ধান উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান ২০২৩

কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। কৃষি কাজ করেই বাংলাদেশের মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে। কৃষি বাংলাদেশের মানুষের অহংকার। বাংলাদেশের কৃষকরা প্রায় সব ধরনের ফসল চাষ করে। তবে ধান চাষ করা বাংলাদেশের মানুষের প্রধান কাজ। মানুষ বেচে থাকতে হলে খাদ্যের প্রয়োজন। আর বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাদ্য হলো ভাত আর এই ভাত উৎপাদন হয় ধান থেকে।

• ধান উৎপাদনে বাংলাদেশর অবস্থান কততম
• চাল উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান কত
• বাংলাদেশের কোথায় ধান চাষ করা হয়
• বাংলাদেশে কি কি জাতের ধান চাষ করা হয়
• কৃষি প্রধান দেশ কোনটি
• ধান উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান ২০২৩ এর শেষ কথা

ধান উৎপাদনে বাংলাদেশর অবস্থান কততম

ধান উৎপাদনে বাংলাদেশর অবস্থান ২০২৩ সম্পর্কে জানতে হলে। আজকের লেখা ধান উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান ২০২৩ আর্টিকেল টি ভালোভাবে পড়তে হবে। কৃষকের চাষ করা ফসলের তালিকায় ধান থাকবেই। কারণ ধান হলো কৃষকের আস্থা এবং ভরসা। বেচে থাকার জন্য ধান আমাদের একান্ত প্রয়োজন। ধান থেকে আমরা প্রক্রিয়া করণের মাধ্যমে আমরা ভাত পেয়ে থাকি। আর এই ভাত খেয়েই আমরা জীবন ধারণ করে থাকি। 

ভাত বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাদ্য। ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ বর্তমানে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।বাংলাদেশের সব জেলায় কম বেশি ধান চাষ হয়ে থাকে। বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরণের ধান চাষ হয়ে থাকে।শুধু বাংলাদেশেই ধান চাষ করা হয় না। বিশ্বের বেশ কয়েকটা দেশে ধান চাষ করা হয়ে থাকে।তার মধ্যে চীনে সব থেকে বেশি ধান চাষ করা হয়ে থাকে। ধান চাষে বিশ্বে প্রথম স্থানে রয়েছে চীন। চীনে সব চাইতে বেশি ধান উৎপাদন করা হয়। তবে বাংলাদেশের মানূষ জীবিকা নির্বাহ করে ধান চাষ করে। ধান চাষ বা কৃষি কাজ বাংলাদেশের মানুষের প্রধান পেশা।

বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাদ্য হলো চাল থেকে রান্না করা ভাত। বাংলাদেশের মানুষ তিন বেলাই ভাত খেয়ে থাকেন। ভাত ছাড়া এদেশের মানুষের একদিনও চলে না। বাংলাদেশের কৃষকরা ধান চাষ করে সারা বছরের জন্য চাল সংরক্ষন করে রাখেন। যাতে সারা বছর কোনো চিন্তা না করে খাওয়া যায়।বাংলাদেশের কৃষকরা অনেক পরিশ্রম করে ধান চাষ করে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকমের ধান চাষ করা হয়ে থাকে। অঞ্চল ভেদে বিভিন্ন প্রজাতির ধান উৎপাদন করা হয়ে থাকে।বাংলাদেশের কোনো কোনো অঞ্চলে বছরে দুই থেকে তিন বার ধান চাষ করা হয়ে থাকে।

আবার কোনো অঞ্চলে বছরে দুই বার ধান চাষ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের কৃষকরা ধান চাষের ওপর নির্ভরশীল। এই ধান থেকে উৎপাদিত চাল হলো বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাদ্য। চাল থেকে তৈরি ভাত হলো বাঙালির প্রিয় খাবার। এই জন্যই বাংলাদেশের মানুষ কে বলা হয় মাছে,ভাতে বাঙালি। ভাত না খেলে মানুষ শরীরে শক্তি পাবে না। ভাত মানুষের জীবন কে বাচিয়ে রাখে। 

এই জন্যই বাংলাদেশের মানুষ ধান চাষ করে এবং ধান থেকে চাল উৎপাদন বৃদ্ধি করে থাকে। বিশ্বে চাল উৎপাদনে বাংলাদেশের স্থান হলো তৃতীয়। চীন ও ভারতের পরেই তৃতীয় স্থানটি ছিলো ইন্দোনেশিয়ার। কিন্তু বাংলাদেশে ইন্দোনেশিয়াকে টপকে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে।বর্তমানে চাল উৎপাদনে বাংলাদেশের স্থান হলো তৃতীয় স্থান।

ধান হলো সোনালি ফসল। ধান চাষে প্রকৃতিও নতুন সাজে সেজে উঠে। নতুন ধানের মিষ্টি গন্ধে বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চলে একটা সুন্দর পরিবেশ তৈরি হয়ে যায়। ধান চাষ করা হলো কৃষকের স্বপ্ন।কৃষকরা অনেক যত্ন করে ধান চাষ করে। জমি প্রস্তুত করা, চারা রোপন করা, কীটনাশক প্রয়োগ করা, সঠিক সময়ে সেচ দেওয়া। অতপর যখন ধান ঘরে তোলে তখন কৃষকরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়।বাংলাদেশের মানুষের খাবার তালিকায় ভাত থাকবেই। যেহেতু ভাত হলো বাংদেশের মানুষের মানুষের প্রিয় খাদ্য। 

