বাচ্চাদের কান্না থামানোর দোয়া-শিশুর কান্না থামানোর দোয়া

বাচ্চাদের কান্না থামানোর দোয়া-শিশুর কান্না থামানোর দোয়া,আমরা অনেক সময় দেখি যে অনেক বাচ্চা রা রাতে অনেক কান্না করে।রাতের পর রাত কান্না করে থামতেই চায়না। এমনও অনেক বাচ্চা আছে সব সময় কান্না করে শান্ত থাকে না। সারাক্ষণ বাচ্চা কান্না করলে মা,বাবা বা পরিবারের সবাই অশান্তিতে থাকে। অনেকে আবার অনেক ডাক্তার, কবিরাজ দেখায় কিন্তু কোন কাজ হয় না। তখন দেখা যায় যে,পরিবারের সবাই খুব চিন্তিত হয়ে পড়ে। সেই চিন্তা মুক্ত করার জন্যই আজকের আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে।


বাচ্চাদের কান্না থামানোর দোয়া-শিশুর কান্না থামানোর দোয়া নিয়েই আজকের আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে।আজকের আর্টিকেল টি মনোযোগসহ পড়লে সেই অনুযায়ী মেনে চললেই,আল্লাহর রহমতে অনেকটা সুফল পাবেন ইনশাআল্লাহ।

সূচিপত্রঃবাচ্চাদের কান্না থামানোর দোয়া-শিশুর কান্না থামানোর দোয়া 

রাতে বাচ্চা কান্না করলে কোন সূরা পড়তে হয়

বাচ্চাদের কান্না থামানোর দোয়া-শিশুর কান্না থামানোর দোয়া,বাচ্চারা কান্না করবে এটি স্বাভাবিক। কিন্তু যখন দেখা যায় যে, সেই কান্না মাত্রা অতিক্রম করছে। তখন সেটা চিন্তার বিষয় হয়ে যায়। অনেক বাচ্চা আছে যারা সারাদিন ভালো থাকে কিন্তু রাত এলেই কান্না করে।রাতে যেসব বাচ্চারা কান্না করে, সেই সকল বাচ্চারা বেশিরভাগ সময় অসুস্থ থাকে। তাই মা,বাবা বা পরিবারের সবাই চায় বাড়ির বাচ্চা বা ছোট শিশুরা যাতে এভাবে অনিয়মিত যেনো কান্না না করে। বাচ্চার এই অনিয়মিত কান্না বন্ধ করার জন্য মা,বাবা অনেক কিছু করে থাকেন। অনেক ডাক্তার,কবিরাজ এর কাছে বাচ্চা কে নিয়ে।

তবে ইসলামিক নিয়ম অনুসারে এমন কিছু আমল আছে যা মেনে চললে এই ধরণের সমস্যা হতে মুক্তি পাওয়া যায়।জরুরি ভিক্তিতে যদি বাচ্চার কান্না থামাতে চান তাহলে কুরআন থেকে সর্বপ্রথম দরুদে ইব্রাহীম তিনবার পড়তে হবে, তারপর সুরা আল-ইমরানের ১৮ নাম্বার আয়াত পাঠ করতে হবে। এতে করে আল্লাহর রহমতে বাচ্চার কান্না থেমে যাবে। মন থেকে আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রেখে এই আমল টা সঠিক নিয়মে পাঠ করলে বাচ্চার এই অনিয়মিত কান্না থেমে যাবে ইনশাআল্লাহ।

বাচ্চাদের শরীর বন্ধের দোয়া

বাচ্চাদের কান্না থামানোর দোয়া-শিশুর কান্না থামানোর দোয়া,অনেক সময় বাচ্চাদের ওপর বদ নজর পড়ে, এতে বাচ্চাদের শরীর খারাপ করে। বাচ্চা যদি একটু সুন্দর হয় তাহলে অনেকেই সেই বাচ্চার ওপর বদ নজর দেয়। এতে করে বাচ্চার শরীর খারাপ হয়ে যায়। অসুস্থ হয়ে যায়। এই ধরণের বদ নজর থেকে বাচ্চাদের হেফাজতে রাখার দোয়া রয়েছে। যে দোয়া বাচ্চাদের বদ নজর থেকে রক্ষা করে। হযরত মুহাম্মাদ(সাঃ) নিজের প্রাণপ্রিয় দুই নাতি হযরত হাসান ও হোসাইন এর নিরাপত্তার জন্য এই দোয়া করেছিলেন। এই দোয়াটি হতে পারে সকল শিশু-বাচ্চাদের নিরাপত্তার অন্যতম মাধ্যম। দোয়াটি হলো-

