হার্ট ভালো রাখার উপায় - হার্ট ভালো আছে বুঝার উপায়
হার্ট আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। হার্ট সুস্থ থাকলে আমাদের শরীরের বেশিরভাগ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সুস্থ থাকে। তাই আমাদের বেশি বেশি করে হার্ট এর খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের জানতে হবে হার্ট ভালো রাখার উপায়। এবং হার্ট ভালো আছে বুঝার উপায় সম্পর্কে আমাদের কিছু ধারণা রাখতে হবে
হার্ট ভালো রাখার উপায় সচরাচর আমরা সকলেই জানি। আমাদের প্রত্যেককে হার্ট ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে রাখতে হবে কারণ হার্ট আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশের একটি। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যভ্যাস বা জীবন ধারণের অভ্যাসের ওপর আমাদের হার্ট ভালো রাখার উপায় নির্ভর করে।
সূচিপত্রঃহার্ট ভালো রাখার উপায় - হার্ট ভালো আছে বুঝার উপায়
- হার্টবিট কমানোর উপায়
- হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার
- হার্ট দুর্বল হলে কি হয়
- হার্টকে ভালো রাখে যেসব খাবার
- হার্ট অ্যাটাকের পূর্বাভাস
- শেষ কথাঃ হার্ট ভালো রাখার উপায় - হার্ট ভালো আছে বুঝার উপায়
হার্টবিট কমানোর উপায়
স্বাভাবিক অবস্থায় নিজের পাশ ধরে কেউ যদি দেখেন যে তা জোরে ছুটছে, তাহলে
সাবধান না হয় তার কোন উপায় নেই। ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন এই সেইসঙ্গে খাদ্য
তালিকায় রাখুন পাকা কলা ও কিসমিস। পুষ্টি ও স্বাস্থ্য
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই দুটি খাবার হার্ট রেটকে নিয়ন্ত্রনে
রাখতে সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত উদ্বেগ ও মানসিক চাপে হার্টের ওপর বাড়তি চাপ পরে।
সময়ের পরিক্রমায় হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। আমেরিকান কলেজ অফ
কার্ডিয়লজি ফাউন্ডেশনে একটি মেটা-এনালাইসিস এ পাওয়া গেছে, উদ্বেগে জর্জরিত
লোকেদের করোনারি আর্টারি ডিজিজের ঝুঁকি ২৬ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। এটা
হল হার্টের সবচেয়ে প্রচলিত রোগ। কারেন্ট সাইক্রিয়াটিক রিপোর্ট এ প্রকাশিত রিভিউ
থেকে জানা গেছে, উদ্বেগ থেকে হার্ট ফেইলিওর ও রক্তনালির রোগ হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ বড় দিন কত তারিখ - খ্রিস্টানদের বড়দিন কবে
হার্টবিট বেড়ে গেলে তা কমানোর একটি কার্যকরী উপায় হলো-গভীরশ্বাস-প্রশ্বাস। বিভিন্ন গবেষণা বলছে, গভীর শ্বাস ক্রিয়া হার্ট রেট কমে এবং উদ্বেগ ও কমে যায়। গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য একটি নির্জন স্থানে বসে পড়ুন। অথবা শুয়ে পড়ুন। তারপর চোখ বন্ধ করে রান্নার দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস টানুন। আপনি এই ধরনের শ্বাসক্রিয়া নতুন হলে বুকের ওপর একটি হাত রাখুন। এতে গ্রহণের সময় বুকে বৃদ্ধিতে পাবেন। অতঃপর মুখের মাধ্যমে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। পুরো প্রক্রিয়াটি প্রয়োজন অনুসারে রিপিট করুন।
হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার
আধুনিক জীবনের কর্মব্যস্ততার জোরে মানসিক উদ্বেগ, জীবনযাপনের অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস
এ সবের কারণে যখন-তখন হৃদরোগের শিকার হন অনেকেই। অনিদ্রা, অনিয়মিত ঘু্ম, সোনা
খাওয়া, ফাস্টফুডে আসক্তি ইত্যাদির কারণে হাটে নানা সমস্যা দেখা দেয়। বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে হৃদরোগের মৃত্যুর সংখ্যা
বাড়ছে। অনেকেরই ধারণা ধূমপান বন্ধ করলে হার্টকে অনেকটা সুস্থ রাখা যায়।
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ প্রকাশ হাজরার মতে, ধূমপান হৃদরোগ ডেকে আনার অন্যতম কারণ, তাতে
কোন সন্দেহ নেই। নিকোটিনের প্রভাবে হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের প্রভূত ক্ষতি হয়।
কিন্তু ধূমপান ছাড়াও আমাদের নানান খাদ্যভ্যাস হার্টের ক্ষতি করে। হঠাৎ
হার্ট অ্যাটাক ঠেকাতে আজ থেকে সাবধান হোন সে সবে।
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় দিকে নজর দিলে দেখা যাবে, এমন কিছু খাবার আছে যা আজকাল আমরা খেয়ে থাকি যা হার্ট এর জন্য একেবারেই ভালো নয়। প্রতিদিন এসব খাবারের অভ্যস্ত হতে হতে অজান্তে হার্টের ক্ষতি করে চলছি আমরা। চলুন দেখে নেই হার্টকে ভালো রাখার জন্য এবং সাডেনলি হার্ড এটাক ওহাট কে সুস্থ রাখতে কোন কোন খাবার কেনা বলা উচিত।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল সার্ভিসিং
