তৈলাক্ত ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার

 

শীতকালে আমাদের ত্বক বেশি রুক্ষ হয়ে থাকে। আরে রুক্ষভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজন মশ্চারাইজার। আর সেই কিন্তু আমাদের অনেক টাকা খরচ করতে হয়। এই মশ্চারাইজার যদি আমরা পাই প্রকৃতিক ভাবে তাহলে কেমন হয়। তৈলাক্ত ত্বকের প্রাকৃতিক মশ্চারাইজার একটি বড় পাওনা হিসেবে ধরা যায়।

তৈলাক্ত ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার আমাদের ত্বককে আরও সুন্দর ওগুলোই করে তুলতে পারে কারণ এতে কোনো রকমের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় না এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি হয় এবং তৈলাক্ত ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। 

সূচিপত্রঃ তৈলাক্ত ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার

তৈলাক্ত ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার

আমাদের ত্বক বিশেষ করে শীতের সময় বেশ রুক্ষ হয়ে ওঠে। ত্বককে এই রুক্ষ ভাব থেকে রক্ষা করার জন্য আমরা সচরাচর মশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করে থাকে। এই সকল ক্রিমে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা আমাদের ত্বককে আরও স্পষ্ট করে তোলে এবং ত্বকের পিএইচ এর মাত্রা কমিয়ে আনে। চলুন জেনে নেই কিছু প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার তৈরি করা যা আমাদেরকে তৈলাক্ত ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার তৈরি করতে সাহায্য করবে।

আরো পড়ুনঃ হার্ট ভালো রাখার উপায় - আর্ট ভালো আছে বোঝার উপায়

একটি কাপে দুই-তৃতীয়াংশ দুধ, ২ চা চামচ লেবুর রস, 2 টেবিল চামচ অলিভ অয়েল দিয়ে একটি পরিষ্কার পাত্রে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। তৈরি হয়ে যাবে তৈলাক্ত ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। এই মশ্চারাইজার এর থাকা দুধ ত্বককে কোমল করবে ও অলিভ অয়েল ত্বকের পিএইচ এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে। লেবুর রস ত্বকে দাগ ছোপ দূর করতে সাহায্য করবে।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য স্ক্রাব

তৈলাক্ত ত্বক আমাদের সবসময় নানা ধরনের বিব্রত মুখে ফেলে দেয়। তেল চিটচিটে ত্বক নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয় আমাদের। এ ধরনের ত্বকের যত্ন নেওয়া সহজ কাজ নয়। আবার তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন প্রসাধনী বাছাই করা বেশ কঠিন হয়ে পরে। তবে খরচ উপাদান ব্যবহারে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়। ঘরে মিলবে এমন সব উপকরণ যা দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন তৈলাক্ত ত্বকের জন্য স্ক্রাব।

শসার স্ক্রাব

বিভিন্ন রূপচর্চায় শসা অনেক পরিচিত একটি উপাদান আর আপনার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে সবচেয়ে সহজ স্ক্রাব হচ্ছে এটি। আর নিয়মিত শসার স্ক্রাব ব্যবহার করে দূর করতে পারেন আপনার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব। এটি আপনার ত্বককে করবে পরিষ্কার। আর এটি করতে অর্ধেক পরিমাণ শসা নিয়ে তা ভালো করে থেতলিয়ে নিন। এরপর মুখে লাগিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করুন এবং ১০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এতে পাবেন এর উপকার।

কফি স্ক্রাব

ত্বকের যত্নে কফির ব্যবহার হয়ে থাকে। বিভিন্ন পণ্যের মূল উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে কফি। এতে থাকা ক্যাফিন ত্বককে জাগিয়ে তুলতে এবং প্রাকৃতিক ভাবে উজ্জ্বল করতে অনেক উপকারী। এর জন্য আমাদের প্রয়োজন এক চা-চামচ কফি নিয়ে এর সঙ্গে এক চামচ টক দই ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর এটি ত্বকে কিছুক্ষণ ঘষে পাঁচ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন এতে দূর হয়ে যাবে আপনার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব।

গ্রীন টি স্ক্রাব

গ্রিন টি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী এছাড়াও এটি আমাদের ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। আর এতে দিয়ে বানানো স্রাব আপনার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করবে এবং ত্বককে আরও সুন্দর করে তুলবে।

