প্রয়োজনমত কালি মুছে দেয়া যায়। এবং আরেকটি কলমের কালি মোছার কলম রয়েছে , সেটি
হলো বল ফ্রিক্সার ক্লিকার। এই কলমটির এক প্রান্তে রয়েছে বল পেন এবং অপর
প্রান্তে কলমের কালি মেশানোর রাবার। এই কলমটি দিয়ে লিখে কলমের অপর প্রান্ত
দিয়ে খাতায় একটু প্রেসার দিয়ে ঘুষলে খাতার সব লিখা নাই হয়ে
যবে।
কলমের কালি তোলার উপায় এর শেষকথা
কলমের কালি কাপড় থেকে উঠানোর জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যায় । খাতা
থেকে কলমের কালি দূর করার জন্য ২ টি জিনিস ব্যবহার করা হয় সেগুলা হলো- বল
ফ্রিক্সার ক্লিকার এবং ফ্লুইড ব্যবহার করা হয়। আশা করি পোস্টি টি পড়ে উপকৃত
হয়েছেন , উপকৃত হয়ে থাকলে আপনার ফ্রেন্ড দের শেয়ার করে দিন।
অর্ডিনারি সিসি’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url