গ্রামের লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া
আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো গ্রামের লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে। গ্রামের লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া অনেক আছে , যদি সেই আইডিয়া কাজে লাগাতে পারেন তবে আপনিও অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই কি কি উপায়ে গ্রামে ব্যবসা করা যায় তা নিয়ে আজকের আর্টিকেলটি আলোচনা করব। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক গ্রামের লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে।
গ্রামের লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া গুলো হলো কাঁচা মালের দোকান, মুদির দোকান, মুরগি পালন, মাছ চাষ, শরিষা বিক্রি, চাল বিক্রি ইত্যাদি। আরো অনেক গ্রামের লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া রয়েছে। তো আর কথা না বাড়িয়ে চলুন আমরা জেনে নিই গ্রামের লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া।
সূচিপত্র: গ্রামের লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া
- কাঁচামলের দোকান
- মুদির দোকান
- মুরগি পালন
- মাছ চাষ
- চাল বিক্রি
- সরিষা বিক্রি
- টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা
- ফাস্ট ফুড এর দোকান
- ফটোকপির দোকান
- আচার বানানোর ব্যবসা
- বই এর দোকান
- চা-শিংঙ্গাড়ার দোকান
- পানি সাপ্লাই ব্যবসা
- মেডিকেল স্টোর
- পরিবহনের ব্যবসা
- পেঁপে চাষ করা
- কোয়েল পাখির ব্যবসা
- গ্রামের লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া এর শেষকথা
কাঁচামলের দোকান
প্রতিদিনের খাদ্যের তালিকায় সব রকম পণ্যের খুচরা ও পাইকারি বিক্রয়ের বিখ্যাত জায়গা হলো ঢাকার কাঁচাবাজার গুলো। বিভিন্ন জেলার কৃষক ও ব্যবসায়ী দের থেকে সব ধরনের মাছ, মাংস, সবজি, ফল, চাল, ডাল, শুটকি মুরগি ইত্যাদি পাইকারি ব্যবসায়ী এবং এবং খুচরা ক্রেতাদের সরবরাহ করেন। এই সব ব্যবসা যে কেউই করতে পারবে। সাধারণত কাঁচামলের দোকান অনেক সকালে খুলতে হয় এবং অল্প সময়ে শেষ হয়ে যায়। আপনার ব্যস্ত সময় শুরু হওয়ার আগেই এই কাজ শেষ করে আপনার কর্মস্থলে যেতে পারবেন।
মুদির দোকান
যে ব্যবসায় কোনো লস নাই এটিই সেই ব্যবসা। আপনি যদি অল্প পরিসরে হিসাব নিকাস জেনে থাকেন তবে আপনার জন্য এই ব্যবসাটি তেমন কঠিন হবে না। এই কাজটির জন্য আপনাকে ধৈর্য ধরে থাকতে হবে। কেননা কোন জিনিসে ধৈর্য না ধরলে সফলতস পাওয়া সম্ভব হয়ে উঠে না। আপনাকী মনোস্থির কুরতে হবে যে আআপনাকে এই ব্যবসাটা সারা জীবন করতে হবে । আর যে কোন কাজ করতে গেলে গুউরুত্বপূর্ণ যে কাজটি সেটি হলো মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করা। আপনি একজন কাস্টমারের সাথে ভালো ব্যবহার করলে অবশ্যই সে কাস্টমারটি আপনার থেকে