ভৌত রাশি ও পরিমাপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ুন
পদার্থবিজ্ঞান হচ্ছে বিজ্ঞানের একটি মৌলিক শাখা বা বিজ্ঞানের চাবিকাঠি হলে পদার্থবিজ্ঞান ।পদার্থবিজ্ঞানীদের নতুন নত্ব আবিষ্কারের ফলে আমাদের জীবনযাত্রা আধুনিক হচ্ছে। যেমন-চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি আবিষ্কারের ফলে চিকিৎসাবিজ্ঞান অনেক আধুনিকত্ব লাভ করছে এবং তার পাশাপাশি তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ বিভিন্ন চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখছে।
বিংশ শতাব্দীতে পদার্থবিজ্ঞানে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি মহাশূন্য অভিযান। চাঁদে মানুষের পদার্পণ থেকে শুরু করে মঙ্গল গ্রহের অভিযান মহাশূন্য স্টেশনে মাসের পর মাস মানুষের বসবাস জ্ঞানের ক্ষেত্রে অসামান্য অগ্রগতি। কৃত্রিম উপগ্রহ আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয় কিংবা যোগাযোগকে সহজ করতে চমৎকার অবদান রাখছে।
বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নিয়ে এসেছে বিপ্লব, পাল্টে দিচ্ছে জীবন যাত্রার মান। রেডিও, টেলিভিশন, ডিজিটাল ক্যামেরা, মোবাইল ফোন আর কম্পিউটার এখন মানুষের ঘরে ঘরে । হিসাব ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র ব্যবহারের ফলে পৃথিবী হাতের মুঠোয় চলে আসছে। ঘরে বসে সকল কিছু তথ্য জানা যাচ্ছে। তাই আমরা বলতে পারি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সরঞ্জামের এবং কম্পিউটার মানুষকে এনে দিচ্ছে আধুনিক জীবনযাত্রা । আমরা এখন ভৌত রাশি ও পরিমাপ অধ্যায় থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানব।
ভৌত রাশি ও পরিমাপ হতে আমরা যে সকল বিষয় জানতে পারব তার সূচিপত্রঃ
- ভৌত রাশি ও পরিমাপ
- পদার্থবিজ্ঞানের পরিসর
- পদার্থবিজ্ঞানের তাৎপর্য
- পরিমাপের যন্ত্রপাতি
- পরিমাপের ত্রুটি ও নির্ভুলতা
- ভৌত রাশি ও পরিমাপ এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ চিত্র সমূহ
- ভৌত রাশি ও পরিমাপ রেমেডিয়াল কোর্স এর ভিডিও
- শেষ কথাঃ ভৌত রাশি ও পরিমাপ
ভৌত রাশি ও পরিমাপ
- এ জগতে আমরা যা কিছূ পরিমাপ করতে পারি তা হলো -- রাশি ।
- মৌলিক রাশি হলো -- সাতটি।
- মৌলিক রাশি গুলো হলো-- দৈর্ঘ্য, ভর, সময়, তাপমাত্রা, তডিৎপ্রবাহ, দীপন তীব্রতা, পদার্থের পরিমাণ।
- মৌলিক রাশি গুলোর একক হলো --মিটার, কিলোগ্রাম, সেকেন্ড, কেলভিন, অ্যাম্পিয়ার, ক্যান্ডেলা, মোল।
- এক বা একাধিক মৌলিক রাশি ব্যবহারে তৈরি হয় -- লব্ধ রাশি ।
- হাইড্রোজেন পরমাণুর ব্যাসার্ধ --5*10 -11 m ।
- কোনো বস্তুতে 6.02214076 *1023 সংখ্যক কণা থাকে-- তা হলো এক মোল।
- শূন্য মাধমে এক সেকেন্ডের 299,792,485 ভাগের এক ভাগ সমযয়ে অতিক্রান্ত দূরত্ব --এক মিটার।
