কিডনির ব্যথা কোথায় হয়-কিডনি রোগের ঔষধ কি

কিডনি মানব দেহের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিডনি হলো দেহের রেচন তন্ত্রের প্রধান অংশ। কিডনির ব্যথা কোথায় হয়-কিডনি রোগের ঔষধ কি এসব প্রশ্ন অনেকের মনেই থাকে। কিডনি নিয়ে জানা, অজানা কিছু তথ্য নিয়ে আজকের এই পোস্টটি লেখা হয়েছে। কিডনির প্রধান কাজ হলো, মানবদেহের রক্ত ছেঁকে বর্জ্য পদার্থ আলাদা করা এবং মুত্র উৎপাদন করা। মানবদেহের রক্ত প্রায় ৪০ বার কিডনির মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়।

কিডনির ব্যথা কোথায় হয়-কিডনি রোগের ঔষধ কি এইসব বিষয় নিয়েই আজকের আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে। অনেকেই বুঝতে পারে না কিডনির সমস্যা হলে কোথা ব্যথা হয় বা কিডনির সমস্যা হলে প্রাথমিক ভাবে কি করলে ভালো হবে বা আরাম পাওয়া যাবে।আজকের আর্টিকেলে থাকছে কিডনির ব্যথা কোথায় হয়-কিডনি রোগের ঔষধ কি।

সূচিপত্রঃকিডনির ব্যথা কোথায় হয়-কিডনি রোগের ঔষধ কি 

কিডনির ব্যথা কোথায় হয়

আমরা আসলে সঠিক ভাবে অনেকেই জানি না যে, কিডনির ব্যথা কোথায় হয়।কিডনি আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ।মানুষের দেহে দুইটা কিডনি থাকে। শরীরের মধ্যে কোমড় বা মেরুদন্ডের আশেপাশে যদি ব্যথা অনুভব করি তাহলে অনেক চিন্তা হয়। মনে হয় কিডনির কোনো সমস্যা হয়েছে। যদিও কিডনির সমস্যা হলে আলাদা লক্ষণ দেখা দেয়। এই জন্য শরীরের কোনো স্থানে যদি ব্যথা অনুভব হয়,তাহলে বিচলিত না হয়ে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। কিডনির ব্যথার কোনো নিদ্দির্ষ্ট জায়গা থাকে না।
কিডনি ব্যথা সাধারণত কোমড়ে, পাজরে, হিপ জয়েন্টে, উপরের পেটে, উরুর ভেতরে হয়ে থাকে।কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীর অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়, যেমন-পেট ব্যথা হওয়া, প্রসাবের পরিমাণ কমে যাওয়া, প্রসাবের সাথে রক্ত আসা,খাবারের প্রতি অনীহা হওয়া, শরীর দুর্বল হয়ে পড়া, মাথা ব্যথা হওয়া। বমি,বমি হওয়া, জ্বর আসে, শরীরের বিভিন্ন জায়গা ফুলে যাওয়া। এগুলো লক্ষণ দেখা দিলে বুঝতে হবে যে ঐ ব্যক্তি কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এগুলো লক্ষণ যদি কোনো ব্যক্তির শরীরে দেখা যায়, তাহলে ঐ ব্যক্তিকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।

কিডনির পয়েন্ট কত হলে ভালো হয়

কিডনির ব্যথা কোথায় হয়-কিডনি রোগের ঔষধ কি এই আর্টিকেলে কিডনি সম্পর্কে অনেক জানা, নাজানা তথ্য পাওয়া যাবে। কিডনির পয়েন্ট কত হলে ভালো হবে বা কত পয়েন্ট হলে কিডনি সুস্থ হবে, এটা আমরা অনেকেই জানি না। তাহলে আসুন কিডনির ব্যথা কোথায় হয়-কিডনি রোগের ঔষধ কি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নেই কিডনি কত পয়েন্ট হলে ভালো হয়। ছেলেদের ক্ষেত্রে যদি কিডনির পয়েন্ট ০.৭থেকে ১.৪ থাকে এবং মেয়েদের  ক্ষেত্রে ০.৬ থেকে ১.২ থাকে তাহলে বুঝবেন আপনার কিডনি সুস্থ আছে।