রেগুলার জিনিস পত্র কিনবে। তাই সবার সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে। এবং কেউ যদি আপনার থেকে বাকিতে জিনিস কিনে টাকা না দেই তার সাথেও খারাপ বযবহার করবেন না। আর চেষ্টা করবেন কেউ যেন বাকিতে কোন জিনিস না চাইতে পারে। আপনার ব্যবসায় যে লাভটা আসবে সেই লাভের টাকা দিয়ে আরো বেশি বেশি জিনিস কিনবেন এতে করে আপনার ব্যবসা টা বৃদ্ধি পাবে। আর হ্যা আপনি আপনার ব্যবসা যেভাবে গড়ে তুল্বেন ঠিক সেই ভাবেই ব্যাবসা টা গড়ে উঠবে। এই ব্যবসায় বাকি থাকবে স্বাভাবিক তবে কারো কাছে আপনার টাকা বাকি থাকলে সেটা নির্দিষ্ট সময়ে তুলে নিবেন। গ্রামের লাভজনক ব্যবসার আইডিয় এর মধ্যে এটি একটি।
মুরগি পালন
দেশি মুরগির মাংস এবং ডিম অন্যান্য মুরগির তুলনায় স্বাদ বেশি তাই দেশি মুরগির চাহিদা ও অনেক। গ্রামের লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে এটিও ভালো। কেননা গ্রামে মুরগি পালন করা সহজ। এই মুরগি পালন করে অনেক লাভবান হতে পারবেন। কম টাকা খরচ করে বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। লেখা পড়ার পাশাপাশি কিংবা যে কোন চাকরির পাশাপাশি আপনি আপনার বাসার পাশেই এই মুরগির হামার করতে পারবেন। দেশি মুরগির রোগ বালাই কম হওয়ার কারণে এই ব্যবসায় ঝুকিও কম।
মাছ চাষ
কথায় আছে, মাছে ভাতে বাঙালি। দেশের প্রায় দশ ভাগ মানুষ মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। আবার মাছ থেকে আমরা আমাদের দেহের ষাট ভাগ আমিষ পেয়ে থাকি। বাংলাদেশের জলবায়ু মাছ চাষের জন্য উপযোগী এবং মাছ চাষ করে খুব তাড়াতাড়ি অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা করা সম্ভব। মাছ চাষ করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। মাছ চাষ করে হাজার হাজার পরিবার জীবিকা নির্বাহ করছেন। অনেকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাছ চাষ করছেন। আবার মাছ চাষে প্রতিবছর ৫ লক্ষ টাকা খরচ করলে আপনি ৮ লক্ষ টাকার মাছ বিক্রি করতে পারবেন আশা করা যায়। সুতরাং গ্রামের লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া এর মধ্যে মাছ চাষ ও বিশেষ ভূমিকা রাখে।
চাল বিক্রি
ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য। কেননা আমাদের প্রতিদিনের মেনুতে ভাত থাকবেই। তাই চাল বিক্রির ব্যবসা টা লাভজনকও হতে পারে। আপনি যদি ব্যবসা সম্পর্কে বুঝেন তবে আপনার বেশি সময় লাগবে না এই ব্যবসায় সফল হতে। বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। গ্রামের যতো কৃষক আছে সবাই ধান চাষ করে ফসল ফলায়। তারা ধান উৎপাদনের পর ধান পাইকারি তে বিক্রি করে দেয় । আর যারা পাইকারিতে ধান কিনে তারা মূলত চালের ব্যবসার জন্য কিনে থাকে। তারা ধান কে চালে রুপান্তর করে বাজারে পাইকারিতে কিংবা খুচরা বিক্রি করে থাকে। এবং এতেও লাভবান হয়ে থাকে। আপনি যদি জমি চাষ করতে না পারেন তবে এই ব্যবসাটি আপনার জন্য। কেননা এই ব্যবসা করতে হলে আপনাকে মাঠে কাজ করা লাগবে না।
