অঙ্ক কাকে বলে- অঙ্ক কত প্রকার ও কি কি?

আমাদের মনের মাঝে অনেক প্রশ্ন উকি মারে । যেমন গণিত কি, গণিত কাকে বলে? গণিতে মানুষ ভয় পায় কেন? অঙ্ক কি, অঙ্ক কাকে বলে- অঙ্ক কত প্রকার ও কি কি? ইত্যাদি । আজকে আমরা এমনি একটি প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আলোচনা করব। আজকে আমরা আলোচনা করব অঙ্ক কাকে বলে- অঙ্ক কত প্রকার ও কি কি? অনেকের মাথায় হুট করে প্রশ্ন আসে আমরা যে সব অঙ্ক করি তা কি বা অঙ্কই বা কাকে বলে ।আমরা মেইন টপিকে যাওয়ার আগে আমাদের সাথে প্রতিনিয়ত অঙ্কের ব্যবহার বা আমাদের সাথে সব সময় অঙ্ক জড়িয়ে আছে সেটা দেখি । আমরা প্রতিনিয়ত বাজার করি বা লেনদেন করি। আমা যখন বাজারে যাই তখন জিগেস করি আলু কত টাকা কেজি বা পটল কত টাকা কেজি তখন আমাদের কাছে উত্তর আসে আলু  ১০ টাকা , পটল ২০ টাকা কেজি ইত্যাদি। এই যে এখানে দশ টাকা, বিশ টাকা কোথায় থেকে এলো বা আমরা কিভাবেই বা বুঝতে পারছি এটাই দশ টাকা বা বিশ টাকা । আসলেই এখানে যে ১০ বা ২০ সংখ্যার ব্যবহার হয়েছে এইসবকেই অঙ্ক বলা হয় । আমরা আরো বিস্তরিত জানব এই পোস্টের মাধ্যেমে অঙ্ক কাকে বলে- অঙ্ক কত প্রকার ও কি কি?

সূচীপত্র: অঙ্ক কাকে বলে- অঙ্ক কত প্রকার ও কি কি?

অঙ্ক কাকে বলে

কোনো সংখ্যাকে প্রকাশ করার জন্য যে সকল চিহ্ন ব্যবহার করা হয় তাকে অঙ্ক বলে। কোনো সংখ্যা প্রকাশ করার জন্য এই অঙ্ক ০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯ গুলো ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ মোট অঙ্ক ১০টি। যে কোনো সংখ্যা তৈরী হয় অঙ্ক দিয়ে । কোনো সংখ্যা যত ছোট বা বড় হক তা অঙ্কের মাধ্যেমে তৈরী হয়ে থাকে। আমরা যদি উদাহরণ দিয়ে যদি বোঝার টেষ্টা করি । যেমন:২৩৪৫ এখানে এটি একটি সংখ্যা এবং এই সংখ্যার মধ্যে চারটি অঙ্ক রয়েছে। চারটি অঙ্ক হলো ২,৩,৪,৫। তাহলে আমরা নিশ্চয় বুঝে গেছে অঙ্ক কাকে বলে । 

এই ১০টি অঙ্ককে দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি বলা হয় কারণ দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি বুঝানোর জন্য এই ১০ টি অঙ্ক ব্যবহার হয় । উপরক্ত আলোচনা থেকে আমরা বলতে পারি প্রত্যেক অঙ্ক একটি একটি সংখ্যা কিন্তু প্রত্যেক সংখ্যা সব সময়ের জন্য অঙ্ক বলা যাবে না। এই পোস্টের মাধ্যেমে আরো বিস্তারত অঙ্ক কাকে বলে- অঙ্ক কত প্রকার ও কি কি? জানতে পারব। 

অঙ্কের ইংরেজী 

অঙ্ককে ইংরেজীতে অনেক ভাবেই বলা হয় । তবে অঙ্ক দিয়ে সংখ্যা তৈরী করার সময় অঙ্ককে ডিজিট বলে হয়। ডিজিট বলেই পরিচিত । অঙ্ককে ইংরেজীতে Noun  বলা হয় । আর অঙ্কের ইংরেজী Mark, Number, Sum, Mathematic, figure, digit, act ইত্যাদি ব্যবহার করতি পারি আমরা। 

অঙ্কের আবিষ্কারক কে

আমাদের অনেক মনে এই প্রশ্ন আসে অঙ্কের জনক কে বা কাকে অঙ্কের জনক বলা হয় । আসলে অঙ্কের কোনো জনক নাই কারণ যে সকল উদ্ভাবন করা হয় সেগুলোর জনক হয় । অঙ্ক ত কেবল নিজেদের প্রয়োজনে আবিষ্কার করা হয়েছে। তাই অঙ্কের আবিষ্কারক রয়েছে। অঙ্কের আবিষ্কারক হলো আর্কিমিডিস । তিনি গ্রীস অধিবাসী। অন্য দিকে আবার ভারতে অঙ্কের আবিষ্কারক বলা হয় আর্যভট্ট কে। আসলে এই অঙ্ক মানুষের সুবিধায় আবিষ্কার। যাই হোক অঙ্ক কাকে বলে- অঙ্ক কত প্রকার ও কি কি? এই পোস্টের মাধ্যেমে অঙ্কের আবিষ্কারক কে তা জানলাম। 