কিডনি রোগের ভেষজ ঔষধ

কিডনি রোগের জন্য অনেক ধরনের ঔষধ রয়েছে। কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীকে যেকোনো ঔষধ খাওয়ানো যাবে না। সব সময় ডাক্তারের পরামর্শ মেনে ঔষধ খেতে হবে। কিডনির সমস্যা গুলো অনেক জটিল হয়ে থাকে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক সময় রোগী মারাও যায়। সঠিক চিকিৎসা না পেলে কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগী মারা যেতে পারে। তাই কিডনি রোগে আক্রান্ত হলে সঠিকভাবে চিকিৎসা করতে হবে। কিডনি রোগের জন্য ভেষজ ঔষধ ও রয়েছে।
ভেষজ ঔষধ খুব ভালো ভাবে কাজ করে। যার ফলে দ্রুত রোগ নিরাময় হয়। গবেষনা করে দেখা গেছে যে আপেল উচ্চ আশযুক্ত খাবার, যা বাজে কোলেস্টেরিল দূর করে থাকে। এছাড়াও কিডনি রোগ দূর করার জন্য আরেকটি অন্যতম উপাদান হলো পিয়াজ। এতে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনোয়েড রয়েছে। যা রক্তের চর্বি দূর করে। প্রতিদিন অন্তত দিনে ৮ গ্লাস পানি বা তরল খাবার খাওয়া উচিত। যদি শরীরে ঘামের পরিমাণ বেশি হয়ে থাকে, তাহলে পানি পান করার পরিমাণ আরও বেশি করতে হবে।

ঘুমের ঔষধ কি কিডনীর ক্ষতি করে

সাধারণত যেকোনো রোগীর যদি ঘুমের সমস্যা হয়, তাহলে ডাক্তার রা অনেক সময় ঘুমের ঔষধ দিয়ে থাকেন। কিন্তু যারা ঘুমের ঔষধ দীর্ঘদিন খাওয়ার পরে অনেকের এটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। আর ঘুমের ঔষধ দীর্ঘদিন খাওয়ার অভ্যাস করলে শরীরে অনেক ক্ষতি হয়। শরীর দুর্বল হয়ে যায়। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এমনকি কিডনির সমস্যা ও হতে পারে। ঘুমের ঔষধে আসক্ত হয়ে পড়লে পানি পিপাসা কমিয়ে দেয়। আর কিডনির সমস্যা হয় মূলত পানি কম পান করার জন্য। এই জন্য ঘুমের ঔষধ কিডনি রোগের কারণ হতে পারে। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, ঘুমের ঔষধ কিডনির ক্ষতি করে।

কোন খাবার খেলে কিডনিতে পাথর হয়

কিডনিতে পাথর হওয়া রোগটি এখন অনেক মানুষের হয়ে থাকে। কোনো অসুখই ভালো নয়। তবে এই ধরনের রোগ গুলো খুবই কষ্টদায়ক। আমাদের চলাফেরা বা খাওয়া, দাওয়ার জন্যই অনেক সময় অনেক রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাধে। এমনও অনেক খাবার রয়েছে , যেগুলো খেলে কিডনিতে পাথর হতে পারে। জেনে নেই সেই খাবারগুলো কি কি। অতিরিক্ত চাব বা কফি খাওয়া যাবে না, বেশি লবণ খাওয়া যাবে না, মাছ, মাংস এর মতো অধিক প্রোটিনযুক্ত খাবার কম খেতে হবে, চর্বিহীন মাংস কম তেলে ভালোভাবে সেদ্ধ করে রান্না করে খেতে হবে, চকলেট, বাদাম এইসব ধরণের খাবার বাদ দিতে হবে।

