শীতকালীন সবজি চাষের সময় - শীতকালীন ফসলের তালিকা

 

সবজি আমাদের শরীরের জন্য একটি উপযোগী উপাদান। সবজি ছোট বড় সকলের জন্যই উপকারী। আমাদের দেশে শীতকালে সবচেয়ে বেশি ফলন হয়ে থাকে সবজি। বিভিন্ন ধরনের সবজি আমাদের বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। তাই তা আমাদের প্রত্যেক দিনের খাদ্য তালিকায় সবচেয়ে থাকা অত্যন্ত জরুরী। সাধারণত শীতকালীন সবজি চাষের সময়।

সাঁকো সবজিতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের মিনারেল, ভিটামিন ও আয়রন। তাছাড়াও শীতকালের সবজি চাষের সময়। এক সময় বেশি সবজি পাওয়া যায়। এছাড়াও সারা বছর নানা ধরনের সবজি পাওয়া যায় কিন্তু শীতকালে যে সকল শক্তি পাওয়া যায় সেই সকল শক্তির সারা বছর পাওয়া যায় কিন্তু খুব অল্প পরিমাণে। তাই আমাদের শরীরের জন্য সবজির অবদান অপরিসীম।

সূচিপত্রঃ শীতকালীন সবজি চাষের সময় - শীতকালীন ফসলের তালিকা

শীতকালীন সবজির তালিকা

আমরা সকলেই জানি বাংলাদেশে শীতকালে নানান ধরনের সবজির সমারোহ হয়ে থাকে। তাছাড়াও এ সময় নানান ধরনের তাজা শাকসবজি পাওয়া যায়। শীতের সময় বাজারে বেশি দেখা যায় ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, লালশাক, পালংশাক, মুলা, শালগম, শিম, টমেটো, পেঁয়াজ পাতা, লউ, ব্রোকলি, মটরশুঁটি, গাজর, ধনিয়াপাতা ইত্যাদি।
পুষ্টিবিদদের মতে, শীতকালীন সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, বিটা-ক্যারোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ফলিক এসিড, এন্টিঅক্সিডেন্ট, আঁশ ও ভিটামিন। ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের উপাদান রয়েছে শীতকালীন সবজি তাই আমাদের প্রতিদিন সবজি খাওয়া উচিত তাহলে আমাদের শরীর সুস্থ থাকবে।

শীতকালীন ফলমূল

বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং মিনারেলস এর সহজ ও স্বাস্থ্য উপাদান উৎস হল ফল। ফল খাওয়া যায় বলে এসবের উপাদান অবিকৃত অবস্থায় দেহে কর্তৃক গৃহীত হয়। যা আমাদের বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ফলে বিদ্যমান বিভিন্ন ধরনের মিনারেলস যেমন-ক্যালসিয়াম, লৌহ, ফসফরাস এসব দেহের বিপাকীয় কার্যাবলী স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও ফল অন্যান্য পুষ্টি উপাদান যেমন-শর্করা, আমিষ, চর্বি, ভিটামিন ও পানি এসব দেহের সরবরাহ করে দেহকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

শীত মৌসুমে বাজারে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন জাতের কুল বা বড়াই, কমলালেবু, জলপাই, আমলকি, আপেল, সফেদা, ডালিম ইত্যাদি পাওয়া যায়। শীতের সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে নানা জাতের কুল বড়ই। বরই হরেক রকম হয়ে থাকে, নারকেলি কুল, আপেল কুল, বাউকুল ইত্যাদি। শীতকালীন এই ফলটির বেশ উপকারী ও পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ। এছাড়াও কমলার রসের ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি কমপ্লেকএক্স, ফাইবার ও মিনারেল যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য জরুরী। কমলালেবু কে ক্যান্সার প্রতিরোধক বলা হয়ে থাকে। শীতকালীন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল হচ্ছে জলপাই। উচ্চ রক্তচাপ, কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাকস্থলীর কোলন ক্যান্সার দূর করতে জলপাইয়ের জুড়ি মেলা ভার। 
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর এক হলে আরও রয়েছে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই। ভিটামিন সি এর রাজা হিসেবে খ্যাত শীতকালীন ফল আমলকি। ত্বকের সুরক্ষা, মাড়ি মজবুত করতে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আমলকি। সারা বছর পাওয়া গেলেও শীতকালে বেশি পাওয়া যায় আর যুক্ত ফল আপেল। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