সেহেতু বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায় ধান চাষ করা হয়। তবে কোনো কোনো জেলায় ধান চাষ একটু বেশিই হয়। রংপুর,ফরিদপুর,ময়মনসিংহ এগুলো জেলায় ধান চাষ একটু বেশি হয়েই থাকে। ধান চাষের মধ্যে যে আনন্দ রয়েছে সেটা উপভোগ করে শুধু গ্রামের মানুষেরা। মাঠকে মাঠ ধান চাষ করা হয়। ধান চাষ করার পূর্বে জমিকে প্রস্তুত করে নিতে হয়। কৃষকরা অনেক আনন্দের সাথে কাজ করে । অনেক আনন্দের সাথে ফসল ঘরে তোলে। ধান চাষের সময় অনেক মানুষের কর্মের ও ব্যবস্থা হয়। 

বাংলাদেশে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যাদের চাষ করার মতো কোনো জমি থাকে না। অনেকে আছে অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। সেরি ক্ষেত্রে দেখস যায় যে, ধান চাষের সময় অনেক কাজ করতে হয়। তাই যারা অন্যের বাড়িতে কাজ করে তারা এই ধান চাষ করার সময় অনেক কাজ করে ধান সংগ্রহ করে থাকে। আবার দেখা যায় যে অনেক এলাকায় ধান চাষ বেশি হওয়ার কারণে সেই সব এলাকায় মানুষ কাজ করতে যায়। এতে করে অনেক মানুষের অভাব দূর হয়ে যায়।

ধান উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান ২০২৩ আর্টিকেল টি তে রয়েছে ধান সম্পর্কে অনেক জানা, অজানা তথ্য। ধান সম্পর্কে জানতে হলে আজকের লেখা ধান উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান ২০২৩ এই আর্টিকেল টি ভালোভাবে পড়তে হবে। বাংলাদেশে কি কি জাতের ধান চাষ করা হয় এই বষয়ে জানতে হলে বা কোনো তথ্য পেতে হলে ভিজিট করতে হবে আমাদের এই ধান উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান ২০২৩ আর্টিকেল টি। বাংলাদেশে আউশ, আমন,  বোরো এই তিন মৌসুমে ধান চাষ করা হয়ে থাকে। 

বাংলাদেশে এক সময় ১৫ হাজারের ও বেশি ধান চাষ করা হতো। কিন্তু এখন সময়ের ব্যবধানে অনেক প্রজাতির ধান চাষ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আউশ, আমন, বোরোর মধ্যে কয়েকটি জাতের ধান রয়েছে যেগুলো কৃষকের কাছে অনেক জনপ্রিয়। যেমন আমন সিজনে ব্রি ধান ৮৭ রোপা আমন হিসেবে পরিচিত। এই ধান থেকে সুন্দর চাল পাওয়া যায়। এই ধানের চাল সাদা লম্বা ও চিকন হয়ে থাকে। 

খড়া মৌসুমে  রোপা আমন ব্রি ৭১ চাষ করা হয়ে থাকে। যার ফলন হয় অধিক এবং চাল দেখতে ও অনেক সুন্দর। এমনই করে বিভিন্ন সিজিনে বিভিন্ন রকমের ধান চাষ করা হয়ে থাকে। এছাড়াও বাংলাদেশে এক ধরণের ধান চাষ করা হয়। অনেক সুগন্ধি চাল পাওয়া যায় সেই ধান থেকে। সেই চাল আমরা পোলাও এর চাল হিসেবে ব্যবহার করে থাকি।

বাংলাদেশের প্রধান কাজ হলো কৃষিকাজ। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। কম সংখ্যক মানুষ চাকরী বা ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। তবে কৃষিকাজ হলো প্রধান। বিশ্বে কৃষি প্রধান দেশ কোনটি জানতে হলে আজকের লেখা ধান উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান ২০২৩ আর্টিকেল টি ভালোভাবে পড়তে হবে। বাংলাদেশে যতই ধান চাষ করা হোক না কেনো বিশ্বে কৃষিপ্রধান দেশ কিন্তু বাংলাদেশ নয়। বিশ্বে কৃষি প্রধান দেশ হলো চীন। চীনে সব চেয়ে বেশি ধান চাষ হয়ে থাকে। এই জন্যই চীন কে কৃষি প্রধান দেশ বলা হয়ে থাকে।

আজকের লেখা ধান উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান ২০২৩ আর্টিকেল নিয়ে শেষ কিছু কথা হলো ,ধান আমাদের অনেক চাহিদা পূরণ করে থাকে। ধান চাষ করে আমরা খাদ্যের চাহিদা পূরণ করতে পারি।আবার ধান চাষ করে আমাদের আর্থিক সমস্যারও সমাধান হয়ে থাকে। বাঙালিদের মাছে, ভাতে বাঙালি বলা হয়ে থাকে। শুধু বাংলাদেশেই নয় বিশ্বে অনেক দেশে ধান চাষ করা হয়। তবে চীন হলো ধান চাষে বিশ্বে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। কোনো মানুষ কে জীবন ধারণের জন্য বেঁচে থাকতে হলে খাবার খেতে হবে। তা না হলে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। 

মানুষ বেঁচে থাকার জন্য ভাত খায়।ভাত না খেলে মানুষ অসুস্থ হয়ে যাবে এবং সর্বশেষে মারাও যেতে পারে। তাই মানুষ কে সুস্থ থাকতে হলে বা জীবিত থাকতে হলে ভাত খেতে হবে। ভাত আমাদের শরীরে অনেক পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে থাকে। আর ভাত পেতে হলে ধান চাষের কোনো বিকল্প নেই। ধান সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে হলে আজকের লেখা ধান উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান ২০২৩ এই আর্টিকেল টি ভালোভাবে পড়তে হবে।