বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস কবে - বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস ২০২২

 

আজ বিশ্বের প্রায় 90% মানুষের ডায়াবেটিস রয়েছে। ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিশ্বের প্রায় ৩৯ কটি ২০ লক্ষ ব্যক্তি টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এই সংখ্যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার 6 শতাংশের সমান। যারা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে এবছর ২০২২ সালের ১৪ ই নভেম্বর রোজ সোমবার। বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস কবে জানুন এই পোস্টের মাধ্যমে।

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস কবে জানার মাধ্যমে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালন হল বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস সম্পর্কে বিশ্ব জনমত তৈরি করা ও সকল মানুষকে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতন করা। বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস কবে এবং বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস ২০২২ যা একটি ক্যাম্পেইন এর মাধ্যমে প্রতিবছর .১৪ ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিক  রোগটি ব্যাপকভাবে বিশ্বের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস কবে ও বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস ২০২২ এবছর সোমবার ১৪ ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

সূচিপত্রঃ বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস কবে - বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস ২০২২

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস এর ইতিহাস

২০০৭ সালের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ডায়াবেটিস প্রতিরোধ অভিযান পরিচালনায় থিমটি আরো দীর্ঘ সময় ধরে থাকবে। বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস ২০০৭-০৮ এর থিম নির্ধারিত ছিল' শিশু ও তরুণদের মধ্যে ডায়াবেটিস'.২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের থিম নির্ধারিত হয়েছে,' ডায়াবেটিস শিক্ষা প্রতিরোধ '। ২০০৭-০৮ সালে এই অভিযানের মূল লক্ষ্য হলো-আরো বেশি শিশু ও তরুণকে এই পরিচর্যার আওতায় আনা। ডায়াবেটিসের জরুরী সংকেত সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা। এই রোগের একটি জটিলতা ডায়াবেটিক কিটো এসিডোসিস রাস করার উদ্যোগ উৎসাহিত করা।
আর শিশুদের মধ্যে টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন কে আরও জনপ্রিয় করে তোলা। এ দিবসের নীল বৃত্তের' লোগো টি ডায়াবেটিস কি পরাভূত করার জন্য বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ের সূচক। লক্ষ্য হলঃ পৃথিবীর কোন শিশু যেন ডায়াবেটিসে মারা না যায়। ডায়াবেটিসের মত ক্রনিক রোগ ব্যক্তি, পরিবার, দেশ, এমনকি সারা পৃথিবীর জন্য গুরুতর ঝুঁকি বহন করে-এমন সত্যি টি জাতিসংঘ অনুধাবন করে ২০০৬ সালে একে জাতিসংঘ দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। পৃথিবীতে ২৫০ মিলিয়ন লোক ডায়াবেটিস নিয়ে জীবন যাপন করছে।

ডায়াবেটিসের লক্ষণ

যে দশটি লক্ষণ দেখলে আপনি বুঝবেন আপনার ডায়াবেটিস হয়েছে তা নিচে দেওয়া হলঃ
  1. ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া ও পিপাসা লাগা।
  2. দুর্বল লাগা' ঘোর- ঘোর ভাব আসা।
  3. ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া।
  4. সময়মতো খাওয়া দাওয়া নাহলে রক্তের শর্করা কমে হাইপো।
  5. মিষ্টি জাতীয় জিনিসের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যাওয়া।
  6. কোন কারন ছাড়াই অনেক ওজন কমে যাওয়া।
  7. শরীরে ক্ষত বা কাটাছেঁড়া হলে দীর্ঘদিনেও সূরা না সারা।
  8. চামড়ায় শুষ্ক, খসখসে ও চুলকানি ভাব ।
  9. বিরক্তি ও মেজাজ খিটখিটে হয়ে ওঠা।
  10. চোখ কম দেখতে শুরু করা

কাদের ঝুঁকি বেশি

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যাদের মা বাব, ভাই বোন বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বজনদের ডায়াবেটিস রয়েছে , তাদের এই রোগটিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি রয়েছে। এছাড়াও আরও রয়েছে যারা নিয়মিত হাঁটাচলা বাৎসরিক পরিশ্রম করেন না। অনিয়মতান্ত্রিক, অলস জীবনযাপন করেন তাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। নারীদের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস রোগ হতে পারে। তাই আমাদের জানতে হবে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি সম্পর্কে এবং বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস কবে সে সম্পর্কেও জানতে হবে।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল সার্ভিসিং
যাদের হৃদরোগ হয়েছে, রক্তে কোলেস্টেরল বেশ, উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে , তাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। যেসব শিশুর ওজন বেশি, যাদের মা-বাব, ভাই-বোন , দাদা-দাদি, নানা-নান, ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বজনের ডায়াবেটিস রয়েছে , যাদের মায়ের গর্ভ অবস্থায় ডায়াবেটিকস হয়েছি, সেইসব শিশুর ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস কবে সে সম্পর্কে জানব। এবং অন্যকে জানাবো দেশ ও জাতি রোগ থেকে বাঁচতে পারে।

ডায়াবেটিস হলে কি করতে হবে ?