এই স্ক্রাবটি তৈরি করতে এক কাপ গরম পানিতে দুটি গ্রিন টি ব্যাগ ভিজিয়ে রাখুন যতক্ষণ না সে ঠান্ডা হয়ে যায়। এরপর দুই চামচ গ্রিন টি ডিকোসন নিয়ে তার সঙ্গে চিনি ও লেবুর রস মেশান। এরপর সেইটা তিন থেকে চার মিনিট তাকে ভালো করে স্ক্রাব করুন। প্রথমে হালকা গরম পানি এবং পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তাহলে আপনি দূর করতে পারবেন ত্বকের তৈলাক্ত ভাব।

চালের স্ক্রাব

ত্বকে ছিদ্র থাকা মৃতকোষ কে দূর করতে এবং তৈলাক্ত ভাব কমাতে পারে চালের স্ক্রাব। এটি বানাতে আমাদের লাগবে চালের গুড়া, সামান্য পরিমাণের বেকিং সোডা, এক চামচ মধু, একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। পর ২-৩ মিনিট পরে ভাল ভাবে মুখের স্ক্রাব করে নিতে হবে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি সপ্তাহে এক থেকে দুই বার ব্যাবহার করলে উপকার পাবেন।

কমলার খোসা

কমলার খোসার থাকা যৌগগুলো ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করার পাশাপাশি ত্বকের উজ্জলতা সাহায্য করেন। তাই এটি দিস্তাপ বানিয়ে করে ফেলতে পারেন ত্বকের খুব ভালো যত্ন। এটি তৈরি করতে আমাদের প্রয়োজন কমলার খোসা শুকিয়ে নিয়ে তার গুঁড়ো করে দিতে হবে। এই গুঁড়ো এক চামচ দিয়ে তার সঙ্গে সামান্য হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়ে কিছু পরিমাণ মধু দিয়ে পেস্ট তৈরি করে সেটি মুখে তিন থেকে চার মিনিট স্ক্রাপ করতে হবে। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে পাবেন তৈলাক্ত হিন উজ্জ্বল ত্বক।

পেঁপের স্ক্রাব

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য পেঁপের যেন একেবারেই স্বর্গীয় একটি উপাদান। কারো সাথে থাকায় এনজাইমগুলো ত্বকের এক্সফলিয়েট করে এবং পক্ষে ক্লিনিং করেন। আরে তীর ব্যবহারেও অনেক সহজ এবং এটি আপনি মুখ ছাড়া হাতে ও ঘাড়ে ব্যবহার করতে পারবেন।

তৈরি করার জন্য আমাদের প্রয়োজন, পাকা পেঁপে গলিয়ে নিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এরপর এটি ত্বকে ও ঘাড়ে লাগিয়ে কিছুক্ষণ মাসাজ করুন। পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললেই পাবেন তেলমুক্ত পরিষ্কার ত্বক। 

তৈলাক্ত ত্বকের উপকারিতা

বিভিন্ন উপায় ঘরোয়া ভাবে তৈলাক্ত ত্বকের প্রাকৃতিক ভাবে নেওয়া যায়। ঋতু পরিবর্তনের  সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ত্বক বিভিন্ন ধরনের ঋতুর সম্মুখীন হয়ে থাকে। আমাদের দেশ একটি ছয় ঋতুর দেশ হিসেবে পরিচিত এ দেশের প্রত্যেকটি ঋতুর বিভিন্ন ধরনের রূপ রয়েছে। শীতকালে যেমন আমাদের ত্বক হয়ে থাকে রুক্ষ-শুস্ক তেমনই গৃষ্ম কালে গরমের তাপ এ তা হয়ে ওঠে নোংরা। তৈলাক্ত ভাব অয়েলি স্কিনের জন্য অনেকে স্কিনের নানান সমস্যা হয়ে থাকে।

হয়তো অনেকেই জানিনা যে, তৈলাক্ত স্কিন সব থেকে ভালো। অন্য সকল ধরনের স্কিনের থেকে তৈলাক্ত স্কিন সবথেকে ভালো। তৈলাক্ত ত্বক হলে ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম কিনতে হবে না। ত্বকে ছিদ্র থেকে বের হওয়া সিরাম মুখের ত্বককে আদ্র রাখার কারণে ত্বক শুষ্ক হতে দেয় না। ত্বক থেকে যে তেল বের হয় তাতে ভিটামিন ই থাকে, প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন এবং এন্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে থাকে। ভিটামিন ই এর কারণে ত্বক সূর্যের আলো বায়ু দূষণ এবং ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে রক্ষা পায়। তৈলাক্ত ত্বক খুব বেশি রিংকেলস পড়ে না। এজন্য ঘুমানোর আগে হালকা ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম ত্বকে ব্যবহার করুন। তৈলাক্ত ত্বক হলে অতিরিক্ত স্কিন কেয়ার প্রসাধনী ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে না। আর ব্যবহার করলেও সামান্য পরিমাণ হলেই যথেষ্ট।