কিডনি পরিক্ষার খরচ কত

অনেক সময় ডাক্তারের কাছে অসুখ দেখানোর জন্য গেলে অনেক পরিক্ষা করতে দেয়। তেমনই কিডনির সমস্যা হলে, আমরা যখন ডাক্তারের কাছে যাই, তখন কিডনি পরিক্ষা করার কথা বলেন ডাক্তার রা। এই জন্য আগে থেকে জানা থাকলে ভালো হয়। সেই ভাবে পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়া যায়। কিডনি পরিক্ষার খরচ সাধারণত ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা লাগতে পারে। তবেই এই একই মূল্য সব সময় না ও থাকতে পারে। বাড়তে ও পারে আবার কমতে ও পারে। 
কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীর কে প্রথমে বোঝা যায় না যে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু আস্তে আস্তে রোগীর অবস্থা খারাপ হতে থাকে। কিডনি সমস্যা হলে সেই রোগী কে ডাক্তার না দেখিয়ে কোনো ধরণের ঔষধ খাওয়ানো যাবে না। ডাক্তার দেখিয়ে পরিক্ষা করে ঔষধ খাওয়ানো উচিত। কিডনি রোগটা অনেক জটিল। তাই এই রোগ টাকে ফেলে রাখতে নেই। সঠিকভাবে ডাক্তার দেখিয়ে পরিক্ষা করে ঔষধ খেতে হবে।এই অসুখটা অনেক মারাত্বক।এই রোগে আক্রান্ত রোগীরা অনেক সময় সঠিক চিকিৎসার অভাবে আক্রান্ত রোগী মারা যায়।

কিডনি রোগীর খাবার 

আমাদের শরীরে অনেক ধরনের অসুখ হয়। আর এই অসুখগুলো আমাদের নিজেদের ভুলের কারনেই হয়ে থাকে। আমাদের চলাফেরা বা খাওয়া দাওয়ার ওপর ভিক্তি করেই আমাদের শরীরে অসুখ, বিসুখ দেখা দেয়। এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে আমাদের কিডনির সমস্যা হতে পারে। কিন্তু আমরা সেগুলো খেয়াওলই করি না। ক্ষুদা লাগলে খাবার খেয়ে নেই, কিন্তু কি খেলাম সেই খাবার আমাদের শরীরের জন্য কতটুকু ভালো বা কতটুকু ক্ষতিকর সেই দিকে খেয়াল করি না। এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে কিডনি রোগীদের অনেক উপকারে আসে। 
কিডনি ভালো রাখার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। কিডনি রোগীর মোট ক্যালরি চাহিদার বেশির ভাগই কার্বহাইড্রেটের মাধ্যমে পূরণ হয়। তাই বেশি বেশি কার্বহাইড্রেট জাতীয় খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। যেমন-ভাত,ময়দা, রুটি, চিরা, সুজি, চালের গুড়া, চালের রুটি, সাগু, সেমাই এই ধরণের খাবারে কার্বহাইড্রেট পরিমাণ বেশি থাকে। এই জন্য এই সকল খাবার বেশি বেশি খেতে হবে।

কিডনির ব্যথা কোথায় হয়-কিডনি রোগের ঔষধ কি এর শেষ কথা

কিডনির ব্যথা কোথায় হয়-কিডনি রোগের ঔষধ কি এটা নিয়ে শেষ কথা।কিডনির ব্যথা কোথায় হয়-কিডনি রোগের ঔষধ কি এগুলো বিষয়ে ধারণা রাখতে হয়।অনেক সময় পেট বা মেরুদন্ডের আশেপাশে ব্যথা অনুভব হলে আমরা বুঝতে পারি না যে সেই ব্যথা টা কিসের ব্যথা।তখন আমরা ভয় পাই ভাবি যে হয়তো এটা কিডনির সমস্যার কারণে এমন হচ্ছে।কিডনির ব্যথা কোথায় হয়-কিডনি রোগের ঔষধ কি এই বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা থাকলে তখন আর ভয়ের কোনো কারণ থাকে না।এই জন্যই কিডনির ব্যথা কোথায় হয়-কিডনি রোগের ঔষধ কি এটা সম্পর্কে ধারণা রাখা টা খুবই জরুরি।

 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
1 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • স্বাস্থ্যসেবা
    স্বাস্থ্যসেবা January 19, 2024 at 6:39 PM

    ধন্যবাদ স্যার
    https://www.swasthoseba.com/

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি সিসি’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url