- সিজিয়াম 133 পরমাণুর 9,192, 631,770 টি স্পন্দন সম্পন্ন করতে যে পরিমাণ সময় লাগে তা -- এক সেকেন্ড ।
- পানির ত্রৈধ বিন্দুর তাপমাত্রাকে 273.16 দিয়ে ভাগ করলে যে তাপমাত্রা পাওয়া যায় তা -- এক কেলভিন ।
- একটি রাশিতে বিভিন্ন মৌলিক রাশি যে সূচক আছে তা হলে -- মাত্রা।
- এককের সংকেত লেখা হয় -- সোজা অক্ষরে।
- রাশির সংকেত লেখা হয় --বাঁকা অক্ষরে।
- আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের শাখা-- কঠিন অবস্থার পদার্থবিজ্ঞান, নিউক্লিয় পদার্থবিজ্ঞান, আনবিক ও পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞান ।
- ক্লাসিক্যাল পদার্থবিজ্ঞানের শাখা-- বল বিজ্ঞান, শব্দবিজ্ঞান, তাপ ও তাপগতিবিজ্ঞান, বিদুৎ ও চৌম্বক বিজ্ঞান, আলোক বিজ্ঞান।
উপরক্ত সকল তথ্য ভৌত রাশি ও পরিমাপ অধ্যায় হতে। এই সকল তথ্য গুলো আমাদের জেনে রাখা প্রয়োজন। চাকরি বা অন্যান্য সকল পরিক্ষায় ভৌত রাশি ও পরিমাপ হতে প্রশ্ন আসে ।
পদার্থবিজ্ঞানের পরিসর
- পদার্থবিজ্ঞানের দুটি মুল অংশ-- ক্ল্যাসিক্যাল ও আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান।
- পদার্থ আর শক্তি এবং এদের মাঝে অন্তঃক্রিয়া বুঝা যায়-- পদার্থবিজ্ঞান থেকে।
- বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার ভিত্তি তৈরী করেছে-- পদার্থবিজ্ঞান।
- বর্তমান সভ্যতার পেছনে সবচেয়ে বড অবদান-- ইলেকট্রনিক্সের।
- চিকিৎসাবিজ্ঞানে পদার্থবিজ্ঞান ব্যবহার করে গড়ে উঠেছে--Medical Physics ।
- ভূ-তত্ত্বে ব্যবহার করার জন্য পদার্থবিজ্ঞান ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে -- Geophysics ।
- রসায়ন শাখার সাথে পদার্থবিজ্ঞান শাখার সাথে সম্মিলিত ভাবে জন্ম নিয়েছে--Chemical Physics ।
উপরক্ত সকল তথ্য ভৌত রাশি ও পরিমাপ অধ্যায় হতে। ভৌত রাশি ও পরিমাপ থেকে পদার্থবিজ্ঞানের পরিসর জানার গুরুত্ব পূর্ণ তথ্য সমূহ।
পদার্থবিজ্ঞানের তাৎপর্য
- অ্যাম্বর নামক পদার্থের পশম দ্বারা ঘষা হলে সেটি অর্জন করে-- বিদুৎশক্তি।
- বিদুৎ চৌম্বকীয় বল ও দুর্বল নিউক্লিয় বল একত্র করে সেই বলের নাম দেওয়া হয়-- ইলেকট্রো উইক ফোর্স।
- পরমাণুসমূহের নিউক্লিয়াসকে থাকে-- পজিটিভ চার্জ।
- পরমাণু নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে তার চারদিকে ঘুরে নেগেটিভ চার্জযুক্ত-- ইলেকট্রন।
- বিটা রশ্মির বিকিরণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আবিষ্কৃত হয়েছে --দুর্বল নিউক্লিয় বল।
- কঠিন অবস্থার পদার্থবিজ্ঞানে কাজ করা হয় -- অর্ধপরিবাহী নিয়ে।
- বাংলাদেশে পাবনা জেলার রূপপুরে তৈরি করা হচ্ছে -- দেশের প্রথম নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
পদার্থবিজ্ঞানের তাৎপর্য আলোচনা করে শেষ করা যাবে । পদার্থবিজ্ঞান আমাদের আধুনিক করতে সহায়তা করতে য়া আমরা ভৌত রাশি ও পরিমাপ অধ্যায় থেকে জানতে পারছি।
