পদার্থের অবস্থা ও চাপ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানুন

 

পদার্থের অবস্থা ও চাপ অধ্যায় থেকে আমরা কিছু সাধারাণ তথ্য নিয়ে আলোচনা করি। পদার্থের অবস্থা বলতে প্রথেমে আমরা জানি পদার্থ কি? পদার্থ হচ্ছে সেই সকল বস্তু যার ভর অছে, আয়তন আছে নিদিষ্ট জায়গা দখল করে এবং বল প্রয়োগ করতে তা বাধা প্রদান করে। পদার্থকে অবস্থার উপর ভিত্তি করে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন- কঠিন, তরল এবং বায়বীয়। এছাড়া পদার্থকে আরো বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। গঠনের উপরভিত্তি করে পদার্থকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন- মৌলিক পদার্থ এবং যৌগিক পদার্থ । আবার এখানে মৌলিক পদার্থকে চার ভাগে পাওয়া যায়।যেমন- ধাতু, অধাতু, অপধাতু এবং নিস্ক্রিয় মোল। তবে পরির্বতনের কথা চিন্তু করলে আমরা পদার্থকে দুই ভাবে পটরিবর্তন হতে দেখতে পাই । একটি ভৌত পরিবর্তন এবং একটি রাসায়রিক পরিবর্তন। এসব সকল তথ্য পদার্থের অবস্থা ও চাপ অধ্যায় থেকে নেওয়া হয়েছে। 

এখন আমরা চাপ সর্ম্পকে ‍ কিছু জানব । কোনো তরল বা বায়বীয় পদার্থকে যখন কোনো পাত্রে রাখা হয় তখন এ পদার্থ পাত্রের গায়ে বল প্রয়োগ করে এবং আবদ্ধ পাত্রের গায়ে যদি কোনো ছিদ্র করে দেওয়া হয় তবে তরল বা বায়বীয় পদার্থ বেরিয়ে আসবে।যে খোনে বায়বীয় বা তরল পদার্থ স্থির থাকতে পারবে না ,গতির সঞ্চার হবে। অর্থাৎ তরল পদার্থের ভিতেরে কোনো বিন্দুর চাপ বলতে ঐ বিন্দুর চারদিকে একক ক্ষেত্রফলের উপর লম্বভাবে যে বল অনুভূত হয় তাকে চাপ বলতে পারি। এসব সকল তথ্য পদার্থের অবস্থা ও চাপ অধ্যায় থেকে নেওয়া হয়েছে।  

উপরক্ত আলোচনা  পদার্থের অবস্থা ও চাপ অধ্যায় থেকে।যা আমাদের জ্ঞানের আলোকে বিকাশিত করবে। পদার্থের অবস্থা ও চাপ অধ্যায় থেকে আমরা অোরো অনেক তথ্য জানব। তা নিম্নে দেওয়া হলো। 

পদার্থের অবস্থা ও চাপ অধ্যায় থেকে আমরা যা জানব তার সূচিপত্র 

পদার্থের অবস্থা ও চাপ অধ্যায়ের বিভিন্ন সংজ্ঞা

  • হুকের সূত্র ঃ  স্থিতিস্থাপক সীমার মধ্যে পীড়ন বিকৃতির সমানুপাতিক। 
  • পড়ীন ঃ কোনো একটি বস্তুর উপর একক ক্ষেত্রফলের উপর যে পরিমাণ বল প্রযৃক্ত হয় তা  পড়ীন।
  •  বিকৃতিঃ বাহ্যিক বল প্রয়োগের ফলে যদি কোনো বস্তুর আকারের পরিবর্তন হয় তা বিকৃতি। 
  • প্যাসকেলের সূত্রঃ  একটি আবদ্ধ পাত্রে তরল বা বায়বীয় পদার্থে বাইরে থেকে চাপ দেয়া হলে সেই চাপ সমানভাবে সঞ্চালিত হয়ে পাত্রের সংলগ্ন গায়ে লম্বভাবে কাজ করবে।
  • বল বৃদ্ধিকরণ নীতিঃ আবদ্ধ তরল পদার্থের ক্ষুদ্রতম অংশের উপর পিস্টন দ্বারা কোনো বল প্রয়োগ করে এর বৃহত্তর পিস্টনে সেই বলের বহুগুণ বেশি বল পাওয়ার নীতিকে বলা হয়  বল বৃদ্ধিকরণ নীতি।
  • আর্কিমিডিসের সূত্রঃ কোনো বস্তুকে স্থির তরল বা বায়বীয় পদার্থে আংশিক বা সম্পূর্ণ ডুবালে বস্তুটি কিছু ওজন হারায় বলে মনে হয়। এই হারানো ওজন বস্তরটির দ্বারা অপসারিত তরল বা বায়বীয় পদার্থের ওজনের সমান ।

