কম সময়ে বেশি পড়ার উপায় - বই পড়ার সঠিক সময়
কম সময়ে বেশি পড়ার উপায় - বই পড়ার সঠিক সময় সকল ছাত্র-ছাত্রীর জানা উচিত। পড়া লেখায় ভালো করতে সবাই চাই ,তবে ভালো করতে চাইলেই ভালো করা যায় না তার জন্য পড়াশোনা করতে হয়। অনেক ছাত্র-ছাত্রী আছে যারা পড়া লেখা করতে ভালোবাসে আবার এমনও অনেক আছে যারা মোটেই পড়া লেখা করতে চাই না। অনেকে আবার কম সময়ে বেশি পড়ার উপায় - বই পড়ার সঠিক সময় সম্পর্কে জেনে অনেক উপকৃত হইয়েছেন । কম সময়ে বেশি তখনই পড়তে পারবে যখন তারা পড়া লেখায় মনোযোগী হবে।
পড়াশোনায় মনোযোগী না হলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়লেও তা মনে থাকবে না। কম সময়ে বেশি
পড়ার উপায় - বই পড়ার সঠিক সময় অনেক আছে, তা শুধু নিজেকে পড়া লেখার সাথে অতপ্রত
ভাবে জড়ালেই জানা যায়। কম সময়ে বেশি পড়তে কে না চাই। তবে ছাত্র-ছাত্রীদের কিছু
ঘাটতির জন্য পড়াশোনায় মন বসে না। ঘাটতিটি হলো নিয়মিত পরতে না বসা, কম সময়ের জন্য
হলেও প্রতিদিন পড়তে হবে। পড়াশোনায় ভালো করার জন্য অবশ্যই পড়ার একটা সঠিক সময়
নির্ধারন করতে হবে। এবং কম সময়ে বেশি পড়ার উপায় - বই পড়ার সঠিক সময় সম্পর্কে বেশি
বেশি জানতে হবে। কারণ এটি প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীর জানা দরকার কম সময়ে বেশি পড়ার
উপায় - বই পড়ার সঠিক সময় সম্পর্কের । তাই আজকের পোস্টে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো
কম সময়ে বেশি পড়ার উপায় - বই পড়ার সঠিক সময় ।
কম সময়ে বেশি পড়ার উপায় - বই পড়ার সঠিক সময় সম্পর্কে জেনে অবশ্যই তা কাজে লাগাতে
হবে অর্থাৎ নিয়মিত পড়তে হবে। কম সময়ে বেশি পড়ার উপায় - বই পড়ার সঠিক সময় একজন
ছাত্র/ছাত্রীর গুরুত্বপূর্ণ অংশ। চলুন আমরা জেনে নিই কম সময়ে বেশি পড়ার উপায় - বই
পড়ার সঠিক সময়।
সূচীপত্র: কম সময়ে বেশি পড়ার উপায় - বই পড়ার সঠিক সময়
পড়াশোনা করার সঠিক নিয়ম
পড়াশোনা সঠিক ভাবে করতে হলে অবশ্যই একটি রুটিন তৈরি করতে হবে এবং সেই রুটিন
অনুযায়ী নিয়মিত পড়তে হবে তাহলে অবশ্যই তোমার পড়া লেখায় আগের তুলনায় অনেক ভালো হয়ে
যাবে। রুটিনে যখন যেই বিষয় ঠিক করবে ঠিক সেই বিষয় গুলো নিয়মিত পরবে । এই ভাবে
রুটিন অনুসারে পড়তে থাকলে এটা একটা অভ্যাসে পরিণিত হয়ে যাবে এবং পড়াশোনায় মনোযোগী
হওয়া যাবে।
বুঝে পড়ার উপায়
পড়ার সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে হবে, তুমি যা পড়ছো সেটাকে একটি গল্পো আকারে
সাজাও, কেননা আমাদের অক্ষর বা সংখ্যার থেকে গল্পো বেশি মনে থাকে এবং সেই গল্পো
থেকে নিজে নিজে প্রশ্নো সাজাও এবং প্রশ্নের উত্তর বের করো। যখনই তুমি কোনো বিষয়ে
পড়তে গিয়ে কোনো ঘটনার কারণ এবং ফলাফল সম্পর্কে নিজে থেকে খুঁজে বের করবে, তখন সেই
পড়াটা তোমার ভিতরে পাকাপোক্তভাবে ঢুকে যাবে।
বই পড়ার সঠিক সময়
আমি মনে করি বই পড়ার সঠিক সময় হচ্ছে সকাল এবং সন্ধ্যা। কারণ সকাল সকাল মন ফ্রেশ
থাকে,যাতে করে যাই পড়ো না কেন তাই সুন্দর ভাবে মনে থাকবে এবং বিকালে খেলা ধুলা