বাংলাদেশের ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন বলেছেন, যাদের ঝুঁকি রয়েছে তাদের অবশ্যই বছরে একবার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে হবে। ডায়াবেটিস পরীক্ষা করার জন্য যে আমাদের সবসময় হাসপাতালে যেতে হবে তা নয়। এখন অনেক ফার্মেসিতে স্বল্পমূল্যে দ্রুত ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা যায়। ওইখানে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করার পর যদি ডায়াবেটিস শনাক্ত হয় তবে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

যাদের শিশুর ঘনিষ্ঠজনদের ডায়াবেটিসের ইতিহাস রয়েছে তাদেরকেও বছরে অন্তত একবার করে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করাতে হবে। মিস্টার সাইফুদ্দিন বলেছেন, ডায়াবেটিসের যত তাড়াতাড়ি শনাক্ত করা যাবে সেই রোগীর জন্য ভালো। তাতে যেমন রোগীটির চিকিৎসা দ্রুত শুরু করা যাবে তেমন পাশাপাশি তার জীবন যাপন একটি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে আসবে। 

কিভাবে বা কি করলে ডায়াবেটিস রোগ ঠেকানো যায়

বাংলাদেশের ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি ডক্টর এ কে আজাদ খান বলেছেন, ডায়াবেটিস প্রধানত টাইপ -১ ও টাইপ-২ ভাবে ভাগ করা যায়। আমাদের দেশে .৯৫ শতাংশ রোগী টাইপ-২ ধরনের হয়ে থাকে।
টাইপ ওয়ান হচ্ছে এমন রোগী যাদের শরীরের একেবারে ইনসুলিন তৈরি হয় না। তাদের ইনসুলিন বা পুরোপুরি ঔষধের ওপর নির্ভর করতে হয়। সেই জন্যেই তাদেরকে সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে হয়।

তবে টাইপ -২ ধরনের রোগী ক্ষেত্রে আগাম সর্তকতা অবলম্বন করে রাখলে ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস থেকে রাখা সম্ভব হয়।
এজন্য তিনি বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
আপনার জীবনের কিছু কিছু অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে আপনি আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন তার জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে নিচে দেওয়া হলঃ
  • প্রতিদিন এক ঘণ্টা হাঁটুন
  • জীবনধারা পাল্টে দিন
  • ধূমপান ও মদ্যপান ছেড়ে দিন
  • মিষ্টি পরিহার করুন
  •  রক্তে চিনির মাত্রা উপর নজর রাখবেন 

শেষ কথাঃ বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস কবে - বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস ২০২২

ডায়াবেটিস সম্পর্কে আমাদের সকলেরই একটা আতঙ্ক কাজ করে। বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস কবে সে সম্পর্কে জেনে নেব। কারণ ডায়াবেটিস কে বলা হয় সকল রোগের জননী। বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস কবে তা জেনে এবং এর ক্যাম্পেইনে যোগদান করে আপনি উপকৃত হবেন এটি আশা করা যায় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস কবে এবং কখন পালিত হচ্ছে তা আমাদের সকলেরই জানার বিষয় । বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস কবে তা জানার মাধ্যমে আমাদের সকলেরই ডায়াবেটিস সম্পর্কে সতর্ক হবো।

আমাদের অবশ্যই ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে এবং যাদের পরিবারের সদস্যের ডায়াবেটিস আছে তাদের অবশ্যই 6 মাস পরপর ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা উচিত এবং বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস কবে ও বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস ২০২২ কবে পালিত হয় তার সম্পর্কে জেনে নিবো এবং সুস্থ থাকার জন্য বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস কবে সে সম্পর্কে জানার মাধ্যমে আপনারা এবং আমরা উপকৃত হবো তা আমরা আশা করছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি সিসি’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url