আরো পড়ুনঃ টমেটোর উপকারিতা ও অপকারিতা

তৈলাক্ত ত্বকের সেরা কিছু ডে ক্রিম হল লেটেস্ট হারবাল হোয়াইট গ্লো জেল ক্রিম, ল্যাকমি অ্যাপস হলিউড পারফেক্ট রেডিয়েন্স ক্রিম, গার্নিয়ার স্কিন ন্যাচরাল লাইট কমপ্লিট সিরাম ক্রিম ইত্যাদি। নাইট ক্রিম হিসেবে আপনি ব্যবহার করতে পারেন হিমালয় হারবাল নাইট ক্রিম, ফক্সট্রোট গোল্ড রেডিয়ান উইথ ফুল নাইট রিপেয়ার ক্রিম, ল্যাকমি উইথ ইনফিনিটি ইনফর্মিং নাইট ক্রিম কিংবা অন্যান্য ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট গুলো ব্যবহার করতে পারেন। 

শীতে ত্বকের যত্নে কি করবেন

প্রকৃতি থেকে গরম আবহাওয়া বিদায় নিতে শুরু করেছে। স্ত্রীর সঙ্গে আগমনের বার্তা দিচ্ছে শীত। এই পরিবর্তন পরিবেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমাদের ত্বক। শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ায় ত্বককে শুষ্ক ও খসখসে ভাব চলে আসে। অনেকে এ সময় শরীরের পানি কম লাগাতে চান। কেউ কেউ আবার নিয়মিত গোসল করেন না এতে ত্বকের ক্ষতি আরো বেশি বেড়ে যায়। 

ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মৌসুমে ত্বকে অতিরিক্ত আর্দ্রতা প্রয়োজন হয়। টাইপ ত্বকের যত্নে প্রতিদিন গোসল করার পাশাপাশি নিশ্চিত করতে হবে ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার কে। পশুর করার পরই অল্প ভিজে থাকতে থাকতে পুরো শরীরে মশ্চারাইজার মেখে নিতে হবে এতে শরীরের আদ্রতা ধরে রাখার প্রধান অস্ত্র হলো মশ্চারাইজার। মডারেটর হিসেবে ভাল ব্র্যান্ডের লোশন কে প্রাধান্য দিন। সেই সঙ্গে নিয়মিত ব্যবহার করুন অলিভ অয়েল। এই দুটি উপাদান ত্বকের ক্ষতির থেকে রক্ষা করে। তবে তকে এ উপাদান মেসেজ করার আগে নিশ্চিত হতে হবে ত্বক পরিষ্কার আছে কিনা।

শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় পানি ও ঠান্ডা অনুভূত হয়। তাই অনেকে এ সময়ে আরামের জন্য গোসলের সময় পানির সঙ্গে গরম পানি মিশিয়ে থাকেন। এ অভ্যাস ত্বক বেশি পরিমাণে আর্দ্রতা হারায়। আবার কেউ কেউ প্রতিদিন গোসল না করে কিছুদিন বিরতি নিয়ে গোসল করেন এতে ত্বকে ধুলোবালি জমে থাকার সুযোগ পায়। তাই ঠান্ডা কে ভয় না করে নিয়মিত গোসল করার চেষ্টা করুন।

শীতকালে সরাসরি ঠান্ডা বাতাস যেন শরীরের না লাগে সুযোগ পায় তাই চেষ্টা করুন শীতের পোশাকের ত্বক ঢেকে রাখতে। বাড়িতে থাকলে ঘরে পরিবেশ হিটার এর মাধ্যমে গরম না রেখে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন। এতে স্টক কম ক্ষতিকর বা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর বাড়ি থেকে বাইরে বের হলে ব্যবহার করুন মাফলার, টুপ্‌ হাতমোজা ও শীতের পোশাক। তবে এই শীতে সুরক্ষিত থাকবে আপনার কোমল ত্বক।

ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কোরিয়ান রূপচর্চা

সারা বিশ্বের সবচেয়ে নিখুঁত আর সুন্দর ত্বকের অধিকারী হলো কোরিয়ানরা। অন্য সকল জাতির তুলনায় একটু বেশি সুশৃংখল হিসেবেও আলাদা সুনাম রয়েছে তাদের। বিশ্বের সব দেশের মানুষ যখন অনিয়মতান্ত্রিক জীবন-যাপনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে সেখানে কোরিয়ান লাইফ স্টাইল সত্যিই অবাক করার মত।

কোরিয়ানরা মনে করেন, সৌন্দর্য ঈশ্বরপ্রদত্ত হলেও তা ধরে রাখার দায়িত্ব নিজের উপরেই বর্তায়। এর জন্য অবশ্যই একটু পরিশ্রমের প্রয়োজন রয়েছে। আপনি যদি কোরিয়ানদের মত সুন্দর আর ফিটনেস পেতে চান তাহলে খাওয়া-দাওয়া শারীরিক চর্চা তো বটেই তার পাশাপাশি ভরসা রাখতে হবে ঘরোয়া উপায়ে। রূপচর্চা নিয়ে কোরিয়ানরা নানান ধরনের টোটকা বা ঘরোয়া উপায় এবং রূপচর্চার প্রোডাক্ট এখন বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর এ কারণেই তাদের নানা রকম ক্রিম, সিরাম, মাক্স মিস দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশে সহ ভারতীয় বাজারের পাশাপাশি বাংলাদেশ ছড়িয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি রূপচর্চার নানান ঘরোয়া উপায়ে এখন ফলো করা হচ্ছে বাংলাদেশ। 

কোরিয়ানরা মুখের ত্বক পরিষ্কার রাখতে, মরা কোষ দূর করতে, বলিরেখা থেকে নিজের ত্বককে মুক্ত রাখতে ব্যবহার করে চালের গুঁড়ো। ভিটামিন বি সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি ব্রণ মুক্ত রাখতে এবং ত্বকের জেল্লা ঝরাতে সাহায্য করে। ফেসপ্যাক তৈরি করতে এক টেবিল চামচ চালের আটা, এক চা চামচ ওটস, এক চা চামচ দুধ, এক চা চামচ মধু এবং এক চা চামচ গোলাপজল আর একটা চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। একটি ঘন পেস্ট তৈরি করে মুখে প্যাকটি লাগিয়ে 10 মিনিট অপেক্ষা করুন। মাক্স ত্বকে শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ফেসপ্যাকটি তিন দিন ব্যবহার করুন আর এক মাসে কাঙ্খিত পরিবর্তন লক্ষ্য করুন।

আরো পড়ুনঃ প্রাকৃতিক উপায়ে দাঁতের যত্ন - বেকিং সোডা দিয়ে দাঁতের যত্ন

এশিয়ান মেয়েদের মধ্যে কোরিয়ান মেয়েরা দাগহীন সুন্দর ত্বকের জন্য প্রসিদ্ধ। সাধারণত রূপচর্চার জন্য তারা প্রাকৃতিক উপাদান কে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তাই কোরিয়ান মেয়েদের জীবন যাপনের ধরন ও রূপচর্চার পদ্ধতি অনুসরণ করলে আপনার জীবনেও আসতে পারে অর্থবহ এক দীপ্তময় পরিবর্তন।

শেষ কথাঃ তৈলাক্ত ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার

তৈলাক্ত ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার অবশ্যই আমাদের প্রাকৃতিক উপাদান থেকে নেওয়া উচিত। তৈলাক্ত ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং তৈলাক্ত ত্বক অন্যান্য ত্বকের থেকে বেশ ভালো। তৈলাক্ত ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার টুপি ল্যাপটপ ত্বককে আরও সুন্দরভাবে মশ্চারাইজ করে রাখে। তৈলাক্ত ত্বক আমাদের নানান সময় নানান ধরনের বিপত্তিকর ঘটনার সম্মুখীন করে দেয়। 

 তৈলাক্ত ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার আমাদের এই সকল অপ্রত্যাশিত ঘটনা থেকে মুক্তি দিতে পারে। তাছাড়াও তৈলাক্ত ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের ফলে আমাদের ত্বকে কোনো রকম ক্ষতির সম্মুখীন হবে না এবং ত্বক খুব ভালো থাকবে তাছাড়া ও নামিদামি কেমিক্যালযুক্ত মশ্চারাইজার ব্যবহারের ফলে আমাদের ত্বকে নানা ধরনের ক্ষতি সাধিত হতে পারে তাই তৈলাক্ত ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার আমাদের ত্বককে সেসকল ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি সিসি’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url