করার সময় যে কারণে সেই সময়টা তে না পড়ায় ভালো এবং খেলা ধুলা শেষে সন্ধার পর মন
ফ্রেশ থাকে যে কারণে পড়া ভালো মুখস্ত হয় বা মনে থাকে।
দৈনিক কত ঘণ্টা পড়া উচিত
দিনে ২/৩ ঘণ্টা মনোযোগসহ করে পড়লে অনেক পড়া হয় এবং ভালো ফলাফল লাভ করা যায়। পড়ার
ফাঁকে ফাঁকে অবশ্যই বিরতি নিতে হবে কেননা এক ঘেয়েমি ভাবে পড়লে পড়ার ইচ্ছা থাকে না
এবং পড়ার প্রতি মন বসে না । তাই প্রতি ৩০ মিনিট পর ৫ মিনিট বিরতি নিতে হবে।
এইভাবে পড়লে দেখা যাবে পড়া লেখার প্রতি একটা টান চলে আসবে।
টপার রা কিভাবে পড়াশোনা করে
টপার হতে হলে একটাই উপায় বেশি জানতে হবে। জানার কোনো শেষ নেই এবং পড়া লেখার মধ্যে
ডুবে থাকতে হবে। পড়া লেখা ঠিক করে না করলে টপার হওয়া যায় না। যে কোনো বিষয় বেশি
বেশি প্র্যাকটিস করতে হবে। টপার রা কিভাবে পড়ে সেটা দেখে লাভ নাই। নিজে ঠিক ভাবে
পড়াশোনা করলেই টপার হুয়া হওয়া যায়। নিজে থেকে জানার চেষ্টা করতে হবে, কারো আশায়
বসে থাকা যাবে না।
কিভাবে পড়াশোনা করলে ভালো রেজাল্ট করা যায়
অনেকে পড়াশোনা করতে ভালোবাসে আবার অনেকে পড়াশোনা করতে পছন্দ করে না। প্রতিটি
ছাত্র-ছাত্রীর মা-বাবা, শিক্ষক-শিক্ষিকা সবাই চাই যেন তাদের সন্তান ভালো রেজাল্ট
করে। যারা ভালো রেজাল্ট করে তারা অনেকটা সময় পড়া লেখার পিছনে ব্যায় করে। তবে সব
ছাত্র-ছাত্রীর দ্বারা এটা সম্ভব না। নতুন নতুন ক্লাস নিয়ে আসে নতুন নতুন
চ্যালেঞ্জ, তবে পড়াশোনায় করার এবং ভালো রেজাল্ট করার জন্য যেটা প্রয়োজন সেটা হলো
পড়া লেখায় মনোযোগ এবং চর্চা। নিয়মিত পড়াশোনা না করলে পড়াশোনা ব্রেইনে ভালো ভাবে
নিতে পারে না, যার কারণে পড়া মনে থাকে না। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে পড়ার অভ্যাস
তৈরি করতে হবে। পড়াশোনায় ভালো রেজাল্ট করতে চাইলে যেটা সর্ব প্রথম দরকার সেটা হলো
নিজের প্রতি বিশ্বাস, এবং নিজে নিজে নোটস তৈরি করা, এবং একটি রুটিন তৈরি করতে
হবে, যেন সেই রুটিন অনুযায়ী পড়ে ভালো রেজাল্ট করা যায়, এবং ভালো জায়গায় প্রাইভেট
বা কোচিং করা, গ্রুপ স্টাডি করা, শিক্ষক-শিক্ষিকার সাহায্য নেওয়া , এবং লেখার
অভ্যাস তৈরি করা।
কম সময়ে বেশি পড়ার উপায়
কম সময়ে বেশি পড়াশোনা করার জন্য তোমাকে সঠিক সময় নির্ধারণ করতে হবে এবং তারপর
পছন্দের সাবজেক্টটি পড়া শুরু করা লাগবে। তোমার পছন্দের সময়ে পছন্দের বিষয়টি পড়তে
শুরু করলে পড়ালেখায় মনোনিবেশ হবে। পড়াশোনায় সহজে মনোযোগী হতে পারলে কম সময়ে অনেক
বেশি পড়া যাবে।
কম সময়ে বেশি পড়ার উপায় - বই পড়ার সঠিক সময় এর শেষ কথা
কম সময়ে বেশি পড়া যাবে তখনই যখন আমরা দিয়ে পড়ব। পড়াশোনায় মনোযোগী হতে হবে এবং প্রতিদিন পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। আমাদের এই পোস্ট থেকে কম সময়ে বেশি পড়ার উপায় - বই পড়ার সঠিক সময় সম্পর্কে জেনে যদি ভালো লাগে বা উপকৃত হও তাহলে বন্ধুদের মাঝে পোস্টটি শেয়ার করে দিও।
অর্ডিনারি সিসি’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url