চাপ

  • কোনো বস্তুর প্রতি একক ক্ষেত্রফলের ওপর লম্বভাবে প্রযুক্ত বলের মানকে বলা হয় -- চাপ। 
  • এক বর্গমিটার ক্ষেত্রফলের উপর যদি এক নিউটন চাপ প্রয়োগ করা হয় তাবে তাতে এক প্যাসকেল চাপ বলে।
  • চাপের একক --  প্যাসকেল। 
  • চাপের মাত্রা -- ML^-1T^-2
  • চাপের সঠিক প্রকাশ -- F = PA
  • চাপ একটি- - স্কেলার রাশি।
  • বল এবং ক্ষেত্রফল এ দুটি ভেক্টর রাশির অনুপাত হচ্ছে -- স্কেলার রাশির চাপ।
  • নির্দিষ্ট পরিমাণ বলের ক্ষেত্রে ক্ষেত্রফল যত কম হয় চাপ তত -- বেশি হয় । 
  • বেশি চাপ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ধারালো বস্তুর বল প্রয়োগকারী অংশের ক্ষেত্রফল অত্যন্ত -- কম রাখা হয়।
  • চোরাবালিতে পড়লে শুয়ে পড়ার কারণ -- চাপ কম রাখা। 
  • বাযুমণ্ডল তার ওজনের জন্য ভপৃষ্ঠে প্রতি একক ক্ষেত্রফলে লম্বভাবে যে পরিমাণ বল প্রয়োগ করে তাকে ঐ স্থানের বাযুমণ্ডলীয় চাপ বলে।

    ঘনত্ব ও দৈনক্ষিন জীবনে ঘনত্বের ব্যবহার

    • কোনো বস্তুর একক আয়তনের ভরকে তার উপাদানের -- ঘনত্ব বলে। 
    • একক আয়তনের ভরের পরিমাণই হচ্ছে -- ঘনত্ব। 
    • বস্তুর উপাদান ও তাপমাত্রার উপর নির্ভরশীল- ঘনত্ব। 
    • বস্তুর তাপমাত্রা বাড়লে তার ঘনত্ব -- কমবে।
    • ঘনত্বের একক -- kgm^-3 বা gg/cc ।
    • ঘনত্ব মাত্রা -- ML^-3 ।
    • লোহার ঘনত্ব-- 7.80 gm/cc ।
    • বায়ুর ঘনত্ব -- 1.27 kgm^-3 ।
    • ব্যতিক্রমী প্রসারণ ধর্ম রয়েছে -- পানির ।

    তরলের ভেতর চাপ ও আর্কিমিডিস সূত্র এবং প্লবতা

    • তরল বা গ্যাসীয় পদার্থে নিমজ্জিত বন্তর ওজন কমার কারণ -- প্লবতা। 
    • কোনো বস্তুকে স্থির তরলে নিমজ্জিত করলে এটি উপর দিকে যে লব্ধিবল অনুভব করে তাকে বলে -- প্লবতা ।
    • প্লবতার মান নিমজ্জিত অংশ কর্তৃক অপসারিত প্রাবাহীর -- ওজনের সমান। 
    • তরলের অভ্যন্তরে কোনো বিন্দুতে চাপের মান গভীরতার -- সমানুপাতিক।
    • বায়ুর চাপের সমপরিমাণ চাপ পাওয়া যায় পানির-- 10m গভীরতায়৷
    • পারেদর চাপ এক এটম হেব ‐‐ 76 cm গভীরতায়৷
    • তরল বা গ্যাসের নিমজ্জিত বস্তুর প্লবতা সর্ম্পকে সর্বপ্রথম ধারণা দেন -- আর্কিমিডিস। 
    • বস্তু কর্তৃক হারানো ওজন বস্তটি দ্বারা অপসারিত তরল বা বায়বীয় পদার্থের ওজনের সমান এটি -- আর্কিমিডিসের নীতি।
    • কোনো বস্তর জানা ওজন থেকে বস্তটির নিমজ্জিত অবস্থার ওজন বাদ দিলে পাওয়া যায় বস্তর -- আপাত ওজন হ্রাস।
    • স্থির তরল বা বায়বীয় পদার্থে আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে নিমজ্জিত কোনো বন্তর উপর তরল বা বায়বীয় পদার্থ লম্বভাবে যে উর্ধবমুখী বল প্রয়োগ করে তাকে  প্লবতা বলে।

