সংখ্যা কাকে বলে - সংখ্যা কত প্রকার ও কী কী?

সভ্যতার শুরুলগ্ন থেকেই গণনার ধারণা টের পায় বা গণনার প্রয়োজন উপলদ্ধি করে। বর্তমান গণিতের সৃষ্টি  গণনা থেকে। আর এই গণনা ধারনা থেকেই সংখ্যার প্রয়োজন অনুধাবন করা হয় । যদিও গণনার অনেক সময়ের ব্যবধানে সংখ্যার সৃষ্টি হয়েছে। প্রাচীন প্রস্তার যুগে মানুষ যখন গুহায় বসবাস করত তখন দুই-এক সংখ্যা প্রচলন ছিল বলে ধারণা করা হয় । তবে দ্রব্য বিনিময় যুগে লেনদেনের জন্য সংখ্যার ব্যবহার জানা অপরিহার্য ছিল। শিল্পের প্রসার ঘটার সাথে সাথে অনেক নতুন কিছুর নমুনা বর্তমানে আবিষ্কার হয়েছে। তবে অনেকের ধারণা েএই সময়ে ভাষার কিছু পরিবর্তন ঘটে। কিন্তু ভাষার যতটা বিকাশ হয়েছে তারচেয়ে সংখ্যার ধারণা অনেকটাই অস্পষ্ট ছিল এবং বিভিন্ন বস্তুর সাথে সংশিষ্ট রেখে সংখ্যার ব্যবহার করত। যেমন: এক হাড়ি মাছ, এক জোড়া হাত, অনেক গুলো গাছ, সাতটি তারা ইত্যাদি এমন সব নামে সংখ্যার ব্যবহার করত। এরপরে মানুষ তাদের প্রয়োজনে সময়ের বিবর্তনে সংখ্যার প্রচলন শুরু হয় । আজকে আমা এই পোস্টের মাধ্যেমে সংখ্যা কাকে বলে - সংখ্যা কত প্রকার ও কী কী? তা জানব। বর্তমানে সংখ্যা তৈরী হয় অঙ্কের মাধ্যেমে । অঙ্ক বলতে  বেশ কিছু ডিজিটকে বোঝানো হয় । এছাড়াও সংখ্যাকে চিহ্নের মাধ্যেমে প্রকাশ করাও হয়। 

সূচীপত্র: সংখ্যা কাকে বলে - সংখ্যা কত প্রকার ও কী কী?

সংখ্যা কাকে বলে

মানুষ প্রথমে পরিমাপক যন্ত্র হিসাবে আবিষ্কার করে সংখ্যাকে। সংখ্যা হলো পরিমাপের ভাবমূলক ধারণা। সংখ্যা প্রকাশ করার জন্য অঙ্কের ব্যবহার হয়। দশটি অঙ্ক সহ আরো কতগুলো চিহ্নের (দশমিক বিন্দু, বর্গমূল) মাধ্যমে যা তৈরী হয় তাকে সংখ্যা বলে। উদাহরণ: ২০, ২৩.৩৪,-২ ইত্যাদি সকই সংখ্যা। তাহলে আমরা এখান থেকে সংখ্যা কাকে বলে জানলাম। এরপরে আমরা সংখ্যা কত প্রকার ও কী কী? তা জানব। 

সংখ্যা কত প্রকার ও কী কী?