সরিষা বিক্রি
খরচ কম ও লাভজনক হওয়ায় দেশে সরিষা চাষ বেড়েছে। এইবার মৌসুমে অনেক বেশি ফলন হয়েছে। কম খরচ এবং লাভজনক হওয়ায় শরিষা চাষে কৃষকরা আগ্রহী হচ্ছেন। তাই আপনি যদি চান তবে আপনার নিজের জমিতে সরিষা চাষ করতে পারেন এতে বেশি লাভ আসবে আপনার। আর নিজের জমি যদি না থাকে তবে অন্যের জমি ঠিকা হিসেবে নিতে পারেন শরিষা চাষ সময় অবদি কিনবা ৫ বছরের জন্যও আপনি জমি ঠিকা নিতে পারবেন। শরিষা চাষ করে অনেক লাভবান হওয়া যায়। তাই কম খরচে ব্যবসা শুরু করতে চাইলে আপনি শরিষা চাষের ব্যবসা টি করতে পারেন।
টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা
যারা ব্যবসা শুরু করবেন বলে ভাবছেন তাদের জন্য টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসাটি অনেক ভালো হবে। এই ব্যবসার মাধ্যমে আপনি অনায়াসে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যদি আপনি ছোট ব্যাবসা দিয়ে শুরু করতে চান তবুও এই ব্যবসাটি আপনার অনেক কাজে দিবে কেননা এই ব্যবসার জন্য বেষি পুঁজি লাগে না। টি শার্ট প্রিন্টিং আপনি খুব সহজেই এবং আনন্দের সাথে এই কাজটি করতে পারবেন । প্রথমে টি শার্ট প্রিন্টিং মেশিন কে চালু করতে হবে। এর পর এই মেশিনের তাপমাত্রা সেট করতে হবে। তারপর সাবলিমেশন প্রিন্টিং পেপারের উপর ছাপানো ডিজাইন টি শার্ট এর উপর রাখতে হবে।
ফাস্ট ফুড এর দোকান
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মানুষের রুচিতেও এসেছে পরিবর্তন। ছোট - বড় সবাই ফাস্ট ফুড খেতেই পছন্দ করে । দিন দিন বার্গার, পিৎজা , ফ্রেন্স ফ্রাই ইত্যাদির চাহিদা বাড়ছে এবং এই সব ফাস্ট ফুড এর দোকান ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফাস্ট ফুড এর ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসা । খুচরা ব্যবসার মধ্যে এই ব্যবসায় বেষি লাভবান হন বিক্রেতা রা। পরিচলন খরচ বাদে ১০০ টাকার ফাস্ট ফুড বিক্রি করলে বিক্রেতার একজন ক্রেতার থী ৬৬ টাকা লাভ হয় । অর্থাৎ ৩৪ টাকার উপকরণ দিয়ে তৈরি খাবার ১০০ টাকা দিয়ে বিক্রি করে। তাই ব্যবসা টি অনেক লাভের একটি ব্যবসা আপনি চাইলে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
ফটোকপির দোকান
এই ব্যবসায় কোন খরচ নাই বললেই চলে , তবে শুরুতে কিছু বিনিয়োগ করতে হবে এবং নিজস্ব একটি কম্পিউটার থাকলে তো আর কোন কথাই নাই। একটি প্রিন্টার এবং একটি ফটোকপির মেশিন থাকলে আপনি ফটোকপির দোকান দিয়ে অনেক টা সফলতা আবেন। তবে মনে রাখবেন ফটোকপির মেশিন যেন পুরাতন না হয়। কারণ এর কোন গ্যারান্টি নাই। তাই সব কিছু নতুন নিয়েই কাজ করা ভালো। আর একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো দোকানটি অবশ্যই স্কুল কিংবা কলেজের সামনে দিবেন, কেননা এই সব কাজ এক মাত্র ছাত্র ছাত্রীদের বেশি প্রয়োজন হয়।