অঙ্ক কত প্রকার ও কি কি

আমরা এত ক্ষণ অঙ্ক কাকে বলে তা জানলাম এবং চিনলাম । এখন আমাদের নিশ্চয় ‍ভূল হবে না সংখ্যা আর অঙ্ক চিনতে। এখানে অঙ্ককে প্রকাশ করার জন্য বেশ কিছু সংখ্যা পদ্ধতি রয়েছে। যেখানে মজার ব্যাপার হলো একেক সংখ্যা পদ্ধটিতে একেক অঙ্কের মাধ্যেমে প্রকাশ করা হয় । নিম্নে সংখ্যা পদ্ধতি গুলো দেওয়া হলো:

  • বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি
  • অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি
  • দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি
  • হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি

বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি

যে সংখ্যা পদ্ধতিতে সংখ্যা প্রকাশ বা গণনার জন্য দুইটি ডিজিট বা প্রতীক ব্যবহার করা হয় তাকে বাইনারী সংখ্যা পদ্ধতি বলা হয় । এই বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি ২ অর্থাৎ এই সংখ্যা পদ্ধতি প্রকাশের জন্য ০ এবং ১ দুটি সংখ্যা ব্যবহার করা হয় । এই দুটি ডিজিট ব্যবহার করে কম্পিউটার তার সকল ধরনের কাজ হিসাব নিকাশ সম্পূর্ণ করতে পারে।

অক্টার সংখ্যা পদ্ধতি

যে সংখ্যা পদ্ধতিতে সংখ্যা প্রকাশ বা গণনার জন্য আটটি ডিজিট বা প্রতীক ব্যবহার করা হয় তাকে অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি বলা হয় । এই অক্টাল  সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি ৮ অর্থাৎ এই সংখ্যা পদ্ধতি প্রকাশের জন্য ০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭ আটটি সংখ্যা ব্যবহার করা হয় । এই আট ডিজিট ব্যবহার করে মাধ্যমে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিকে নিভূল ও সহজে উপস্থপানা করা হয় । 

দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি

যে সংখ্যা পদ্ধতিতে সংখ্যা প্রকাশ বা গণনার জন্য দশটি ডিজিট বা প্রতীক ব্যবহার করা হয় তাকে দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি বলা হয় । এই দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি ১০ অর্থাৎ এই সংখ্যা পদ্ধতি প্রকাশের জন্য ০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯ দশটি সংখ্যা ব্যবহার করা হয় । এই দশটি ডিজিট ব্যবহার করে মাধ্যমে সংখ্যা পদ্ধতিকে নিভূল ও সহজে উপস্থপানা করা হয় । যা সকলর বধোগম্য । 

আবার এই দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির অঙ্ককে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:

  • সার্থক অঙ্ক
  • সহকারী অঙ্ক

সার্থক অঙ্ক

সার্থক অঙ্ক বলতে  যে সকল অঙ্কের নিদিষ্ট মান বয়েছে সেকল অঙ্ককে সার্থক অঙ্ক বলা হয় । আবার বলা যায় যে সকল অঙ্ক কোনো সংখ্যার প্রথমে বা শেষে বা মধ্যে বসিয়ে নতুন সংখ্যা সৃষ্টি করে তাকে সার্থক অঙ্ক বলা হয় । 

সাধারণা ত আমরা ১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯  এই নয়টি অঙ্ককে সার্থক অঙ্ক বলে থাকি। 

সহকারী অঙ্ক

যে সকল অঙ্ক কোনো সংখ্যার মধ্যে বা শেষে বসে নতুন সংখ্যার সৃষ্টি করতে পারলেও কোনো সংখ্যার পূর্বে বসে কোনো নতুন সংখ্যা গঠন করতে পারে না তাকে সহকারী অঙ্ক বলা হয় । শুধু মাত্র ০ কেই সহকারী অঙ্ক বলা হয় । 

অঙ্কের ধাঁধা ও উত্তর

এখানে মজার মজার কিছু অঙ্কের ধাঁধা এবং অঙ্কের ধাঁধার উত্তর দেওয়া হলো :

অঙ্কের মজার ধাঁধা-০১

অঙ্কের মজার ধাঁধা-০২
অঙ্কের মজার ধাঁধা-০৩
অঙ্কের মজার ধাঁধা-০৪

এবার অঙ্কের মজার ধাঁধার উত্তর সমূহ:
অঙ্কের মজার ধাঁধা উত্তর-০১
অঙ্কের মজার ধাঁধা উত্তর-০২
অঙ্কের মজার ধাঁধা উত্তর-০৩
অঙ্কের মজার ধাঁধা উত্তর-০৪

অঙ্ক কাকে বলে- অঙ্ক কত প্রকার ও কি কি? এর শেষ কথা 

উপরক্ত আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম অঙ্ক কাকে বলে- অঙ্ক কত প্রকার ও কি কি? এখন থেকে আমাদের নিশ্চয় আর অঙ্ক ও সংখ্যা চিনতে ভুল হবে না । আমরা যদি এখন অঙ্ক ও সংখ্যার ব্যপারে সবটা বুঝতে পারি এবং অঙ্ক কাকে বলে- অঙ্ক কত প্রকার ও কি কি? মনে রাখতে পারি তাহলে চাকরী বা বিভিন্ন পরিক্ষায় ভালো ফলাফল হবে ইনশাআল্লাহ্ । আপনার যদি অঙ্ক কাকে বলে- অঙ্ক কত প্রকার ও কি কি? এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিচিতদের মাধ্যে শেয়ার করার করুন। যাতে করে সবায় উপকৃত হয় এবং অঙ্ক কাকে বলে- অঙ্ক কত প্রকার ও কি কি? সর্ম্পকে জানতে পারে । 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি সিসি’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url