গুণনীয়ক ও গুণিতক কাকে বলে - গুণনীয়ক ও গুণিতক এর পার্থক্য
চলুন আর দেরি না করে গুণনীয়ক ও গুণিতক কাকে বলে, গুণনীয়ক ও গুণিতক এর পার্থক্য, ভগ্নাংশের গুণনীয়ক ও গুণিতক কাকে বলে, গুণনীয়ক বের করার নিয়ম, গুণনীয়ক বের করার সহজ নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেই।
পেজ সূচিপত্রঃ গুণনীয়ক ও গুণিতক কাকে বলে - গুণনীয়ক ও গুণিতক এর পার্থক্য
গুণনীয়ক ও গুণিতক কাকে বলে?
গুণনীয়কঃ যে সংখ্যাকে অন্য যে কোন সংখ্যা দিয়ে ভাগ করলেও কোন ভাগশেষ থাকে না তাকেই ঐ সংখ্যার গুণ্নীয়ক বলে। গুণনীয়ককে আবার উৎপাদক ও বলা হয়। গুণনীয়কের উদাহরণ হল- ৯ এর গুণনীয়ক ১,৩ ও ৯।
গুণিতকঃ একটা সংখ্যাকে অন্য আরেকটা সংখ্যা দিয়ে গুন করার পর যে গুনফল পাওয়া যায় তাকেই ঐ সংখ্যার গুণিতক বলে। উদাহরণ- ১৫*৪=৬০। গুনিতকের আরেকটি নাম হল নামতা।
গুণনীয়ক ও গুণিতক এর পার্থক্য
গুণনীয়ক ও গুনিতক এর মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-
গুণনীয়কঃ-
- একাধিক সংখ্যার সাধারণ গুণনীয়ক ও উৎপাদকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংখ্যকে সেই সংখ্যার গরিষ্ঠ সাধারণ গুণনীয়ক বলে।
- সাধারণ সংখ্যার গুণ্নীয়কগুলোর থেকে সবচেয়ে বড় সংখ্যাটি গরিষ্ঠ সাধারণ গুণনীয়ক।
- গরিষ্ঠ সাধারণ গুণনীয়ক নির্ণয় করার ২টা পদ্ধতি আছে-
- (ক) যৌগিক উৎপাদক এর মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে,
- (খ) ভাগ পদ্ধতি ব্যবহার করে।
গুণিতকঃ-
- দুই বা ততোধিক সংখ্যার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম বা ছোট যে সংখ্যাটি তাকে সেই সংখ্যার লঘিষ্ঠ সাধারন গুনিতক বলে।
- লঘিষ্ঠ সাধারণ গুনিতককে সংক্ষেপে ল.সা.গু বলে।
- লঘষ্ঠ সাধারণ গুনিতককে ২টি পদ্ধতিতে নির্ণয় করা যায়-
- (ক) প্রত্যেকটি রাশির যৌগিক উৎপাদক বিশ্লেষনের মাধ্যমে।
- (খ) সাধারন উৎপাদক বিশ্লেষনের মাধ্যমে।
মৌলিক গুণনীয়কের সাহায্য ল. সা. গু নির্ণয়
২০, ১২ এবং ১৬ এর ল. সা. গু নির্ণয় করি।
- প্রথমে নিচের চিত্রের মত করে লিখি।
- সংখ্যাগুলোকে সাধারণ মৌলিক গুণনীয়ক দ্বারা ভাগ করি এবং ভাগফল গুলোকে সংখ্যা গুলোর নিচে লিখি। চিত্রে যে ভাবে দেওয়া আছে।
-
- যদি সব গুলো সংখ্যাকে ভাগ করার মত মৌলিক গুণনীয়ক না থাকে তাহলে যে কয়টি সংখ্যা ভাগ করা যাবে তা মৌলিক গুণরীয়ক সংখ্যা দ্বারা ভাগ করি।
- যে সকল সংখ্যাকে ভাগ করা যাবে না সেই সকল সংখ্যাকে নিচে নামিয়ে রাখি।
- ভাগ যাবে না এমন সকল মৌলিক গুণনীয়ক গুলোকে গুণ করি ( ২×২×৫×৩×৪)= ২৪০ ।
- তাহলে ২০, ১২ এবং ১৬ এর ল. সা. ২৪০।
মৌলিক গুণনীয়কের সাহায্য গ. সা. গু নির্ণয়
২০, ১২ এবং ১৬ এর গ. সা. গু নির্ণয় করি।
- প্রথমে নিচের চিত্রের মত করে লিখি।
- সংখ্যাগুলোকে সাধারণ মৌলিক গুণনীয়ক দ্বারা ভাগ করি এবং ভাগফল গুলোকে সংখ্যা গুলোর নিচে লিখি। চিত্রে যে ভাবে দেওয়া আছে।
-
- যদি সব গুলো সংখ্যাকে ভাগ করার মত মৌলিক গুণনীয়ক না থাকে তাহলে যে কয়টি সংখ্যা ভাগ করা যাবে তা মৌলিক গুণরীয়ক সংখ্যা দ্বারা ভাগ করি।
- যে সকল সংখ্যাকে ভাগ করা যাবে না সেই সকল সংখ্যাকে নিচে নামিয়ে রাখি। যেমন: ৫,৩,৪ সংখ্যাগুলোকে ১ বাদে কোনো সংখ্যা দ্বারা একসাথে বিভাজ্য নয় ।
- সাধারণ মৌলিক গুণনীয়ক গুলোকে গুণ করি ( ২×২)= ৪।
- তাহলে ২০, ১২ এবং ১৬ এর গ. সা. ৪।
গুণনীয়ক ও গুণিতক কাকে বলে - গুণনীয়ক ও গুণিতক এর পার্থক্য এর শেষ কথা
উপরক্ত সকল আলোচনা গুণনীয়ক ও গুণিতক কাকে বলে - গুণনীয়ক ও গুণিতক এর পার্থক্য নিয়ে । আমরা যদি গুণরীয়ক এবং গুণিতক সর্ম্পকে ধারণা থাকে তাহলে যে কোনো সংখ্যাকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে আসল রুপ প্রদান করা যায়। তাছাড়া গুণনীয়ক ও গুণিতক এর মাধ্যেমে একত্রে বিভিন্ন সংখ্যা থেকে ল.সাগু ও গ. সা.গু নির্ণয় করতে পারি। আমরা যদি গুণনীয়ক ও গুণিতক কাকে বলে - গুণনীয়ক ও গুণিতক এর পার্থক্য গুলো মনে রাখতে পারি তাহলে যে কোনো একাডেমিক বা চাকরি পরিক্ষায় অনেক প্রশ্নের সমাধান করতে পারব। তাই আমরা গুণনীয়ক ও গুণিতক কাকে বলে - গুণনীয়ক ও গুণিতক এর পার্থক্য গুলো মনে রাখব এবং অপরের মাঝে শেয়ার করে তাদের মনে রাখার ব্যবস্তা করে দিবো ।
অর্ডিনারি সিসি’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url