আচার বানানোর ব্যবসা
আচারের ব্যবসা করেও অনেক টাকা আয় করা যায়। আপনারা হয়তো ভাবছেন আচার তৈরি করে আবার কেমন করে আয় করা যায়। তবে এই ব্যাপারটা অবিস্যাসের কিছু নাই । আপনি অল্প টাকা দিয়েই আচারের ব্যবসা টা বা আচারের কম্পানি তৈরি করতে পারবেন। আচার ব্যবসার ক্ষেত্রে অন্যান্য কম্পানির থেকে দাম কম রাখতে হবে এবং আচারের মান ভালো রাখতে হবে। আপনি যদি চান আপনার ব্যবসা টা ছোট করে করবেন তবে কোন মেশিনের প্রয়োজন নেই। আর যদি চান আপনার ব্যবসাটিকে বড় করবেন তবে আপনার কিছু মেশিনের প্রয়োজন পরবে। আর ঘরে বসে আচারের ব্যবসা করতে চাইলে আপনি বাসায় আচার তৈরি করবেন এবং ছোট ছোট কন্টেনার পাওয়া যায় অই গুলা তে ভর্তি করবেন মেপে মেপে। এরপর কন্টিনার গুলোতে স্টিকার লাগাতে হবে। এর পর আচার সম্পূর্ণ রুপে তৈরি হয়ে গেলে আপনি নিজে দকানে গিয়ে সেল্ল দিয়ে আপনার ছোট বিজনেসকে বড় করে তুলতে পারবেন।
বই এর দোকান
একজন আদর্শ মানুষ হতে গেলে অবশ্যই সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে আপনাকে। আর নিজেকে আদর্শ মানুষরূপে গড়তে অবশ্যই বই পড়া লাগবে। আপনি যদি বই এর দোকান দিতে চান তবে অবশ্যই এটা খেইয়াল করে দোকান দিবেন যেন আশেপাশে স্কুল বা কলেজ যেন থাকে। কারণ বই সাধারণত ছাত্র-ছাত্রীরাই বেশি কিনে সে ক্ষেত্রে স্কুল কিংবা কলেজের সামনে বই পেয়ে গেলে তো কোন কথায় নাই। সেখানে আপনারও লাভ হবে এবং ছাত্র- ছাত্রী দেরও ভালো হবে।
চা-শিংঙ্গাড়ার দোকান
চা-শিংঙ্গাড়ার দোকান দিয়েও কিন্তু ভালো ইনকাম করা যায়। কেননা এতে তেমন বেশি খরচ হয় না এবং লাভ হয় ভালো। চা তো কম বেশি সবাই খেতে পছন্দ করে। চা-শিংঙ্গাড়ার দোকানে চা-শিংঙ্গাড়া তখনই বিক্রি হবে যখন আপনি ভালো ভাবে চা-শিংঙ্গাড়া বানাবেন। আপনি যদি ক্রেতাদের মন জয় করতে পারেন তবে এই ছোট ব্যবসা টা কেও বড় করা সম্ভব । তাই যে কাজই করেন না কেন তা মনের মাধুর্য মিশিয়ে করতে হবে।
পানি সাপ্লাই ব্যবসা
পানি সাপ্লাই ব্যবসা এর জন্য যেটা লাগবে সেটি হলো মিনারেল ড্রিংকিং ওয়াটার মেশিন । এই মেশিন টি কাজ করে প্রথমে একটি ট্রাংকি হতে পানি সেন্ট্রিফিউগাল পাম্পে চলে আসে এরপর আয়রন রিমোভাল মিডিয়া তে আসে। আয়রন রিমোভাল মিডিয়া এর কাজ হলো পানি কে বিশুদ্ধ করা। এরপর পানি অ্যাক্টিভিটেড কার্বন ভ্যাসেলে চলে আসে যার মাধ্যমে পানির দূর্গন্ধ এবং খারাপ টেস্ট এবং খারাপ কালার দূর করা যায়। এরপর পানি সফটেনার ভ্যাসেলে চলে যায় এবং এর কাজ হলো পানিতে কোন প্রকার খরতা থাকলে তা দূর করে দেয়। এরপর পানি রিভার্স অসমসিস মেশিনে চলে আসে যেটা হলো পানি বিশুদ্ধ করার জন্য আসল কাজ । রিভার্স অসমসিস মেশিন পানিকে মিনারেল করে থাকে। এর পর পানি পাইপের মধ্য দিয়ে চলে যাচ্ছে আল্ট্রা ভায়োলেট সিস্টেমে। এইভাবে বিভিন্ন ধাপে ধাপে পানি কে বিশুদ্ধ করে আপনি পানি সাপ্লাই এর ব্যবসা করতে পারেন।