- ঠান্ডা পানীয়ঃ তৃষ্ণার্ত হলেই বা শখেও বোতল বোতল ঠান্ডা পানীয় খেলেন ফেলেন? এবার সাবধান হোন।কোল্ড ড্রিংকের অতিরিক্ত সুগার ও সোডা ধমনীর উপর চাপ ফেলে। এছাড়া ও শরীরে জলের পরিমাণ কমিয়ে ভেতর থেকে শুকনো করে দেয় এই সব পানীয়।
- চিপসঃ শিশু থেকে পৌর, চিপস পছন্দ করেন এমন অনেকেই আছে। মাঝে মাঝে কয়েক টুকরো টিপস এ ততটা সমস্যা হয় না, কিন্তু চিপস খাওয়ার অভ্যাসে পরিণত হলে তা থেকে হানা দেবে হার্টের বিপত্তি। চিপস এর ট্রান্স ফ্যাট ও অতিরিক্ত নুন হার্টের উপর চাপ দেয়। দিনের পর দিন শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত সোডিয়াম ডেকে আনে হার্ট অ্যাটাক।
- জাঙ্ক ফুডঃ পিজ্জা, বার্গার সহ চাইনিজ খাবারের সংযত হন। নানান ধরনের চাইনিজ সসে প্রিজারভেটিভের পরিমাণ এতটাই যে তা থেকে শরীরের নানান ধরনের ক্ষতি হয়। বাদ পড়ে না হার্ট ও পিজ্জা বার্গার এ সোডিয়াম ও অতিরিক্ত ফ্যাট ওবেসিটি বাড়িয়ে হার্টের উপর চাপ ফেলে। এছাড়াও জাঙ্ক ফুডে ব্যবহৃত তেল ও শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
-
প্রক্রিয়াজাত মাছ ও মাংসঃ যেকোনো প্রক্রিয়াজাত খাবার এই নুন ও চিনির মাত্রা অনেক বেশি থাকে। সংরক্ষণের
জন্য ব্যবহার করা হয় নানান রাসায়নিকও। এগুলি কোনটাই হার্টের জন্য ভালো
নয়। শুধু ওবিসিটি নয়, হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের পেছনে এমন কিছু খাদ্যভ্যাস ও
দায়ী। এসব খাবারের হৃদযন্ত্র দুর্বল হয় সহজেই।
-
কফিঃ যখন-তখন কফি খান? তাহলে এ
অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করুন আজ থেকে। ব্লেন্ড কফিতে প্রচুর পরিমানের ক্যালোরি এবং
ফ্যাট জাতীয় উপাদান থাকে। এছাড়াও কফির ক্যাফিন রক্তে শর্করার মাত্রা
বাড়িয়ে হার্টকে বিপদের মুখে ঠেলে দেয়।
হার্ট দুর্বল হলে কি হয়
বর্তমান সময়ে পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস ও রোগ জীবাণু ছড়িয়ে রয়েছে। এই সকল কিছুর দিকে খেয়াল দিতে গিয়ে আমরা যেন নিজের হার্টের দিকে খেয়াল দিতে ভুলে না যাই। কারণ হার্ড আমাদের শরীরের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান ইতিমধ্যেই আমরা জেনেছি হার্ট ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে এবং আমাদের হার্ট ভালো রাখার উপায় গুলো সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জানতে হবে এবং হার্টের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। অনেকের হার্টের সমস্যা গুরুতরভাবে বর্তমানে যে ভয়াবহ রোগ বা ভাইরাস সারা পৃথিবীতে ধ্বংসলীলা চালিয়ে যাচ্ছে তা হলো কোভিড - ১৯। এই কোভিড - ১৯ এর কারণেও অনেকের হার্টের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। হার্ট দুর্বল হলে কি কি হয় তা নিচে জেনে নিনঃ
- হৃদ গতি বেড়ে যায়
- দুর্বলতা ও ক্লান্তি অনুভূত হয়
- বুকে ব্যথা হয়
- শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার সৃষ্টি হয়
হার্টকে ভালো রাখে যেসব খাবার
ছোলা কার্ডিওভাসকুলার পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ। করতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং
পটাশিয়াম রয়েছে। শুধু তাই নয় ছোলা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।
এছাড়াও এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে নিয়ে আসে।
এই তিক্ত পানীয়টি আমাদের হার্টের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কফি করোনারি হার্ট ডিজিজ, হার্ট ফেইলিওর, এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
গন্ধযুক্ত এর মসলাটি নিয়মিত খেলে রক্তচাপ এবং করোনারি হার্ট ডিজিজ এর মত রোগের
ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ বিজয় দিবস কবে - কততম বিজয় দিবস ২০২২
জাম্বুরা কলিন, ফাইবার, লাইকোপিন এবং পটাশিয়ামযুক্ত। এই সমস্ত উপাদানগুলো
হার্ট ভালো রাখতে একটি দুর্দান্ত উপায়। উচ্চ রক্তচাপকে কমাতে এটি অন্যতম
পুষ্টিকর উপাদন।
গ্রিন টি একটি সতেজ পানীয় হিসেবে পরিচিত। গ্রীন টি তে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ধমনী ফলক তৈরি রোধে সহায়তা করে। এছাড়াও গ্রিন টি এল এল, কোলেস্ট্রল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড কমাই।
হার্ট অ্যাটাকের পূর্বাভাস
- বুকের ব্যাপারে হয় চাপ লাগার মত
- দম আটকে আসে
- প্রচন্ড ঘাম হয়
- বমি বমি পায়
- মাথা হালকা হয়ে আসে
- বুক জ্বালাপোড়া করে
- হাত ব্যথা হয়
- কাজের রক্তনালী ফুলে ওঠে
অর্ডিনারি সিসি’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url