শীতকালে কি কি সবজি চাষ করা যায়

শীতকালে নানা ধরনের সবজি চাষ করা যায় নিচে তার কিছু তালিকা দেওয়া হলঃ
  1. ফুলকপি
  2. বাঁধাকপি
  3. গাজর
  4. ওলকপি
  5. মটরশুটি
  6. সিম
  7. লাউ শাক
  8. টমেটো
  9. বেগুন
  10. আলু
ইত্যাদি ইত্যাদি নানান ধরনের ফল চাষ করা হয়ে থাকে শীতকালে। আর তাছাড়াও এসময় শীতকালীন সবজির দাম খুব কম হয়ে থাকে যা সকলের জন্যই ভালো। এবং এ দেশের গরীব মানুষ এই সময় শীতকালীন সবজির আনন্দ নিতে পারেন।  

সারা বছর পাওয়া যায় যেসব সবজি

সবজি একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল। কৃষি বিজ্ঞানের ভাষায় সবজিকে উদ্যান ফসল বলা হয়ে থাকে।পুষ্টিগুণের দিক থেকে সবজি ফসল যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি বাণিজ্যিকভাবেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। সবজি চাষের আধুনিক কলাকৌশল জানা অত্যন্ত জরুরী। আধুনিক কলাকৌশল বৈজ্ঞানিক উপায়ে চাষাবাদ কে বোঝানো হয়ে থাকে। বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু সবজিই চাষের জন্য খুবই উপযোগী। তবে সারা দেশে যেমন সব ধরনের সবজি উৎপাদিত হয় না। ঠিক তেমনি সব সবজি আবার সারাবছর উৎপাদিত হয় না। একটি অঞ্চলে একেক ধরনের শাকসবজি উৎপাদন হয়ে থাকে আবার বছরে বিশেষ বিশেষ সময়ে বিশেষ বিশেষ ধরনের শস্য উৎপাদিত হয়। সারাদেশে সারা বছরের সবচেয়ে সহজে উৎপাদিত হয়ে থাকে তাদের কিছু সবজির কথা আজকে আমরা জানবো। 

টবে শীতকালীন সবজি চাষ

বাসার ছাদের টবে  টমেটো, বেগুন, মরিচ, শসা, ঝিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, মটরশুটি, কলমি শুটি, কলমি শাক, লাউ, পুঁই শাক, পেঁপে, পুদিনা পাতা, ধনে পাতা, থানকুনি, লেটুস, ব্রোকলি প্রভৃতি সবজি চাষ করতে পারবেন। টবের মাটিঃ মাটি হতে হবে ঝরঝরে, হালকা এবং পানি ধরে রাখার ক্ষমতা সম্পন্ন। মাটি চালুনি দিয়ে চেলে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে। দুই ভাগ বেলে দো-আঁশ মাটির সঙ্গে দুই ভাগ জৈব সার মিশিয়ে বীজতলায় মাটি তৈরি করতে হবে। মাটি এঁটেল হলে একভাগ বালি মিশিয়ে হালকা করে নিতে হয়। মাটিকে জীবাণুমুক্ত করে চারাকে রোগবালাই থেকে রক্ষা করতে হয়। সাধারণত ১ লিটার ফরমালডিহাইড শতকরা ৪০ ভাগ ৪০ লিটার পানিতে মিশিয়ে এই দ্রবণের ২৫ লিটার প্রতি ঘন মিটার মাটিতে কয়েক কিস্তিতে ভিজিয়ে দিতে হয়। এরপর দু’দিন চটের কাপড় দিয়ে মাটি ঢেকে রেখে পরে চট উঠিয়ে দিলে মাটি জীবাণুমুক্ত হয়।