"উয়িজুকুমা বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন কুল্লি শাইত্বনিওঁ ওয়া হাম্মাতিন,ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লাম্মাতিন"।
অর্থঃ'আমি তোমাদের উভয়ের উদ্দেশ্যে আল্লাহ পাকের পরিপূর্ণ কল্যাণময় কালামের মাধ্যমে প্রতিটি শয়তান,জীবনাশক বিষ ও অনিষ্টকারী কুদৃষ্টি(বদনজর)থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।'

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ(সাঃ) তার প্রাণপ্রিয় নাতীদের বদ নজর থেকে প্রার্থনার জন্য এই দোয়াটি আমল করতেন। সুতরাং সকলেরই উচিত এই দোয়াটি আমল করা। ছোট্ট এই দোয়াটির ফজিলত অনেক বেশি। তাই আপনাদের ছোট্ট সোনামণিদের নিরাপত্তার জন্য এই ছোট্ট দোয়াটি আমল করবেন। তাহলে বাচ্চাদের যাবতীয় বদ নজর থেকে নিরাপত্তায় রাখা যাবে।

বাচ্চাদের ঘুমানোর দোয়া

বাচ্চাদের কান্না থামানোর দোয়া-শিশুর কান্না থামানোর দোয়া,অনেক সময় বাচ্চারা ঘুমাতে চায় না।অযথা বিরক্ত করতে থাকে।ঘুমানোর সময় হলেও ঘুমাতে চায় না। বাচ্চারা ঘুম পছন্দ করে। খেলাধুলা ছাড়া বাকি সময় ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়। কিন্তু যদি কোনো কারণে বাচ্চার চোখ থেকে ঘুম উঠে যায় তাহলে সেই বাচ্চার মা,বাবা খুবই চিন্তা বা সমস্যার মধ্যে পড়ে যায়।তখন বাচ্চা মা, বাবা অনেক ভাবে চেষ্টা করে যাতে বাচ্চার চোখে ঘুম ফিরে আসে। এই জন্য অনেক মা,বাবা বড় হুজুরের এর কাছে যায় এবং ঝাড়াফুক দিয়ে বাচ্চার চোখের ঘুম ফেরানোর চেষ্টা করতে থাকেন। আপনার আশেপাশে যদি কোনো বড় হুজুর না থাকে।

তাহলে মসজিদের ঈমামের কাছে যেতে পারেন।তবে সবচেয়ে ভালো হবে যে বাচ্চার ঘুমের সমস্যা হবে,সেই বাচ্চার মা, বাবা যদি কিছু আমল বা দোয়া পড়ে বাচ্চা শরীরে ফু দিয়ে দেয় তাহলে সেই বাচ্চা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। মা,বাবার দোয়া সন্তানের জন্য তাড়াতাড়ি কাজে লাগে। আমদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)যখন বিভিন্ন বিষয়ে চিন্তিত থাকতেন, তখন চোখে ঘুম আসতো না।তখন হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) দোয়া পড়ে নিজেকে শান্ত করে ঘুমিয়ে পড়তেন। তাই যে সকল বাচ্চাদের ঘুমের সমস্যা সেই সকল বাচ্চার মা,বাবা এই দোয়া পড়ে বাচ্চার শরীরে ফুক দিয়ে দিলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।দোয়াটি হলোঃ

উচ্চারণঃআউ'জু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিং কুল্লি শাইত্ব-নিওঁ ওয়া হা-ম্মাহ-ওয়া মিং কুল্লি আ'ইনিল লা-ম্মাহ'।
অর্থঃ প্রত্যেক শয়তান হতে আল্লাহর পূর্ণ কালেমা দ্বারা তোমাদের দুজনের দ্বারা পরিত্রাণ চাচ্ছি। আর পরিত্রাণ চাচ্ছি প্রত্যেক বিষাক্ত কীট হতে এবং প্রত্যেক ক্ষতিকর চক্ষু হতে (বুখারি,মিশকাত)।

এই দোয়াটি পড়ে বাচ্চার মা, বাবা যদি বাচ্চার শরীরের ওপড় ফু দিয়ে দেয় তাহলে বাচ্চার ঘুম ভালো হবে। আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রেখে এই ধরনের দোয়া পড়লে অবশ্যই ফলাফল ভালো হবে।