এখন আমরা জানব সংখ্যা কত প্রকার ও কী কী? । সংখ্যাকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথা:
  • বাস্তব সংখ্যা 
  • অবাস্তব সংখ্যা
বাস্তব সংখ্যাকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
  • মূলদ সংখ্যা
  • অমূলদ সংখ্যা 
মূলদ সংখ্যাকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
  • পূর্ণসংখ্যা
  • ভগ্নাংশ সংখ্যা
পূর্ণসংখ্যাকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যথা:
  • ধনাত্মক পূর্ণসংখ্যা বা স্বাভাবিক সংখ্যা
  • ঋণাত্মক  পূর্ণসংখ্যা 
  • শূন্য 
ভগ্নাংশ সংখ্যা আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয় । যথা :
  • সাধারণ ভগ্নাংশ সংখ্যা
  • দশমিক ভগ্নাংশ সংখ্যা 
সাধারণ ভগ্নাংশ সংখ্যাকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয় । যথা :
  • প্রকৃত ভগ্নাংশ সংখ্যা
  • অপ্রকৃত ভগ্নাংশ সংখ্যা
দশমিক ভগ্নাংশ সংখ্যাকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা হয় । যথা :
  • সসৗম ভগ্নাংশ সংখ্যা
  • অসৗম ভগ্নাংশ সংখ্যা
  • আবৃত্ত ভগ্নাংশ সংখ্যা
ধনাত্মক পূর্ণসংখ্যা বা স্বাভাবিক সংখ্যাকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা হয় । যথা:
  • এক (01)
  • মৌলিক সংখ্যা 
  • যৌগিক সংখ্যা  

সংখ্যা লিখার সিস্টেম

সংখ্যা লেখার জন্য দুইটা সিস্টেম ব্যবহার করা হয় । যথা 
  • দশমিক সিস্টেম 
  • আন্তজাতিক আবস্থা 

সংখ্যার ধরন উদাহরণসহ

সংখ্যা ১২ ধরনের হয়ে থাকে। নিম্নে উদাহরণসহ দেওয়া হলো:
  1. বাস্তর সংখ্যা- 5, 7, 5/7
  2. অবাস্তব সংখ্যা- -5, -7, -10
  3.  ‍মূলদ সংখ্যা- 4, 3/4, 2 
  4. অমূলদ সংখ্যা- 5, 7, 11
  5. মৌলিক সংখ্যা- 1, 3, 5,
  6. যোগিক সংখ্যা- 4, 6, 8
  7. সহমৌলিক সংখ্যা- (2,3), (5,7)
  8. পূর্ণ সংখ্যা-  0, 1, 2
  9. প্রভূতি পূর্ণসংখ্যা- -2,-1, 0, 1 , 2
  10. জোড় সংখ্যা- 8, 10, 12
  11. বিজোড় সংখ্যা- 9, 13, 15
  12. স্বাভাবিক সংখ্যা- 1, 2 ,3 

সংখ্যা প্রতীক সমূহ

  • সংখ্যা প্রতীক ১০টি। যথা: 0,1,2,3,4,5,6,7,8,9
  • বন্ধনী প্রতীক তিনটি। যথা: (), {},  []
  • সর্ম্পক প্রতীক ছয়টি। যথা: =, <, >, ≥ 

সংখ্যা কাকে বলে - সংখ্যা কত প্রকার ও কী কী? এর শেষ কথা

উপরক্ত আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম সংখ্যা কাকে বলে - সংখ্যা কত প্রকার ও কী কী? সর্ম্পকে। আসলে সংখা প্রচলন আমাদের মানুষের প্রয়োজনে আবিষ্কার হয়েছে। তবে সংখ্যা না আসলে আমাদের অনেক  সমস্যা সৃষ্টি হত। কারণ যখন কোনো গণনা ছিল না বা সংখ্যা সর্ম্পকে কেও বুঝত না তখন বিভিন্ন বস্তুর মাধ্যমে প্রকাশ করত।সংখ্যা আসার কারণে আমাদের গণনা হিসাব নিকাশ অনেক সহজ হয়ে গেছে। আমরা  পোস্ট পড়ে সংখ্যা কাকে বলে - সংখ্যা কত প্রকার ও কী কী? জানলাম এবং আমাদের জুনিয়র বা সিনিয়র মাঝে এই পোস্টটি শেয়ার করে দিবেন । যাতে উনারা এই সংখ্যা কাকে বলে - সংখ্যা কত প্রকার ও কী কী? বিষয়ে জানতে পারে। ‍

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি সিসি’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url