টবে শীতকালীন সবজি চাষ করতে যা যা লাগবেঃ
১। মাটি হালকা ঝরঝরে করে টবের ওপরে ভাগ সমতল করতে হবে। হালকা ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিতে হবে। এরপর জৈব সার দিয়ে বীজগুলোকে ঢেকে দিতে হবে।

সেচ: নিয়মিত ছোট ছোট ছিদ্রযুক্ত ঝাজরি দিয়ে পানি দিতে হবে। পানির ঝাপটায় যাতে বীজের উপর জৈব সারের আবরণ সরে না যায়। আকারে ছোট বীজগুলোর উপর দিয়ে পানি দিলে পানির ধাক্কায় একস্থানে অঙ্কুরোদগমে ব্যঘাত ঘটতে পারে। তাই সব টবের উপর দিয়ে পানি না দিয়ে তলা দিয়ে সেচের ব্যবস্থা করা উচিত।

আরো পড়ুনঃ বিশ্ব নৌ দিবস কবে - বিশ্ব নৌ দিবস

২। হেপ্টাক্লোর ৪০ পরিমাণমতো দিতে হবে পিঁপড়া ও মাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য। পাখির হাত থেকে ফসল বাঁচাতে হলে টবের ওপর তাদের বানাইলে জাল দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। টবের মাটিতে বীজ বপনের আগে বিভিন্ন প্রকার আগাছা জন্মাতে পারে। তাই নিড়ানি দিয়ে খুঁচিয়ে তুলে ফেলতে হবে আগাছা গুলোকে। চারার গোড়ায় যেন আঘাত না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। টব গুলো অবশ্যই আলো-বাতাস যুক্ত জায়গায় রাখতে হবে। অতিরিক্ত ঝড়-বৃষ্টি রোদ থেকে রক্ষার জন্য সাময়িকভাবে টব নিরাপদ স্থানে সরানো যেতে পারে।

৩। সবচেয়ে বেশিদিন বাঁচে না রেখে নরম থাকতে তুলে খাওয়া ভালো। সবজি গাছ থেকে ছিঁড়ে সংগ্রহ করা যাবে না। এটি আস্তে করে কেটে সংগ্রহ করে নিতে হবে। তাহলে সবজি গাছের কোন ক্ষতি হবে না।

শেষ কথাঃ শীতকালীন সবজি চাষের সময় - শীতকালীন ফসলের তালিকা 

আমাদের দেশে ফসল চাষের জন্য সাধারণত দুইটি মওসুম রয়েছে। তার মধ্যে শীতকালীন সবজি চাষের সময় সাধারণত শীতকাল এ হয়ে থাকে। শীতকালীন সবজি চাষের সময় আমাদের নানা ধরনের সবজি আমরা হাতের কাছে খুব সহজে পেয়ে থাকি। শীতকালীন সবজি চাষের সময় শীতকালীন সবজি চাষের সময় এই সকল সবজি আমরা তাজা অবস্থাই পেয়ে থাকি।

তাই এই সকল সবজির স্বাদ ও ব্যাপক হয়ে থাকে। শীতকালীন সবজি চাষের সময় আমাদের কৃষক ভাইয়েদের অবশ্যয় খেয়াল রাখতে হবে যাতে জমিতে প্রয়োজনের বেশি সার ব্যবহার না করা। তাহলে সবজির গুনগতও মান সঠিক থাকবে না। শীতকালীন সবজি চাষের সময় সাধারণত  শীতকালীন সবজি চাষের সময় চাষ করা হয়। শীতকালীন সবজি চাষের সময় শীতকালীন সবজি চাষ করা হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি সিসি’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url