পরিমাপের যন্ত্রপাতি
- বৈজ্ঞানিক কাজের জন্য যে সকল যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় তা হলো - মিটার স্কেল, ভার্নিয়ার স্কেল, স্কু গজ , সাইড ক্যালিপার্স, তুলা যন্ত্র, থামা ঘড়ি।
- এক সেন্টিমিটার কে দশ ভাগে ভাগ করা যায় -- মিটার স্কেলে।
- ক্ষুদ্রতম দৈর্ঘ্য এক মিলি মিটার পযন্ত মাপা যায়- মিটার স্কেলে।
- মিটার স্কেলের ক্ষুদ্রতম ঘরের ভগ্নাংশ নির্ণয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়--ভার্নিয়ার স্কেল ।
- প্রধান স্কেলের ও ভার্নিয়ার স্কেলের দাগ কাটার বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে -- ভার্নিয়ার ধ্রুবক।
- মূল স্কেলের ক্ষুদ্রতম এক ঘরে দৈর্ঘ্য কে ভার্নিয়ার স্কেলের ভাগসংখ্যা দ্বারা ভাগে পাওয়া যায় -- ভার্নিয়ার ধ্রুবক।
- মূল স্কেলের কোন দাগ ভার্নিয়ার স্কেলের যে দাগের সাথে মিলে যায় তা হলো -- ভার্নিয়ার সমপাতন।
- বৃত্তাকার স্কেলের মাত্র একভাগ ঘুরালে স্কুটি যতটুকু সরে আসে তা হলো-- ন্যূনাঙ্ক বা লঘিষ্ঠ গনণ।
- বর্তমান যুগে নির্ভুলভাবে বস্তুর ভর পরিমাপ করতে ব্যবহৃত হয় -- ইলেকট্রনিক্স ব্যালেন্স।
- সময় মাপার জন্য ব্যবহার করা হয়-- Stop Watch ।
পদার্থবিজ্ঞান পরিমাপের যন্ত্রপাতি আবিষ্কারের ফলে আমার অনেক সুবিধা ভোগ করছি । তাছাড়া চিকিৎসাবিজ্ঞানের অনেক উন্নত হয়েছে। এ সব আমরা ভৌত রাশি ও পরিমাপ অধ্যায় হতে জানতে পারছি।
পরিমাপের ত্রুটি ও নির্ভুলতা
- পরিমাপের সাধারণত ত্রুটি থাকে -- তিন ধরনের।
- পরীক্ষণের জন্য যন্ত্রের যে ত্রুটি থাকে তা হলো -- যান্ত্রিক ত্রুটি।
- প্রধান স্কেলের শূন্য দাগ, ভার্নিয়ার স্কেলের শূন্য দাগের সাথে না মিললে তা - যান্ত্রিক ত্রুটি ।
- পরিমাপের সময় যে ত্রুটি এড়ানো সম্ভব নয় তা হলো- দৈব ত্রুটি।
- দৈব ত্রুটি কমিয়ে আনার জন্য পরিমাপটি বার বার --গড় করতে হবে।
- চূড়ান্ত ত্রুটিকে পরিমাপ করা মান দিয়ে ভাগ করলে পাওয়া যায়-- আপেক্ষিক ত্রুটি।
- দৈর্ঘ্য পরিমাপে যে ত্রুটি থাকবে তা আয়তনের পরিমাপে ত্রুটি হয়ে যাবে-- তিন গুণ বেশি ।
পরিমাপ করার সময় আমাদের অনেক ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তা কিভাবে সমাধান করব তা ভৌত রাশি ও পরিমাপ অধ্যায়ে আমরা জানতে পারি ।
ভৌত রাশি ও পরিমাপ এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ চিত্র সমূহ
ভৌত রাশি ও পরিমাপ এর SI (এস আই) ইউনিটের ভিন্ন ভিন্ন ভৌত রাশি
আরও পড়ুনঃ ১১ কে যেকোন সংখ্যা দিয়ে গুন করার সহজ নিয়ম
ভৌত রাশি ও পরিমাপ এর অনেক বড় থেকে ছোট দূরত্ব, ভর ও সময়
ভৌত রাশি ও পরিমাপ এর SI (এস আই) ইউনিট ব্যবহৃত গুণিতক বা উপসর্গ
অর্ডিনারি সিসি’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url