ঘুমের মধ্যে বাচ্চার কান্না

অনেক সময় দেখা যায় যে, ঘুমের মধ্যে বাচ্চা কেদে উঠে।এই ঘটনাটি প্রায় শিশুর ক্ষেত্রেই দেখা যায়।এটা খুবই খারাপ একটা লক্ষণ। এতে করে বাচ্চার অনেক ধরনের ক্ষতি হতে পারে। অনেক সময় স্বপ্নে বাচ্চারা ঘুমের মধ্যে কান্না করে উঠে। আবার নাইট টেরর সমস্যার কারণেও এমন হতে পারে। নাইট টেরর হলো এক ধরণের ঘুম জনিত সমস্যা।

এ সমস্যায় ভোগা শিশুরা আচমকা রাতেরবেলা বা ঘুমের মধ্যে চিৎকার করে উঠে। এ সময় শিশুকে ঘুম থেকে জাগানোর চেষ্টা করবেন না। এ সময় শিশুকে শান্ত করার চেষ্টা করে কোনো লাভ নাই। কারণ কোনো কিছু করে লাভ হয় না। এ সময় যতই বাচ্চাকে শান্ত করার চেষ্টা করা হয় ততই সে আতংকিত হয়ে উত্তেজিত হয়ে উঠবে। এ সময় শিশুর সাথে শান্ত স্বরে কথা বলতে হবে। শান্ত স্বাভাবিক আচরণ করতে হবে সেই সময়।শিশু যাতে আঘাত না পায় সেইদিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং সেই সময়টা পার হয়ে যাওয়ার অপেক্ষা করতে হবে।

বাচ্চাদের শান্ত করার দোয়া

অনেক বাচ্চারা আছে অনেক জেদি টাইপের হয়ে থাকে। কোনো কিছুতেই তাকে শান্ত করা যায় না।আপনার বাচ্চা কোনো কিছু চাইলে তাকে সেই জিনিসটা দেওয়া উচিত।সব বিষয়ে না বলা উচিত নয়। না, শব্দটা বাচ্চাদের জেদ আরও বাড়িয়ে দেয়। বাচ্চাদের শান্ত করার জন্য পবিত্র কুরাআনে কিছু দোয়া রয়েছে। যেগুলো পাঠ করলে জেদি বাচ্চাও শান্ত হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। শিশুর জেদ দূর করার দোয়াটি হলোঃ
উচ্চারণঃআফাগাইরা দ্বি-নিল্লাহি ইয়াবগুন,ওয়ালাহু আসলামা মান ফিস-সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্ব,তাউআং ওয়া কারহাং;ওয়া ইলাইহি ইয়ুরজাঊন।
অর্থঃতারা কি আল্লাহর দেয়া জীবন ব্যবস্থার পরিবর্তে অন্য জীবন ব্যবস্থা তালাশ করছে? নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে -স্বেচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক তার অনুগত হবে। সবাই তার কাছে ফিরে যাবে।(সুরা-আল-ইমরান,আয়াত-৮৩)

এই দোয়াটি বাচ্চাদের শান্ত রাখার দোয়া।এই দোয়াটি নিয়মিত পাঠ করলে বাচ্চা শান্ত স্বভাবের হয়ে যাবে।

শেষ কথা: বাচ্চাদের কান্না থামানোর দোয়া-শিশুর কান্না থামানোর দোয়া 

বাচ্চাদের কান্না থামানোর দোয়া-শিশুর কান্না থামানোর দোয়া নিয়ে লেখা এই আর্টিকেল থেকে অনেক কিছু জানার আছে। বাচ্চাদের কান্না থামানোর দোয়া-শিশুর কান্না থামানোর দোয়া এই আর্টিকেল টি ছোট শিশু যাদের বাড়িতে আছে তাদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। অনেক কিছু জানার বা বোঝার আছে এই বাচ্চাদের কান্না থামানোর দোয়া-শিশুর কান্না থামানোর দোয়া এই আর্টিকেলে। সুস্থ বাচ্চা মা,বাবার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত। তবে জন্ম নেওয়ার পরে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে এই ধরনের সমস্যাগুলো বেশি হয়। ছোট বাচ্চাদের যেগুলো সমস্যা হতে পারে বা হয়ে থাকে। সব বিষয়গুলো নিয়ে বাচ্চাদের কান্না থামানোর দোয়া-শিশুর কান্না থামানোর দোয়া এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি সিসি’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url