    বস্তুর ভেসে থাকা বা ডুবে যাওয়া, বাংলাদেশের নৌপথে দুর্ঘটনার কারণ 

    • বস্তুর ঘনত্ব তরলের ঘনত্ব অপেক্ষা বেশি হলে বস্তুটি তরলে সম্পূর্ণ ডুবে গিয়ে তলদেশে চলে যাবে।
    •  বস্তুর ঘনত্ব তরলের ঘনত্বের সমান হলে বস্তুটি তরলে সম্পূর্ণ নিমজ্জিত বা ডুবন্ত অবস্থায় ভাসবে।
    • ত্রটিপূর্ণ নকশার জন্য পরিবর্তন হয় জলযানের ভরকেন্দ্রের অবস্থান। 
    • বস্তুর ভাসন ও নিমজ্জনের ক্ষেত্রেে উদ্ভত পরিস্থিতি -- ৩টি ।
    • স্থির তরলে কোনো বস্তুকে ছেড়ে দিলে বস্তরটির ওপর একই সঙ্গে প্রযুক্ত বল --২টি। 
    • বস্তুর ঘনত্ব তরলের ঘনত্ব অপেক্ষা কম হলে বস্তুটি তরলে  নিমজ্জিত অবস্থায় -- আংশিক ভাসবে।
    • তরল পদার্থে চাপ প্রয়োগ করলে তা সবদিকে সমভাবে সঞ্চালিত হয়। 
    •  বল বৃদ্ধিকরণ নীতি প্রতিপাদিত হয়-- প্যাসকেলের সূত্র হতে। 
    • প্যাসকেলের সূত্র প্রযোজ্য --প্রবাহীতে। 

    স্থিতিস্থাপকতা 

    • বাহ্যিক বলের প্রভাবে বস্তুতে সৃষ্ট বিকৃতি প্রতিরোধী ধর্ম হলো স্থিতিস্থাপকতা।
    • বাইরে থেকে প্রযুক্ত বলের একটি মান পযন্ত একটি বস্তু স্থিতিস্থাপক বস্তুর ন্যায় আচারণ করে । বলের এই সর্বোচ্চ মানকে স্থিতিস্থাপক সীমা বলে। 
    • কোনো বস্তুকে বল প্রয়োগে বিকৃতি ঘটে এবং অপসারণে বিকৃতির অবসান ঘটে পদার্থের এই ধর্মই -- স্থিতিস্থাপকতা । 
    • বস্তুর আকার বা আকৃতি পরিবর্তন হওয়াকে বলা হয় -- বিকৃতি। 
    • বিকৃতির একক -- নাই ।
    • বস্তুর ভেতরে একক ক্ষেত্রফলের উপর লম্বভাবে উদ্ভত প্রতিরোধ বলকে বলা -- পীড়ন। 
    • বস্তুর আকার বা আকৃতি পরবির্তনের নিদিষ্ট সীমা হলো-- স্থিতিস্থাপক সীমা । 
    • স্থিতিস্থিাপক সীমার মধ্যে পীড়ন বিকৃতির -- সমানুপাতিক। 
    • পীড়নের একক -- প্যাসকেল। 
    • পড়ীন -- স্কেলার রাশি। 
    • পীড়ন এবং বিকৃতির সাথে সর্ম্পকযুক্ত ধ্রুবকের নাম-- স্থিতিস্থাপক গুণাঙ্ক।

    পদার্থের অবস্থা ও চাপ অধ্যায়ের রেমিডিয়াল কোর্সের ভিডিও 

    ক্লাস-০১ 

    ক্লাস-০২ 

    ক্লাস -০৩

    ক্লাস-০৪ 

    ক্লাস-০৫

    শেষ করাঃ পদার্থের অবস্থা ও চাপ

    উপরক্ত সকল আলোচনা পদার্থের অবস্থা ও চাপ অধ্যায় থেকে । এই অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে । যা আমাদের জ্ঞানের বিকাশিত করবে এবং অনেক পরিক্ষাকে সহজ করে তুলবে। বিশেষ করে যারা আরর্ন্স এর শিক্ষার্থী কিন্তু   ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চাই । তাদের জন্য রেমিডিয়াল কোর্স সম্পর্ণ করতে হয় । যা এই আলোচনা থেকে রেমিডিয়াল কোর্স  করতে সহায়তা করবে। পদার্থের অবস্থা ও চাপ অধ্যায় থেকে সকল আলোচনা রেমিডিয়াল কোর্স নিয়ে।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    অর্ডিনারি সিসি’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url