মেডিকেল স্টোর
মেডিকেল স্টোর বা ফার্মেসির ব্যবসা মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে। যেমন- পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা। দুই ধরনের ব্যবসাতেই কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয় এবং নিতে হয় লাইসেন্স। খুচরা ব্যবসার ক্ষেত্রে একক ঔষুধের দোকান আমাদের দেশে সব থেকে বেশি জনপ্রিয়। এই ধরনের ব্যবসায় সাধারণত পার্টনারশীপ হয়ে থাকে। ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করার আগে ফার্মেসি লাইসেন্স নেওয়া বাদ্ধতামূলক।
পরিবহনের ব্যবসা
বাসা থেকে বের হওয়ার পর কোথাও যাওয়ার জন্য প্রথমে আমদের পরিবহনের দরকার পড়ে। কারণ অল্প দূরত্ব হেটে যাওয়া সম্ভব হলেও অনেক দূরের রাস্তা হেটে যাওয়া সম্ভব হয়ে উঠে না এই জনয আমাদের যানবাহনের উপর নির্ভর করতে হয়। আর সব স্ময় ট্রেনে সব জায়গা যাওয়া যায় না তাই আমরা দুই চাকার গাড়ীর উপর বেশি নির্ভর থাকি। গ্রামে কিংবা শহরে আমাদের ভ্রমনের জন্য পরিবহন অপরিহার্য। তাই এই ব্যবসায় লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা আছে,কারণ প্রতিনিয়োত মাউষ তার প্রয়োজনে বাইরে যায় । এই ব্যবসা করার জন্য নিজের একটি গাড়ি থাকলে বেশি ভালো হয়। আর যদি না থাকে তাহলেও সমস্যা নাই অন্যের গাড়ি ভাড়া নিয়ে চালাতে পারবেন।
পেঁপে চাষ করা
পলিথিন ব্যাগে চারা তৈরি করলে গাছ রোপণের পর গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। যে কোন সাইজের পলাথিনের ব্যাগে সমান পরিমাণ বালি,মাটি এবং গোবর নিয়ে পলাথিনের নিজের দিকে কয়েকটা ফুটো করে দেন তারপর পেঁপের বিজ রোপণ করেন। পেঁপের বিজ যদি সদ্য তুলা হয় তবে রোদ্রজ্জ্বল, আলোবাতাস পাবে এমন উর্বর জমি বীজতলার জন্য বেছে নিন ।
কোয়েল পাখির ব্যবসা
সর্বপ্রথম জাপানীরা কোয়েল পাখিকে ঘরোয়া পাখি হিসেবে পালন করা শুরু করেছিলেন। জাপানে এখনো এই পাখির ব্যাপক হারে খামার রয়েছে। বর্তমানে মানুষ মাংস ও ডিম উৎপাদনের জন্য কয়েল পাখি কেই বেছে নিচ্ছে। কারণ কোয়েল পাখি পালন করা খুব সহজ একটি কৌশল। প্রায় সব ধরনের আবহাওয়ায় কয়েল পাখি উৎপাদন করার উপযুক্ত। কোয়েল পাখির মাংস পুষ্টিকর কারণ এটি অনেক পরিমাণে প্রটিন, ফসফরাস, ভিটামিন এ, আয়রন, B1 এবং B2 ধারণ করে।
গ্রামের লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া এর শেষকথা
আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি গ্রামের লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন। আসলে গ্রামে অনেক রকম ব্যবসা করা যায়। শুধু আপনাকে ঠিক করে নিতে হবে আপনি কোন ব্যবসা টি করবেন এবং সেই ব্যবসা করার জন্য নিজেকে তৈরি করবেন । তবে দেখবেন আপনি সফলতার দেখা পেয়ে যাবেন।
অর্ডিনারি সিসি’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url